মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৩

সন্ত্রাস-দুর্নীতিঃ সামাজিক ব্যাধি


সন্ত্রাস-দুর্নীতিঃ সামাজিক ব্যাধি

 

সংলাপ ॥ বর্তমানে সবচেয়ে উদ্বিগ্নকর পরিস্থিতি হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় নেমেছে তা সবারই জানা। সরকার ও জনগণ সবাই এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। ৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার হলোই না তার সাথে আরো যুক্ত হলো সন্ত্রাস দমন আইন। আওয়ামী লীগের বদলে বিএনপি বা জাতীয় পার্টি যদি আবার ক্ষমতায় যায় তালে তারা আইনের নাম বদলাতে পারে, কিন্তু এ ধরনের আইন অবশ্যই তাদের রাখতে হবে। তাদের ক্ষমতায় থাকতে হলে এ ধরনের আইন লাগবেই। যে সমাজ ব্যবস্থা শোষণের উপর নির্ভরশীল, যে সমাজ অপরের শ্রম আত্মসাৎ করার অধিকার দেয়, যে সমাজ মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে রাখে, যে সমাজ সম্পদের উপর একচেটিয়া অধিকারের স্বীকৃতি দেয় সে সমাজ পরিচালনার স্বার্থে, সে সমাজকে রক্ষা করতে এ ধরনের আইন অপরিহার্য বটে। এ সমাজ কাঠামোয় যে কোন সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে দিলে তারা এর বাইরে যেতে পারবে না, হয়তো রশি একটু ঢিলা হতে পরে। বৃটিশ আমলেও এ ধরনের আইন ছিল যার নাম 'ইন্ডিয়া সেফটি এ্যাক্ট', পাকিস্তান আমলে ছিল 'ডিফেন্স অব পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ও রুলস' এ ধরনের আইন এখনো ভারত এবং পাকিস্তানে চালু রয়েছে। কারণ ওই একটিই। সন্ত্রাস শুধু সমাজের নীচু স্তরে নয় উপরের স্তরে যা রয়েছে তা রীতিমত এক ভয়াবহ ব্যাপার। নীচুস্তরের গুলো চোখে পড়ে, ধরা পড়ে, বিচার হয়। কিন্তু উচুস্তরেরগুলো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সন্ত্রাসের সঙ্গে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে। নিঃসন্দেহে সন্ত্রাস তথা হাইজ্যাক, ছিনতাই, মাস্তানী, লুট, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য কাজ। উচুস্তরের সমাজপতিরাও এর সাথে জড়িত। যদি কেউ আপনার নিকট চাঁদা দাবি করে এবং না দিলে বোমাবাজী করে বা পথেঘাটে যদি কেউ ছুরি বা পিস্তল ধরে বলে অর্থ দাও নইলে খতম করব বা কেউ যদি ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে বা আপনাকে জোর করে ধরে নিয়ে আটক রেখে আপনার আত্মীয়-স্বজনকে বলে টাকা দাও নইলে শেষ করে দেব তবে তাকে বলে মাস্তানী, ছিনতাই বা হাইজ্যাক গুম ইত্যাদি। কিন্তু যে পুলিশের কর্মকর্তা আধুনিক ও আইনী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট হতে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে অথবা একজনকে ধরে থানার গারদে ভরে বলে টাকা দাও নইলে ডাকাতি বা সন্ত্রাসী কেসে দেব তাহলে সে কি নিজেই হাইজ্যাকার বা সন্ত্রাসী নয়? যে ম্যাজিস্ট্রেট টাকা না দিলে জেলখানায় পাঠায় সে কি হাইজ্যাকার বা গুমকারী নয়? যে জজ বা আমলা টাকা পেলে একজনের সম্পদ আরেকজনকে দিয়ে দেয় সে কি সন্ত্রাসী বা ছিনতাইকারী নয়? সামান্য চাকুরী করে যারা গুলশান, বারিধারায় বাড়ির মালিক ও গাড়ির মালিক হয়েছেন তারা কি এ জাতীয় হাইজ্যাক ছাড়া এটা করতে পেরেছেন? সারা জীবনভর এরা হাইজ্যাকার। কে করবে এদের বিচার? এদের ধরবেই বা কে? যারা ধরবে বা বিচার করবে তারাও তো ওই একই গোত্রের। গরীব কৃষক ব্যাংকের সামান্য ঋণ পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। অথচ সমাজের উচ্চ স্তরের লোকেরা অবলীলায় ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করছে। তারা রীতিমত জাতীয় সম্পদ লুট করে চলছে। এরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় লুটেরা। এইসব লুটেরাদের বিচার কতটুকু হয়? চোরাচালানে নিযুক্ত সাধারণ মজুররা ধরা পড়ে থাকে, বিচারও হয় তাদের। কিন্তু এদের পিছনে বড় বড় যে সব রাঘব বোয়াল থাকে যারা সরকারেরও চেনা বা সরকারের ভিতরের লোক তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে। বড় বড় আমলারা যখন  সকল ক্রয়-বিক্রয়ে শত শত কোটি টাকা কমিশন নিয়ে থাকে তখন তারা কি লুটেরা হয় না? কোন সরকারের মন্ত্রীরা ও আমলারা এ ধরনের লুটপাট করেনি? এর আগেই বলা হয়েছে এ দেশে যারা ধনী তারা প্রায় সবাই এ ধরনের লুটপাট, চোরাচালানী, কালোবাজারী ও কমিশন খেয়েই বড় হয়েছে। কিন্তু তাদের কার কতটুকু বিচার হয়েছে। বস্তুত পক্ষে সমাজের উচ্চস্তরের এবং ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা সন্ত্রাস, মাস্তানী ও দুর্নীতির সাথে অনেক বেশী জড়িত এবং এরা সমাজের অনেক বেশী ক্ষতি করে। আর ওদের কারণেই নীচতলায়ও এসব অপরাধের জন্ম নেয়।

রাষ্ট্র মানুষের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের শাসনতন্ত্রের ৪২নং ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা বিলিবন্টন করার অধিকার নিশ্চিত করা আছে। সেখানে সম্পদ আপনি কিভাবে হস্তগত করলেন সেটা বড় কথা নয়। যত অন্যায় করেই আপনি তা করে থাকেন না কেন তা একরকম কেউই দেখতে যাচ্ছে না। কিন্তু যে মুহুর্তে তা আপনি কুক্ষিগত করলেন তা রক্ষার দায়িত্ব হয়ে গেল রাষ্ট্রের। পুলিশ কোর্ট-কাছারীর দায়িত্ব হয়ে গেল তা রক্ষ করার। অসংখ্য বাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ থাকায় এই ঢাকা শহরে মানুষ জাল-জোচ্চুরী ও টাউটারী-বাটপারী করে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা করে, জোর জবরদস্তি করে একের পর এক বাড়ির মালিক হয়ে চলছে অথবা ঘুষ, মাস্তানী ও সন্ত্রাসীর টাকায় বাড়ির মালিক হচ্ছে।

সন্ত্রাস, মাস্তানী, দুর্নীতি হচ্ছে সামাজিক ব্যাধি। সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে তা সরাসরি যুক্ত। এ ধরনের সামাজিক কাঠামোয় তা কোনভাবেই দূর করা সম্ভব নয়। এ সমাজ ব্যবস্থা নিজেই অহর্নিশি সন্ত্রাস ও দুর্নীতির জন্ম দিচ্ছে। নিম্নস্তরেও একই কারণে বা কিছুটা ভিন্ন কারণ হলেও একইভাবে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির উদ্ভব ঘটে। শুধু ঢাকা শহরই নয়, মাস্তান ও সন্ত্রাসীরা গোটা দেশটা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। এলাকাভিত্তিক পৃথক পৃথক পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক সময় ওদের চেহারাও পাল্টায়। এক মাস্তান শায়েস্তা হলে আর এক মাস্তানের আবির্ভাব হয়। মানুষের অবাধ সম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ থাকায় সন্ত্রাস, দুর্নীতিও অবাধ গতিতে যত শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থাই হোক না কেন বা যত কঠোর শাস্তিই দেয়া হোক না কেন, এমনকি ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলালেও এসব বন্ধ হবে না। কোন কোন সময় সাময়িকভাবে এসব একটু জোর জবরদস্তিমূলকভাবে কমানো গেলেও কিছুদিন পরেই তা আবার ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যায়। ওই দিন বড় এক বিরোধী দলের এক বড় নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অযোগ্যতার কথা বলে বললেন যে তারা আবার ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস, মাস্তানী, দুর্নীতি বন্ধ করে দিবেন। তাদের আমলও দেখা আছে জাতির। সন্ত্রাস দুর্নীতির মূল কারণ কি, এগুলো কেন হয় তা নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব নয়। আর বিশেষ করে যাদের দিয়ে এসব বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়, তারা নিজেরাই যেখানে সন্ত্রাসী বা দুর্নীতিবাজ, সরিষাতেই যেখানে ভূত, বেড়ায় যেখানে ক্ষেত খায় সেখানে কি দিয়ে ভূত তাড়াবেন বা ক্ষেত রক্ষা করবেন কি করে।

দুর্নীতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিম্নপদস্থ কর্মচারী কর্মকর্তা হতে শুরু করে দারোগা পুলিশ মায় জজ-ম্যাজিস্ট্রেটের মত সর্বোচ্চ সম্মানী ব্যক্তিরাও কেন এভাবে দুর্নীতিতে অবগাহন করে তা একটু চিন্তা করার আছে। এর কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমতঃ *মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে সম্পদ কুক্ষিগত করা। যেখানেই সুযোগ থাকবে সেখানেই মানুষ এটা করতে চেষ্টা করবে তার যত সম্পদই থাকুক না কেন। নীতিকথা বেশীদিন কাজ করে না। আমাদের সমাজে অসীম সম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ থাকায় সবাই সে সুযোগের ব্যবহার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয়তঃ *এ সমাজ যেহেতু মানুষের জীবনের বা তার ভবিষ্যতের দায়-দায়িত্ব নেয় না, অসুখ-বিসুখ, মৃত্যু দুর্ঘটনা কোন কিছুতেই সমাজ ফিরে তাকায় না, সেহেতু ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্যও মানুষ দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। তৃতীয়তঃ *ছেলে-মেয়ে নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে বা স্ট্যাটাস নিয়ে চলতেও অনেককে দুর্নীতিতে ডুবতে হয়। চতুর্থতঃ *আর একটি বিষয় আছে পারিপার্শ্বিক অবস্থা। যার ফলেও মানুষ বেশীক্ষণ ভাল থাকতে পারে না। ভাল থাকা বিষয়টি আপেক্ষিক ব্যাপার। এক একটি সমাজে ভাল থাকা কথাটির রূপও বদলায়। যেমন এই সমাজে আপনি কয়েকশত কোটি টাকার মালিক হলেও ভাল আছেন খারাপ হননি। আবার এমন সমাজ আছে যেখানে এত বেশী টাকার মালিক হতে চেষ্টা করলে আপনি খারাপ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। যাহোক পারিপার্শ্বিকতার কথা বলছিলাম। একটি দেশের সমাজ ব্যবস্থা বুঝতে হলে তার আইন ব্যবস্থা সবচেয়ে বড় সহায়ক। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজনীতির একটি পরিষ্কার চিত্র পেতে হলে দেখা যাবে ষোল কোটির বেশী লোক সংখ্যার আমাদের দেশে উকিল আছেন প্রায় এক লক্ষ। একটি দেশে অপরাধের সংখ্যা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা যত বেশি সেই সমাজে ততো বেশী উকিলের প্রয়োজন হয় অর্থাৎ উকিল বেশী মানেই অপরাধ বিশৃঙ্খলা অশান্তি বেশী।  আইনজীবীরা রাষ্ট্র হতে বেতন পায় না।  দেশে সন্ত্রাস দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ করার কোন সুযোগ না থাকলে অপরাধ করার সুযোগ বা প্রবণতা দেখা যেতো না। জমি কো-অপারেটিভের অধীনে চাষ করতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলেই শতশত একর জমি কিনে বা অন্যের জমি বাড়ি ঘর দখল করে বড়লোক হতে পারেন না। রেজিস্ট্রি অফিসে তালা লাগাতে হবে। কো-অপারেটিভের মাধ্যমে যে যে পরিমাণ শ্রম দেয় তার জন্য সেই অনুপাতে ওয়ার্ক পয়েন্ট জমা হয় এবং তার ভিত্তিতে ফসল বা ফসলের অর্থ বন্টন করতে হবে। ইচ্ছা করলেই কেউ বাড়ির পর বাড়ি কিনে বা আইনের ফাঁক-ফোকরে বাড়িঘর দখল করে বাড়ির মালিক হয়ে তা ভাড়া দিয়ে সামন্তবাদী কায়দায় শোষণ চলতে পারে না। একজন অনেক বাড়ির মালিক হতে পারে না। এই ঢাকা শহরেই এমন অনেক লোক আছে যারা ১০০ এর উপরে বাড়ির মালিক। তারপরেও তাদের বাড়ি করার নেশা কমেনি। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ অপরাধ ও মামলা মোকদ্দমা এই সব বাড়ি-ঘর, জমি-জায়গা নিয়ে। আপনার বাড়ি উত্তরাধিকার সূত্রে আপনার ছেলেমেয়েরা পাবে। কিন্তু যদি দেখা যায় ওই বাড়িতে আপনার সব ছেলে মেয়ের জায়গা হচ্ছে না তাহলে যার জাগয়া হচ্ছে না তাকে সরকারকে অবশ্যই বাড়ি দিতে হবে। ওই বাড়ির মালিক সে হবে এবং তার ছেলেমেয়েরা তার পরে ওই বাড়ির মালিক হবে। শহর অঞ্চলে কর্মজীবীদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাসা দেয়া?নৈতিক দায়িত্ব। সমাজ কাঠামোর কারণেই মানুষ অপরাধ করার সুযোগ পায় এবং এভাবে চলতে থাকায় তাদের?নৈতিকতাও শূন্যের কোঠায়। অর্থনৈতিক জীবনে নিশ্চয়তার কারণে নৈতিকতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের বর্তমান সমাজ কাঠামো পরিবর্তন অবশ্যই আবশ্যক। নইলে একদিকে যেমন সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি, ছিনতাই, রাহাজানী থেকে কোনভাবেই জাতিকে মুক্ত করতে কোনো সরকার পারবে না, এসব বন্ধের জন্য যত আইনই আমরা করি না কেন-যত চেষ্টাই করি না কেন তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলবে। অন্যদিকে দেশের দারিদ্র পীড়িত মানুষদেরও রক্ষা করারও কোন উপায় থাকবে না। অবাধ সম্পদের মালিক হওয়ার রাস্তা খোলা রাখবেন, নিজের লুটপাটের সবরকম সুযোগ রাখবেন, নিজের লুটপাট করে বড়লোক হবেন, আর সাধারণ মানুষকে ভাল থাকতে বলবেন, নীতিকথা শোনাবেন তা হতে পারে না। আসুন এ সুযোগগুলোর পথ বন্ধ করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এসব না করে গোটা ব্যবস্থা বহাল রেখে কিছুতেই জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে যেই চালাক না কেন। আপনি যেই হোন না কেন, যত ভাল মানুষই হোন না কেন, কিভাবে রাষ্ট্র চালাবেন? আপনারমন্ত্রিরা ডাকাত, আমলারা চোর, পুলিশরা, ব্যবসায়ীরা লুটেরা, বিচার বিভাগ অচল, আপনার চারদিকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, হাইজ্যাকার, ছিনতাইকারী ও টাউটবাটপার, আপনার গদি ঠিক রাখতে হলে দল ঠিক রাখতে হয় কাজেই দলের লোকদেরও বাধ্য হয়ে লুটপাটের সুযোগ করে দিতে হয়, এমনকি আপনার পরিবারের লোকরাও আপনাকে ডুবাতে ব্যস্ত- আর এদেরকে নিয়ে চালাতে হবে রাষ্ট্র। ফলে যা হবার তাই হয়। কেউ রক্ষা পায়নি। সবাই ডুবে গেছে এবং দেশটিকেও ডুবিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন