মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩

এখনো সময় আছে জননীতি নিয়ে জনমাতার মতো পথচলা শ্রেয়

এখনো সময় আছে
জননীতি নিয়ে জনমাতার  মতো পথচলা শ্রেয়

সংলাপ ॥ ২০০৮, ২৯ ডিসেম্বর গর্জে উঠেছিল বাঙালি। জেগে উঠেছিল একাত্তরের চেতনা। রুখে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ।  ঠিক সময়ে আবারও বাঙালি গর্তে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ধর্মান্ধধর্ম ব্যবসায়ী, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী কালসাপগুলোকে এক যোগে। যেন ঠিক একাত্তরের মতই।
অদূরদর্শিতার জন্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার বছর পর ধর্মান্ধ আর ধর্মজীবীদের বাকচাতুরতায় ক্ষমতায় থাকার জন্য আপোষ ও আধিপত্যের পথ ধরেছেন। জনমাতা না হয়ে জনশাসক হওয়ার ধর্মজীবীদের কাঁটা বিছানো পথে ছুটছেন। ইতিহাস বলে, বলে কুরআন, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ হবে ব্যর্থ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ওদের সাথে আঁতাতে না গিয়ে খুলুন কুরআনের পাতা, দেখুন সূরা তওবার আয়াত ৯৭। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে আল্লাহ বলেছেন, “অবিশ্বাস ও কপটতায় মরুবাসী আরবরা বড়বেশি পোক্ত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশে ওই বিষধর সৌদি অজগরদের পদলেহী ধর্মান্ধ, ধর্মজীবী - যারা মুহাম্মদী ইসলাম বিশ্বাস করে না, তাদেরকে বিশ্বাস করতে যাবেন না, ওদের চক্রে ও ষড়যন্ত্রে উবে যাচ্ছে আপনার দিন বদলের শ্লোগান। ওদের চাপে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে আপনার অনিচ্ছাতেই, আপনারই কথার ফাঁক দিয়ে, আপনার সায় নিয়ে প্রহসনের দিকে  ঠেলে দেয়া হচ্ছে। জাতি মারাত্মক আশংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দেশীয় কেউটে সাপগুলোকে গর্তে পিষ্ট করার অথবা নিদেন পক্ষে গর্তগুলোকে সিল করে দেয়ার ঐতিহাসিক সুযোগটি হয়ে যেতে পারে হাতছাড়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন নেই আর কোন বিদেশী সাহায্য-সহযোগীতা। যাঁর মাথায় রয়েছে বাংলার মাটিতে শুয়ে থাকা হাজার ওলি আল্লাহ্‌র আশীর্বাদ, রয়েছে আল্লাহ্‌র রহমত, আরো রয়েছে দেশের পনের কোটি মানুষের দোয়া, তাঁর নতুন করে আঁতাত করার মাধ্যমে আর কি কিছুর দরকার আছে দেশ ও জাতির দিন বদলের জন্য? আপনি জনমাতা হয়ে ১৫ কোটি বাঙালি সন্তানদের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সার্বিক অঙ্গনে সত্য তুলে ধরুন, তাহলেই দেশ ও জাতি বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। মতলবী রাজনৈতিক ইসলামপন্থীরা ওমরার নাম করে সৌদি আরব যায় বাংলাদেশটার বিরুদ্ধে, বাঙালির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে এবং ষড়যন্ত্রের বুনা জালটি নিয়ে এসে বিস্তৃত করছে বিভিন্ন চক্রান্তের ফাঁদ, যাতে ধর্মজীবী হয়ে দেশের ৮০% (আশি শতাংশ) ধর্মভীরু মানুষকে ধর্মের নামে শোষণ এবং শাসন করতে পারে। ওরা চায় না ধর্মভীরু মানুষকে ধর্মপ্রাণ হিসাবে গড়ে তুলতে, ধর্মজীবী ও ধর্মান্ধরা  এখন বাঙালির জয় বাংলাধ্বনি দিয়ে লুটপাট থেকে আরম্ভ করে সমাজে নানাবিধ বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে। ওরা কোনদিন বাঙালি সত্ত্বার ওপর ভর করে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে না। ওরা জানে সত্য প্রতিষ্ঠার পথ ধরলে হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারবে না।

ধর্মের  মর্ম কথাঃ দেশ ও জাতির জন্য সর্বস্তরে জননীতি প্রণয়ন করা আর সত্যের পথে মিথ্যাচার দূর করার কার্যক্রম শুরু করার চেয়ে বড় কোন আদর্শ, কোন ইবাদত আজ আর আপনার ও আপনাদের দলের সামনে নেই। সত্যের পথে কর্মই হচ্ছে বাঙালি জাতির জন্য দিন বদলের কর্ম, সমাজের সার্বিক অঙ্গনে বদলে দেয়ার কর্ম। যা কিছু অন্তরায় প্রগতির, গতির, বাঙালির, সত্য ও শান্তির এবং গোটা বাংলার উন্নতির তথা উত্তরণ - জননেত্রী থেকে জনমাতায় তা আস্তাকূঁড়ে ফেলে দেয়ার এখনই সময়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন