মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৩

বাংলাদেশ তথাকথিত ইসলামের ফাঁদে পড়ছে!


বাংলাদেশ তথাকথিত ইসলামের ফাঁদে পড়ছে!

 
সংলাপ ॥ ধর্মভীরু সাধারণ মানুষের মধ্যে তথাকথিত শরিয়া আইন মেনে চলার উগ্র প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। স্বঘোষিত মওলানা-মুফতি-মোল্লা নিয়ে দেশজুড়ে যে অনিয়ন্ত্রিত আরবীয় পোষাকধারী সমাজ গড়ে উঠছে তাদের প্রায় সবাই নারী-নীতির বিরোধী। এদের যোগ্যতার কোন দৃশ্যমান মাপকাঠি নেই, জাতির বা সরকারের কাছে জবাবদিহিতাও নেই। এদের বেশিরভাগই আধুনিক রাষ্ট্রপরিচালনার কিছুই জানেন না কিন্তু অবলীলায় বিশ্বের তাবৎ সমস্যার সমাধান পেশ করে থাকেন।

দেশে এই তথাকথিত শারিয়াপন্থীদের শত শত একাগ্র, কর্মতৎপর ও ধনী সংগঠন জাতির চোখের সামনে ধরে রেখেছে শুধুমাত্র ওদেরই স্বরচিত ইসলামি-ব্যাখ্যা। ওদের বিপক্ষে মোহাম্মদী  ইসলামী ধর্মতত্ত্বের বইগুলো প্রচার প্রসারের সংগঠন নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র সূফীতত্ত্বের চর্যা করে কয়েকটি সংগঠন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান মসজিদ, প্রতি শুক্রবার ধর্মভীরু জনতাকে প্রভাবিত করার সুযোগ যা তারা পুরোটাই নিয়েছে।

আলিয়া, কওমি, ফোরকানিয়া, হাফিজিয়া নিয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা হবে কমপক্ষে দুই লাখ। প্রতি বছর এরা সমাজে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ তথাকথিত শরিয়া-সমর্থক যারা সরকারী চাকুরি ও সামরিক বাহিনীসহ সমাজের প্রতি স্তরে তাদের প্রভাব খাটাতে থাকে। প্রাথমিক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রতিবছর এর সংখ্যা যা দাঁড়াচ্ছে তার প্রভাব কোন সরকার-জাতি এড়িয়ে যেতে পারবে না।

পশ্চিমাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী দেশে বানিয়েছেন অসংখ্য মাদ্রাসা। বেশিরভাগ মাদ্রাসা তথাকথিত শারিয়াপন্থীদের সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই করে না। তাদের পরিকল্পনা এখন বেশ সফল, এক নিমিষে বহু হাজার যুদ্ধংদেহী তরুণকে রাস্তায় নামানোর প্রচ- ক্ষমতার অধিকারী ওরা। গত ৫ই এপ্রিল ২০১৩, ঢাকাতে শাপলা চত্বরে তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের লক্ষ লোকের সমাবেশ তার প্রমাণ। সমাজে  আগামীতে অনেক বাড়বে এবং সমাজের সর্বত্র এর চাপ অনুভূত হবে। এ চাপ ঠেকানোর পদ্ধতি এখনও বাংলাদেশে অনুপস্থিত।

ওদের আছে নিজস্ব দলীয় পত্রিকা এবং সেগুলোতে ইসলামের নামে গোয়েবলসীয় পদ্ধতিতে প্রচারিত হচ্ছে মনগড়া শারিয়া-প্রচার। পক্ষান্তরে ইসলামী দলিলের ভিত্তিতে ওদের প্রচারণার ভিত্তিহীনতা কুরআন-বিরোধীতা, ইসলাম-বিরোধীতা ও অসত্যকে তুলে ধরার তেমন কোন পত্রিকা নেই। দেখা গেছে অনেক পত্রিকাও ওদের দলিল জাতির সামনে তুলে ধরছে যার সঙ্গে মোহাম্মদী ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

এটাও শারিয়াপন্থীদের আর একটা বিরাট সাফল্য। এরা জনগণ, সরকার, মিডিয়া, টিভি-রেডিয়ো-সংবাদপত্র প্রকাশনাসহ সারা জাতিকে ভয় পাওয়াতে সক্ষম হয়েছে। এটা আরো বাড়বে বৈ কমবে না।

২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট-এ জামাত ঘোষণা দিয়েছিল দেশজুড়ে শারিয়া কোর্টের জটাজাল বানানো হবে। গ্রাম উপজেলার নিয়ন্ত্রণে, উপজলা জেলার নিয়ন্ত্রণে, এভাবে আটষট্টি হাজার শারিয়া-কোর্টের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকবে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের খতিবের হাতে। অর্থাৎ আটষট্টি হাজার শারিয়া-কোর্টের জালে মাছের মত আটকে যাবে দেশের ভবিষ্যৎ এবং ধর্মভীরু জাতি।

সমান্তরাল বিচার ব্যবস্থা রাষ্ট্রদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়ে বলে এর নাম দেয়া হবে ইসলাম পরামর্শ ব্যবস্থা, মানুষ ইচ্ছা হলে নিক ইচ্ছা না হলে না নিক। ওদিকে ফতোয়া দিয়ে বেড়াবে বেসরকারী শারিয়া'স্বেচ্ছাসেবক' নাম নিয়ে। অন্যান্য তথাকথিত শারিয়া-দেশে নামাজ-রোজা-দাঁড়ী-বোরখা নিয়ে ভয়াবহ দোজখ সৃষ্টি করেছে এই শারিয়া বাহিনী। কেউ শারিয়া কোর্টে না গিয়ে দশের কোর্টে গেলেই ছুটে আসবে মুরতাদ-ফতোয়া।

স্বাধীন চিন্তা ও ভিন্নমতের ওপরে নেমে আসবে ব্ল্যাসফেমি আইনের খড়গ, জনগণের সাধ্য হবেনা তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। বন্ধু তো দুরের কথা ভাই ভাইয়ের কাছেও মন খুলে কথা বলতে ভয় পাবে মানুষ। এরকম হয়েছে অন্যান্য দেশে বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্থানে। এর মধ্যেই বিভিন্ন ব্যাপারে সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের কাছে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা তারা ইমাম-খতিবদের ডেকে জানতে পারতেন। এভাবে সুযোগ দিতে থাকলে ইরানের শুরায়ে নিগাহ্বান-এর মত দেশে ছায়া-সংসদ গড়ে তোলা হবে, অদূর ভবিষ্যতে কোন সরকার সেটা ঠেকাতে চাইবে না, চাইলেও পারবে না।

আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ সুবোধ বালকের মত ইসলামকে ব্যাখ্যার অধিকার ওদের হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে আছেন। তারা বিশ হাজর পৃষ্ঠার বই পড়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-অর্থনীতিবিদ হবেন কিন্তু দশ হাজার পৃষ্ঠার ইসলামি দলিল পড়ার সময় নেই। তারা ভোগেন ভয়ংকর অহংরোগ, গর্ব, একগুয়েমি, 'একলা চলো' নীতি ও সাংগঠনিক ব্যর্থতায়। টাকার জোর বা আন্তর্জাতিক সমন্বয়ও তাদের নেই।

ইসলামী টিভি চ্যানেল তো আছেই, অন্যান্য প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে এক একেকটি করে ইসলামী প্রোগাম চলে এবং প্রতিটি সংবাদপত্রে ইসলামী অংশ থাকে। এদের প্রত্যেকটিই শারীয়া-পন্থী। তারা কুরআনের অপব্যাখ্যা করে ও নারী-বিরোধী হাদিসগুলো উদ্ধৃতি দিয়ে নারী বিরোধী তথাকথিত শরিয়া আইনগুলোকে ইসলামের নামে বৈধতা দেন। গ্রাম গঞ্জের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত জনগণের ওপরে এসবের প্রভাব প্রচন্ড।

আওয়ামী লীগ সরকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে - (দৈনিক ইনকিলাব ২০ আগষ্ট ২০১১)। যে বাংলাদেশে একটা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যে বাংলাদেশে কয়েকটি বেসরকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আছে, প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শারিয়াবাজদের নিয়ন্ত্রণে, সেগুলোতে আমাদের মোহাম্মদি সূফী ইসলামকে পরাজিত করে নির্ভেজাল মওদুদিবাদ পড়ানো হচ্ছে। সরকারী ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়টাও ওদের হাতেই যাচ্ছে। অজস্র মাদ্রাসার সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টাও পরের প্রজন্মের একটা বড় অংশকে পথভ্রষ্ট করবে যারা সমাজে প্রবেশ করে সমাজকে প্রবলভাবে প্রভাবান্বিত করবে।

হাইকোর্টে ফতোয়ার বিরুদ্ধে রায় বাতিল করে সুপ্রীম কোর্টের রায় - ফতোয়া বৈধ,' শুধু মাত্র বিজ্ঞ মুফতিরাই ফতোয়া দিতে পারবেন' (ইনকিলাব, ১৪ মে, ২০১১)। এটা যে জাতির বিরুদ্ধে কতবড় বিশ্বাসঘাতকতা সময়ই বলবে। বিজ্ঞ মুফতি' কাকে বলে সেটা কে ঠিক করবে? এ প্রশ্ন আজ জাতির সামনে।

আলেমরা নাকি 'সরাসরি আল্লাহর দ্বারা সরাসরি ফতোয়া দিবার অধিকার প্রাপ্ত (ইনকিলাব ২০ আগষ্ট ২০১১)। আলেম কাহাকে বলে সেটাই ঠিক করা গেলনা গত ১৪০০ বছরে, লাখো আলেমরা পরস্পরের সাথে শুধু গালাগালি হানাহানি কামড়া কামড়ি করে। বিশ্ব মুসলিমকে শুধু ভিভক্ত করেননি বরং অজস্র গণহত্যা ঘটিয়েছেন ওই ফতোয়ার অস্ত্রে, এসব জাতিকে জানানো হয় না কোন সরকারের পক্ষ থেকে ধর্মমন্ত্রালয়ের মাধ্যমে।

সব মিলিয়ে জাতি দেখছে সরকারে থাকলে তো কথাই নেই, না থাকলেও বা আংশিকভাবে থাকলেও তারা গ্রাম গঞ্জে এক অদৃশ্য মনগড়া ইসলাম সরকার চালাচ্ছে - চালাবার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। তাদের দাবীতে অনেক কিছুই আছে, নেই শুধু নারীর কণ্ঠ। গত ১৪০০ বছরে একজনও নারী শরীয়া-ইমাম নেই, নারীর ইচ্ছে অনিচ্ছের প্রতিফলন নেই, নেই নারীর জীবনে এসব আইনের প্রভাবের ওপর কোন সমীক্ষা। ওয়াজ করার সময় চোখের সামনে ধরা আছে মুখ মিষ্টি মায়ের পায়ের নিচে বেহেশত আর লুকানো আছে ভয়াবহ নারী বিরোধী আইন। সাংস্কৃতিক সমাজের এখনই উচিত নারীনীতি কেন ইসলাম সমর্থিত, এর বিরাধীতা কেন ইসলাম-বিরোধী, অন্যান্য মুসলিম দেশে কি মোহাম্মদী ইসলামি পদ্ধতিতে সাংবিধানিকভাবে নারীনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া।

মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ধর্মজীবী, ধর্মবেত্তা ও রাজনৈতিক ইসলাম পন্থীরা তাদের এই পাতা ফাঁদে যে তারা নিজেরা পা দেয় না, তারা যে নিজেদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ায় না এটা আগেই বলা হয়েছে। এর মূল কারণ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক সমাজের একেবারেই অনুপযুক্ত। যে ধরনের শিক্ষিত মানুষ আধুনিক সমাজের সর্বক্ষেত্রে নানা কাযকর্মে ব্যাপৃত হতে পারে সে ধরনের শিক্ষিত মানুষ মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি হয় না। ইতিহাসে দেখা যায় যে, শিক্ষা ব্যবস্থা যে কোন দেশের আর্থিক ও সামজিক অবস্থা ও বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ কারণে সমাজের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনও ঘটতে থাকে। এই পরিবর্তনের তাগিদ অনুযায়ী কোনো সমাজ যদি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে চলতে না পারে, তাহলে সেই ব্যর্থতার কারণে সে সমাজের অগ্রগতিও ব্যর্থ হয়। এ কারণে এ ধরনের রক্ষণশীলতা যে সমাজে থাকে তার পশ্চাৎপদতা দুর হয় না। আগের কথা বাদ দিয়ে যদি বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে যে, মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রাপ্ত একজনের জন্য এমন কোনো পথ খোলা নেই যে পথে তার কোন উন্নতি সম্ভব। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন হয়েছিল প্রাচীন যুগে। মধ্যযুগেও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন ছিল। কিন্তু মাদ্রাসার যে পাঠ্যক্রম দেখা যায় তাতে আধুনিক শিক্ষার কোনো সুব্যবস্থা নেই। জিয়াউর রহমান মাদ্রাসা পাঠ্যক্রমের মধ্যে কিছু আধুনিক বিষয় ঢুকিয়ে এ শিক্ষার আধুনিকীকরণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসার পরিবেশটাই এমন যে, তার দ্বারা একজনের কোনো আধুনিক মানসিকতা গঠিত হয় না। কাজেই জিয়াউর রহমান পাঠ্যক্রমের মধ্যে যে পরিবর্তন গড়েছিলেন তার দ্বারা আধুনিক মানুষ তৈরির সম্ভাবনা না থাকলেও সাধারণ কলেজ-বিশ্ববিদালয়ের দরজা মাদ্রাসা ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছিল। সেই সুযোগ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঢুকে গঠন করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির নামে এক চরম ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। এর দ্বারাই দেখা গিয়েছিলো যে, মাদ্রাসা শিক্ষার তথাকথিত আধুনিকীকরণ দ্বারা ছাত্রদের কোনো প্রকৃত শিক্ষার সম্ভাবনা নেই। যা দরকার তা হলো, এই ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠরত ছাত্রদের আধুনিক সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। তবে যে ছাত্ররা ধর্ম বিষয়ে অধ্যায়ন করতে চায় তাদের জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ধর্ম একটি ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা যেতে পারে। মাদ্রসার মূল শিক্ষা হলো ধর্ম শিক্ষা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও আগে ধর্ম শিক্ষার জন্য টোল ইত্যাদির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আধুনিক সমাজ তার অকার্যকারিত উপলব্ধি করে হিন্দু সমাজ সেই ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন করে। কিন্তু মুসলমানদের ক্ষেত্রে এদিক দিয়ে কোনো পরিবর্তন তো হয়ইনি, উপরন্তু শাসকশ্রেণী মাদ্রাসার ধর্ম শিক্ষককে নিজেদের শ্রেণী পোষণ ও শাসনের কাজে খুব চাতুর্যের সঙ্গে ব্যবহার করে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার অবসান ঘটিয়ে সারাদেশে এক শিক্ষা ব্যবস্থা এ জন্যই চালু করা হয়নি। উপরন্তু ১৯৭২ সাল থেকে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি, মাদ্রাসার জন্য সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি তারা করে আসছে। যার পরিণতি জাতি গত কয়েকমাসে উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে চিন্তাবিদরা মনে করছেন। সুতরাং প্রথমেই মাদ্রাসাগুলোর পাঠ্যক্রম আধুনিকরণের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন