বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

দেশের মানুষ এখন ধাপ্পাবাজি বোঝে


দেশের মানুষ এখন ধাপ্পাবাজি বোঝে

যদি তুমি কোন সম্প্রদায়ের বিশ্বাসভঙ্গের আশঙ্কা কর তবে তুমিও একইভাবে ছুড়ে ফেলে দাও তাদের অঙ্গীকারকে আল্লাহ্তো বিশ্বাসভঙ্গকারীদেরকে ভালবাসেন না (সুরা আনফাল আয়াত ৫৮)

সংলাপ বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে বর্জন করা জাতির জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে এর জন্য সাধারণ জনগণকে রুখে দাড়ানোর জন্য সত্যকে আলিঙ্গন করে সদা সতর্ক থাকা জরুরি নয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে সামাল দিতে ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে সামাজিক অস্থিরতা পলে পলে সবকিছু একে একে গ্রাস করার পায়তারা করছে গ্রাসমুক্ত করতে হলে চাই আত্মোপলব্ধি কিন্তু আমাদের অধিকাংশ রাজনীতিকদের মধ্যে তা বিরল নিকট অতীতের মত দেশের নিয়ন্ত্রণ এক শ্রেণীর অসাধু চক্রের হাতে চলে যাচ্ছে অনিয়মকে নিয়ম হিসেবে চালু করতে এরা তৎপর ঘুষ, দুর্নীতি, পেশী শক্তির প্রয়োগ, অপপ্রচার মিথ্যাচার সবকিছুই ধর্মের আবরণে ঢেকে রাজনীতিকরা সাধারণ জনগণকে নির্বিচারে অত্যাচার করে গেলেও বলার কেউ নেই বলতে গেলেই বিপদ, ঘাড়ের ওপর নেমে আসছে নির্যাতন তরতাজা জ্যান্ত মানুষকে নিমেষেই লাশ বানানোর নীতির প্রচলন আজো চালাচ্ছে ওই অসাধু চক্র থামানোর চিন্তা মাথায় আসার আগেই নিভে যাচ্ছে অনেক প্রতিবাদী মানুষের জীবন প্রদীপ অন্যভাবে বললে নিভিয়ে দেয়া হচ্ছে জীবনস্পন্দন অসহনীয় বিশৃঙ্খলা সেঁতসেঁতে ভাব ছড়িয়ে আছে সব জায়গায় সবাই ছুটছে, কেউ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে, কেউ বা পেট ভরানো রুজি রোজগারে এরই মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেনি একফোটা যে দেশের জন্য ঋণ নেয়া সে দেশে সাধারণ জনগণ জীবনভর হাপিত্যেশ করে যাচ্ছে ঋণ বাণিজ্য চলছে আমাদের সম্পদের অযাচিত অপচয় হচ্ছে এত চাপ সহ্য করা কঠিন
শত আক্ষেপ হা হুতাশেও যাদের চিত্ত জাগ্রত হয় না তারাই তো এদেশের রাজনীতি করছেন কেননা সব শুনলে বর্তে যাবে কাজের দায়, পারলে গদি যাবে, না পারলে নিন্দে হবে, জনগণ আর ভোট দেবে না আমাদের দেশে আইনকানুন থাকলেও তার প্রয়োগ আছে, তা শুধু কাগজে কাগজে ঘুষ বলা মহা অন্যায় এতো বড়দের খাবার তাই ছোটরা জানতে পারেন না রাজনৈতিক অঙ্গনে যে যতবড় নির্লজ্জ সে তত মিথ্যা বুলি আউড়ে যাচ্ছে ক্ষমতার জন্যে, দলের জন্যে এবং লৌকিকতার খাতিরে জনগণের সেবা করার জন্য নয় রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক কোনো সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করার জন্য রাজনীতিকদের লক্ষ্য নেই এমনকি লোক লজ্জায় দল থেকে পদত্যাগ করে দায় থেকে অব্যাহতি নেয়াটাও গর্হিত কাজ বলে প্রচার করেন
অপরদিকে সাংসদরা দেশের সব খাতেই এসব দেখাশোনার শপথ নিয়েছেন জনগণের রায় পেয়ে আজ তা ভুলে গেলে চলবে কি করে?
সুশাসন নিশ্চিত করতে বাহিনী তলব করলে সব সহজ সরল হয়ে যায়! সৈনিকের গান পয়েন্টে সব ছেড়ে এরাই আবার চরম বিনয়ী কর্মঠ দায়িত্ববান হয়ে ওঠে কিভাবে? দেশের জনগণ এত ধাপ্পাবাজি বোঝে না তারা চায় জান-মালের নিরাপত্তা, তা দিতে হবে সরকারকে এবং সকল দলের রাজনীতিকদের সত্যকে একটু সময়ের জন্য কাছে টানলে শান্তি পাবে দেশ, খুলবে নতুন পথ সত্য সম্পর্কে আল-কুরআনে বর্ণিত আছেবল, আমার প্রতিপালক লক্ষ্য করেন, অলেক্ষ্যের সবকিছুই তাঁর জানা বলো সত্য এসেছে অসত্য অন্তর্ধান করেছে এবং তা আর ফিরবে না

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন