বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩


রাষ্ট্রপতি পদে দেশবাসী
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চায়
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের রাষ্ট্রপতির আসন। আদর্শ রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমানের প্রয়াণে শোকাবহ দশা সারাদেশে। তারপরও এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠে আসছে কে হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, কে বসবেন দেশের সর্বোচ্চ আসনটিতে। আলাপ-আলোচনা আর জল্পনা-কল্পনার ডালপালার কেবলই বিস্তার ঘটছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।
জাতি আজ ’৭০ এর দশকের পর এই প্রথমবারের মত আবারো এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধাপরাধী-মুক্ত, ধর্মান্ধ অপশক্তি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, বাঙালির বাংলা করার ঐতিহাসিক অর্জনের পথে বাঙালিত্বের নবজাগরণ সূচীত হয়েছে ২০১৩ সালের রক্তঝরা ফেব্রুয়ারি মাসে।
শান্তিপ্রতিষ্ঠায়, সত্য প্রতিষ্ঠায় এক দীর্ঘ মেয়াদী লড়াই আজ বাঙালির সামনে। আর এই প্রেক্ষাপটেই তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে শীর্ষ সাংবিধানিক পদ রাষ্ট্রপতির আসনে কে বসবেন এই প্রশ্নটি।
সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ এর পক্ষ থেকে এ নিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের মাঝে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে এদেশের ৮৩% শতাংশ সাধারণ মানুষই চান পরবর্তী রাষ্ট্রপতির আসনে বসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুধু তাই নয়, কান পেতে শুনলে  অলি-আল্লাহর দেশ বাংলাদেশে উপলব্ধিতে আসবে বাংলার আকাশ, বাংলার বাতাস, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার মা - সবার প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতি হোক শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩

মাগফেরাত কামনা করা কতটুকু ধর্মসম্মত ?



মাগফেরাত কামনা করা কতটুকু ধর্মসম্মত ?

কেউ মারা গেলে দেশের ধর্মবেত্তাগণের শিক্ষামতে মৃতকে উদ্দেশ্য করে পরিবেষ্টিত মোনাজাতে আল্লাহর কাছে তার জান্নাত মাগফিরাত কামনা করা হয়। কখনও কখনও আত্মা শব্দের স্থলে রূহ শব্দটিও ব্যবহার করা হয়। ব্যতিক্রম ছিল না প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ক্ষেত্রেও। ফলে বিষয়টি ভাবনায়, এরূপ মোনাজাতে ধর্মীয় যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রথমেই দেখা যাক রূহ কি?
আল কুরআনে রূহ্‌ সম্পর্কে পাওয়া যায় -

* মানুষ আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, আপনি বলুন, রূহ আমার প্রভুর নির্দেশ - আল কুরআন, সূরা বনি ইসরাইল।

* আমি তাদেরকে বাহ্যিক জগত এবং তাদের দেহ ও আত্মার মধ্যে আমার নিদর্শন দেখিয়ে থাকি যাতে সত্যের গুঢ় তত্ত্ব তাদের নিকট প্রকাশ হয়। (সূরা ইব্রাহীম-রুকু-৬।

* সাধক ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) তার কিমিয়ায়ে সা'য়াদাত গ্রন্থে ‘রূহকে আত্মা, পরমাত্মা বা নফস বলা হয়েছে। তাঁর গবেষণায় আত্মা অনাদি নয় বরং সৃষ্ট গুণময় সত্তা। তার মতে আত্মা শরীরী পদার্থ নয় কিংবা আত্মা গুণ নয়। তাঁর মতে মানব সৃষ্টির মৌলিক উপাদান দুটি -

১) দৃশ্যমান দেহ এবং ২) অদৃশ্যমান রূহ, পরমাত্মা বা আত্মা।

দৃশ্যমান পদার্থকে দার্শনিকগণ বলেন, আলমে শাহাদাত বা চাক্ষুষ জগৎ। আত্মা চাক্ষুষ জগতের অতিথি স্বরূপ, আল্লাহ্‌র তত্ত্বজ্ঞান ও সৃষ্ট জগতের সৌন্দর্য্য প্রদর্শন এবং তাঁর মহিমা উপলব্ধি করা আত্মার কাজ।

রূহ বা আত্মা আল্লাহ্‌র হুকুম বা আদেশ তাই আল্লাহ্‌র আদেশ জাত দায়িত্ব বা দায়ভার শরীর নয় বরং আত্মাকেই বহন করতে হয়। পরম করুণাময় আল্লাহ্‌ তায়ালাই হলো আত্মার উৎপত্তি স্থল, নশ্বর জগৎ পরিদর্শনের মুসাফির রূপে আত্মার আগমন। পরিদর্শন শেষে আত্মার প্রত্যাবর্তন হয় আল্লাহ্‌র দরবারে। তাঁর মতে আত্মা দেহ রাজ্যের বাদশাহ্‌ বা তত্ত্বাবধায়ক।

মহাত্মা ইমাম গাজ্জালীর মতে সাধারণের জন্য আত্মার আলোচনা নয়, বরং বিশেষ ক্ষেত্রেই এ আলোচনা রূহ বা আত্মা সম্পর্কে গবেষক ইবনে সিনার ধারণা - এ সম্পর্কে তার গ্রন্থ কিতাবুল নাফস এর ইশারত গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে আত্মা অজড় পরিপূর্ণ বস্তু। আত্মার পরিপূর্ণতাই দেহের পরিপূর্ণতা। তাঁর মতে ‘আত্মা বিমূর্ত বস্তু। (জওহার মানাভী) - তিনি মনে করেন রূহ বা আত্মা থেকেই শরীরের গঠন ও পরিপূর্ণতা গঠিত হয়। তিনি আত্মাকে জ্ঞানময় সত্তা বলে অভিহিত করেন। তিনি দেহকে আত্মার সর্বোতভাবে দূষণ মুক্ত অধীন সত্ত্বা বলে মনে করেন।  অজড়-অমর সত্তা। তাঁর মতে আত্মার সত্তা অন্য কিছু থেকে আসে, দেহ থেকে নয়। তাই দেহের মৃত্যুর পর আত্মার অমরত্ম গুণে আত্মা পূর্বতন স্থানে ফিরে যায়। হাক্কানী ভাবধারায় আত্মাকে চৈতন্যময় দেহ বলা হয়।

সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে, রূহ কিংবা আত্মার মাগফেরাত কামনা করা কি আদৌ সঙ্গত, আদৌ গ্রহণযোগ্য? রূহ বা আত্মার কথা বাদ দিলেও যে প্রশ্নটি সরাসরি তোলা যায় তা হচ্ছে - মাগফেরাত কামনা করার প্রশ্নটি আসে কি করে? প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানতো বটেই যে কোন মুসলমানের ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নটি তোলা যায় সঙ্গতভাবেই যে, চলে যাওয়া মানুষটি যার জন্য কামনা করা হচ্ছে মাগফেরাত, তার মাগফেরাত আদৌ দরকার আছে কি না এটা নির্ধারণ করার, এটা বুঝে নেয়ার আমরা কে? চলে যাওয়া মানুষটি পাপী বা পূণ্যবান ছিলেন তা  নিশ্চিত করে বলার ক্ষমতা, শক্তি বা অধিকার আমাদের কারো আছে কি? যারা মোনাজাত পরিচালনা করছেন, করে থাকে অথবা শামীল হন মোনাজাতে তাদের কেউ কি দাবী করতে পারবেন - চলে যাওয়া মানুষটি পাপী ছিলেন তিনি নিশ্চিত? নাকি বলে বসবেন, দাবী করবেন চলে যাওয়া মানুষটির কাঁধে দায়িত্ব পালনকারী ‘মুনকির-নাকির এর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল, কথা হয়েছে।

সুতরাং কারো আত্মা বা রূহ্‌কে দূরের কথা কারো মাগফিরাত কামনা করা এক ধরনের  ধৃষ্ঠতা নয় কি? খোদার হয়ে খোদগারী করা নয় কি?

দেশের  ধর্মপ্রাণ মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের ধর্মীয় নেতা দাবিদার ধর্মবেত্তাদের ধর্মের নামে এরূপ অপধার্মিকতার চর্চা বন্ধ করা উচিত, প্রকৃত ধর্মেরই স্বার্থে। 

তরীকাপন্থীদের পবিত্র কর্তব্য প্রজন্ম যোদ্ধাদের সঙ্গে এখনি একাত্মতা


তরীকাপন্থীদের পবিত্র কর্তব্য

প্রজন্ম যোদ্ধাদের সঙ্গে এখনি একাত্মতা

লুটেরা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীরা নয়, শোষক চরিত্রের শাসক মোঘল-পাঠান নয়, ভারতবর্ষে শান্তি ধর্ম ইসলাম  নিয়ে এসেছিলেন, ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সূফী সাধকগণ জনসাধারণে যাঁদের পরিচিতি অলি-আউলিয়া, দরবেশ নামে। শান্তিধর্ম ইসলাম মাতৃভক্তি শেখায়, মাতৃভাষা প্রীতি শেখায়, মাতৃভূমি প্রেম শেখায়। শান্তিধর্ম ইসলাম বিভেদ-ফ্যাসাদকে পরিহার করে, হিংসা, ঘৃণা, সহিংসতা থেকে দূরে রাখে। শান্তিধর্ম ইসলাম অন্যায়ের অসত্যের বিপক্ষে থাকে।
এই উপমহাদেশের ইতিহাসে, এই বাংলার, এই বাংলাদেশের ইতিহাসে এর নজির পাওয়া যায় ভুরি ভুরি। সে হাজার বছরের দূর অতীতেই হোক কিংবা নিকট অতীতের ইতিহাসের পাতাতেই হোক। নিকট অতীতে যেমন সাধক ফকির মজনু শাহ্‌ থেকে সাধক মাওলানা ভাসানী লড়াইয়ে রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন মজলুম জনতার পাশে; সাধক নজরুলকে দেখা গেছে শাণিত লেখনী নিয়ে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে; তেমনি, আড়ালে থেকে প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী কত যে সাধক নিরবে, অগোচরে ন্যায়যুদ্ধে ভূমিকা রেখে গেছেন; এখনও রাখছেন তা রয়ে গেছে, রয়ে যায় ইতিহাসের পাতার বাইরে!
এর সাক্ষী অন্তত ১৯৭১ এর বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। সে সময়ে নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক সাধকগণের সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো যাদের, তাদের সাক্ষ্য নিলে পাওয়া যাবে যুদ্ধের পক্ষে নিরস্ত্র মানুষদের বাঁচাতে সাধকগণের লৌকিকতায় থেকে  অলৌকিক  ক্ষমতার প্রয়োগের ঘটনাবলী।
আজকের বাংলাদেশে ২০১৩ তে এসে সূচীত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে পক্ষ ভাগ হয়ে গেছে সুস্পষ্টভাবে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী, যুদ্ধাপরাধের পক্ষ শক্তি, নারকীয় তা-বের স্রষ্টাশক্তি, ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ী শক্তি একদিকে আর তার অপরদিকে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের তথা মুক্তিকামী মানুষের শক্তি, ধর্মযুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মানুষের শক্তি, ন্যায়ের যুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠাকামীদের শক্তি।
প্রশ্ন হচ্ছে, সূফী সাধক, অলি-আউলিয়াগণের যারা অনুসারী, দেশের মানুষের ৭০ শতাংশ তরীকাপন্থী যে বিশাল জনগোষ্ঠী, যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন আজকের এই লড়াইয়ে তাদের ভূমিকা কতটুকু সময়োপযোগী? তাদের ভূমিকা সাধকগণের দৃষ্টিতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য? কতটুকু সন্তোষজনক? বিচ্ছিন্ন কিছু বিবৃতি অথবা প্রতীকী দু’একটি খন্ড বৈঠক, সেমিনার, সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে তরীকার দায় কি মিটানো সম্ভব? সাধককূলের প্রকাশ্য জনপ্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব কি এতেই শেষ হয়ে যায়?
প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি নিজেরাই নিজেদেরকে দাঁড় করাতে হবে তরীকাপন্থীদের। তখনই তারা দেখতে পাবেন সাধকগণের শিক্ষা আজ এ কথাই বলে যে তরীকাপন্থীদের সবকিছু নিয়ে এসে একাত্ম হওয়া দরকার এই যুদ্ধে শাহবাগের প্রজন্ম সেনানীদের সাথে। আর তখনই তাদের কাছে ধরা পড়বে অন্তরালে অতন্দ্র ক্রিয়াশীল সাধকগণের ইশারা। তারা দেখতে পাবেন, তাদের চোখে ধরা পড়বে প্রজন্মযোদ্ধাদের উপর সাধকগণের সতত বর্ষণরত আশীর্বাদের ধারা।


কুরআনে নাস্তিক বলে কিছু নেই বাংলাদেশে কেউ নাস্তিক নয়


কুরআনে নাস্তিক বলে কিছু নেই বাংলাদেশে কেউ নাস্তিক নয়

বাংলাদেশের হক্কানী আলেম ওলামা ও মাশায়েখ সম্প্রদায়ের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ-এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে শাহ্‌বাগের গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যকে রাজনীতিকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, এক্তিয়ার বহির্ভূত এবং ইসলাম ধর্মের মৌল চেতনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় -

* নাস্তিক বলার অধিকার ইসলামে কাউকে দেয়া হয়নি। রাজনীতিক হিসাবে কেহই তা পারেনই না এমনকি কোন ধর্মীয় নেতারও এই অধিকার নেই। কেবল একজন মানুষই নিজেই নিজেকে ঘোষণা করতে পারে যে সে নাস্তিক।

* বাংলার মাটিতে কোন নাস্তিক নেই। সবাই ধর্মপ্রাণ বা ধর্মভীরু মানুষ।

* ‘নাস্তি’ সংস্কৃত শব্দ থেকে নাস্তিকতা ও নাস্তিক শব্দ তৈরী করেছে ভারতের ধর্মান্ধ ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ বিংশ শতাব্দীতে সাধারণ মানুষকে শোষণ ও শাসন করার জন্য। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, ওইসব শব্দগুলো ধর্মান্ধ রাজনীতিকরা বাংলার মাটিতে তাদের বক্তব্যে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানি দিচ্ছেন।

* শাহ্‌বাগের একটা ঐতিহ্য আছে। ওই এলাকায় অনেক আল্লাহর ওলী শুয়ে আছেন বলে ওই জায়গার নাম হয়েছে শাহ্‌বাগ।

* শাহ্‌বাগ গণজাগরণ মঞ্চ হতে সত্যের আহবান এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এ আহ্বানে সাড়া দেয়া বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে ধর্মপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

* নতুন প্রজন্ম সত্য বলা ও সত্য প্রতিষ্ঠার আবেদন করেছে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে নয়, রাজনীতিকদেরও একাত্ম হওয়ার জন্য আহ্বান করেছে।

* যুদ্ধাপরাধীদের কঠোর শাস্তি সব ধর্ম সম্মত। কঠোর ও সর্বোচ্চ শাস্তির প্রমাণ ইসলামের ইতিহাসও প্রমাণ দেয়।

* এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ী বাঙালি তাদের মনগড়া তথাকথিত ধর্মের কথা বলে বাংলার মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তারা কেউ ইসলামের মতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হতে পারে না বরং ইসলাম সম্বন্ধে অজ্ঞ এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী।

* মসজিদ পবিত্রস্থান। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার স্থান। যারা তাকে অপবিত্র করতে চায়, সেখান হতে মিথ্যাচার করে এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে  ব্যবহার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে মুসুল্লিদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সর্বশেষে বাংলার আপামর জনগণের গণজাগরণ মঞ্চে সত্যের সৈনিক নতুন প্রজন্মের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াবার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ।।

রাষ্ট্রপতি পদে দেশবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চায়


রাষ্ট্রপতি পদে দেশবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চায়

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের রাষ্ট্রপতির আসন। আদর্শ রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমানের প্রয়াণে শোকাবহ দশা সারাদেশে। তারপরও এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠে আসছে কে হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, কে বসবেন দেশের সর্বোচ্চ আসনটিতে। আলাপ-আলোচনা আর জল্পনা-কল্পনার ডালপালার কেবলই বিস্তার ঘটছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।
জাতি আজ ’৭০ এর দশকের পর এই প্রথমবারের মত আবারো এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধাপরাধী-মুক্ত, ধর্মান্ধ অপশক্তি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, বাঙালির বাংলা করার ঐতিহাসিক অর্জনের পথে বাঙালিত্বের নবজাগরণ সূচীত হয়েছে ২০১৩ সালের রক্তঝরা ফেব্রুয়ারি মাসে।
শান্তিপ্রতিষ্ঠায়, সত্য প্রতিষ্ঠায় এক দীর্ঘ মেয়াদী লড়াই আজ বাঙালির সামনে। আর এই প্রেক্ষাপটেই তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে শীর্ষ সাংবিধানিক পদ রাষ্ট্রপতির আসনে কে বসবেন এই প্রশ্নটি।
সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ এর পক্ষ থেকে এ নিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের মাঝে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে এদেশের ৮৩% শতাংশ সাধারণ মানুষই চান পরবর্তী রাষ্ট্রপতির আসনে বসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুধু তাই নয়, কান পেতে শুনলে  অলি-আল্লাহর দেশ বাংলাদেশে উপলব্ধিতে আসবে বাংলার আকাশ, বাংলার বাতাস, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার মা - সবার প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতি হোক শেখ হাসিনা।