মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৩

গণজাগরণ মঞ্চের দাবি -দ্রুত রায় কার্যকর করুন



গণজাগরণ মঞ্চের দাবি -
দ্রুত রায় কার্যকর করুন

শাহ্‌ আব্দুল বাতেন ॥ গত ২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৩টায় গণজাগরণ মঞ্চ ঢাকার শাহ্বাগ চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। বিক্ষোভ সমাবেশে দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এতে বিভিন্ন ছাত্র, সাংস্কৃতিক, গবেষণাধর্মী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গণজাগরণমঞ্চের মুখপত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সরকারকে অবিলম্বে সকল যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে দুদলকে উদ্দেশ্য করে ইমরান বলেন, আপনারা সংলাপ বা আলোচনা যাই করেন না কেন ইশতেহারে সুস্পষ্ট করতে হবে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপনাদের কী সম্পর্ক। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে নির্বাচন।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতামূলক কর্মকা- চালাচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে, বিচারকদের বাসায় বোমা মারছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, যারা বোমা মেরে প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ করে, জাতীয় পতাকাকে সম্মান করে না আর জাতীয় সঙ্গীত গায় না তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
নারীশ্রমিক জোটের সভাপতি উম্মে হাবিবা ঝলমল বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, সাম্প্রদায়িকমুক্ত বাংলাদেশ চায় না তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে ও উসকানি দিয়ে তাদের টার্গেটে পরিণত করছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফের মহাসচিব শাহ্‌ আব্দুল বাতেন বলেন, এই শাহবাগ চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যান থেকেই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আজ সেই স্বাধীনতা রক্ষায় স্বাধীনতা বিরোধী সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে এই শাহ্বাগ চত্বর থেকে নতুন প্রজন্মের স্বতস্ফূর্ত দুঃসাহসিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়েছে। যে নেতৃত্বকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ সমর্থন জানিয়ে আসছে। যে নেতৃত্বে রাজনীতির ছোঁয়া নেই। আছে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অনির্বান স্লোগান আর আহবান। সত্য প্রতিষ্ঠায় সূফী সাধকদের আশীর্বাদ ও স্বাধীনতাপ্রেমী জনস্রোতের আনুকুল্যতাই তাদের এই প্রত্যয়ী আহবান ও সংগ্রামী পথের পাথেয়। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানবীর রুসমত, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন