বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

অযোগ্য ও নীতিহীন নেতা দিয়ে দেশ ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয় - বঙ্গবন্ধু


অযোগ্য ও নীতিহীন নেতা দিয়ে দেশ ও জনগণের 

সর্বনাশই বেশি হয় - বঙ্গবন্ধু

শেখ উল্লাস ॥ তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় আশীর্বাদের এই যুগে একজন সাধারণ মানুষও ফেসবুকে পোস্ট আর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছে। এই অর্থে মানুষ এখন কতই না স্বাধীন ও সুবিধাভোগী। কিন্তু বিজ্ঞানের (বিশেষ জ্ঞান) এই পর্যায়ে আসতে কত  সাধকের কত সাধনা, গবেষণা ও ত্যাগ-তিতিক্ষা করতে হয়েছে তা ভেবে দেখেন কয়জন? ঠিক একইভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে এদেশের মানুষকে জাগানোর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সাধনা, গবেষণা ও ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছিলেন তা-ই বা চিন্তা করার  সময় ক’জনের হয়? সাধারণভাবে সবাই অনেক কিছুই জানেন, কিন্তু গভীরভাবে বিষয়টি অনুভূতিতে বা উপলব্ধিতে নেয়াটাই বড় কথা। উপলদ্ধি সত্যিকার অর্থেই অনেক দূরের ও কঠিন বিষয়। আর কঠিন বলেই রাজনৈতিক দলের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন সময়ে অনেকে এমন কিছু কাজ-কর্ম করে গেছেন যা তাঁর আদর্শের রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী-বিশেষ করে এদেশের সর্ববহৎ ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগে বিভিন্ন সময়ে অনেক সুযোগসন্ধানী এর ভেতরে ঘাপটি মেরে থেকে নিজেদের কায়েমী স্বার্থ উদ্ধার করে গেছেন। এদেরই ষড়যন্ত্রে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবন হয়তো সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। কিন্তু এদেশের মানুষের কাছে আধ্যাত্মিকভাবে তিনি চিরস্মরণীয় ও চিরঅম্লান হয়ে থাকবেন অন্ততপক্ষে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। বিগত শতাব্দীর ত্রিশ-চল্লিশের দশক থেকে এই বাংলার মাটি-মানুষ-জনপদ-শিক্ষা-সংস্কৃতি-সমাজ-রাজনীতির সাথে মিশে গিয়ে তিনি এদেশ সম্পর্কে একজন বড় গবেষকও হয়ে উঠেছিলেন। ওই সময়ের রাজনীতির প্রতিটি ঘটনার সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সে কারণেই তিনি যা বলতেন, মন্তব্য করতেন সেটা ছিল তাঁর অনুভূতি ও উপলব্ধিরই বাস্তব প্রকাশ।  ১৯৫৪’এর নির্বাচনে বাঙালিদের জয়লাভের কয়েক মাস না যেতেই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৯২ (ক) ধারা জারি করে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেয়। ‘৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই’- (৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু)। পরিণতিতে এদেশের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে বিপর্যয়। দেশে বিরাজ করতে থাকে দুর্ভিক্ষাবস্থা। ওই সময়  ক্ষমতালিপ্সু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কর্মকা- দেখে বঙ্গবন্ধু পরিস্থিতি সম্পর্কে যথার্থভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ..‘যদি সেইদিন নেতারা  জনগণকে আহ্বান করত তবে এত বড় আন্দোলন হতো যে কোনোদিন আর ষড়যন্ত্রকারীরা সাহস করত না বাংলাদেশের উপর অত্যাচার করতে। শতকরা সাতান্নব্বই ভাগ জনসাধারণ যেখানে যুক্তফ্রন্টকে ভোট দিল ও সমর্থন করল, শত প্রলোভন ও অত্যাচারকে তারা ভ্রুক্ষেপ করল না - সেই জনগণ নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে রইল! কি করা দরকার বা কি করতে হবে, এই অত্যাচার নীরবে সহ্য করা উচিত হবে কি না, এ সম্বন্ধে নেতৃবৃন্দ একদম চুপচাপ।..  দেড় ডজন মন্ত্রীর মধ্যে আমিই একমাত্র কারাগারে বন্দি। যদি ৬ই জুন সরকারের অন্যায় হুকুম অমান্য করে (হক সাহেব ছাড়া) অন্য মন্ত্রীরা গ্রেফতার হতেন  তা হলেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলন শুরু হয়ে যেত। দুঃখের বিষয় একটা লোকও প্রতিবাদ করল না। এর ফল হল ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পারল যে, যতই হৈচৈ বাঙালিরা করুক না কেন, আর যতই সমর্থন থাকুক না কেন, এদের দাবিয়ে রাখতে কষ্ট হবে না। পুলিশের বন্দুক ও লাঠি দেখলে এরা পালিয়ে গর্তে লুকাবে। এই সময় যদি বাধা পেত তবে হাজারবার চিন্তা করত বাঙালিদের উপর ভবিষ্যতে অত্যাচার করতে। এই দিন থেকেই বাঙালিদের দুঃখের দিন শুরু হলে। অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনো দিন একসাথে হয়ে দেশের কোনো কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়’। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী- শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা-২৭২-২৭৩)।
নীতিহীন,  অযোগ্য ও কাপুরুষ নেতারা দেশ ও জাতির কী সর্বনাশা ডেকে আনতে পারে তার বড় প্রমাণ জাতি পেয়েছিল ৭৫’এর ১৫ই আগষ্ট এবং ১৫ আগষ্টকে কেন্দ্র করে সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনাবলীতে। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের শ্রম-মেধা-সাধনার ফসল জনগণের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সময়ের বিবর্তন ও পরিবর্তনের সুদীর্ঘ পথ বেয়ে আজ বাংলাদেশের গদিতে উপবিষ্ট।  নেতা বলতে এখন শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই বোঝানো হয় না, স্বাধীনতার পর থেকে আমলারাও (উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা) দেশ পরিচালনার বিভিন্ন স্তরে নেতার আসনে বসতে পেরেছেন। স্বাধীনতার আগে এই কর্মকর্তারা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর অধীনে কাজ করতেন বলে তাদের প্রায় সব কাজই ছিল পাকিস্তানী শাসন-শোষণ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে, বাংলার মানুষের ক্ষতি হবে-এটা দেখার বিষয় তাদের ছিল না। তৎকালীন আমলারা (যারা জন্মগতভাবে এদেশেরই সন্তান ছিলেন) ঔপনিবেশিক পাকিস্তানী সরকারের স্বার্থ রক্ষায় কী ধরনের ছলা-কলা ও ধূর্ততার আশ্রয় নিতেন, সে বিষয়ে প্রত্যক্ষর বিবরণ বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে সুন্দরভাবেই উঠে এসেছে। বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এইসব কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবেই নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন না হলে তাদের এই সুযোগ-সুবিধা কল্পনাও করা যেত না। তারা রাষ্ট্রের বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। বর্তমানে দেশের আঞ্চলিক ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি)গণ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত। বলা হয়ে থাকে, দেশ চালান মূলত সচিবগণই। সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের এ কর্মচারিগণ সর্বদা দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। ক্ষেত্র বিশেষে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষকও নেতৃত্বের আসনে বসেন। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে, শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার, সেবা করার সুযোগ পান। স্বাধীন দেশে এই সব সেবায় নিয়োজিত থাকাই বঙ্গবন্ধুর ভাষায় দেশসেবা। এইসব গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের আসনে বসে কেউ যদি অযোগ্য, নীতিহীন ও কাপুরুষ হন তবে তার কুপ্রভাব দেশ ও জনগণের ওপর পড়তে বাধ্য। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন উপজেলা-জেলায় কোনো কোনো ইউএনও, ডিসি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এবং তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ও পুরষ্কৃতও হচ্ছেন। স্বাধীন দেশে এসব কিছুই আজ সম্ভব হচ্ছে।
কিন্তু নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় জায়গা অর্থাৎ, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে যারা আসীন হন- এখান থেকে যারা এমপি, মন্ত্রী হন, তাদের মধ্যে অযোগ্য, নীতিহীন ও কাপুরুষ মানসিকতাসম্পন্ন লোকেরা স্থান পেয়ে গেলে সমাজ ও দেশের জন্য কী সর্বনাশা পরিস্থিতি তৈরি করতো সে সম্পর্কে সচেতন মানুষেরাই কেবল উপলব্ধি করতে পারেন। অপার সম্ভাবনার এই দেশে আসলে কোনো সমস্যাই নেই। সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছে শুধু তারাই যারা বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের আসনে থেকে নীতিহীন কাজ করে নিজেদের পার্থিব ভোগ-বিলাসে লিপ্ত থেকে এক ধরনের মোহাচ্ছন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। ঔপনিবেশিক আমলের ঘুণে ধরা মানসিকতা, সংকীর্ণতা তাদেরকে এমনভাবে পেয়ে যায় যে, তারা জীবনের মূল্যবান সময়টুকু অযথাই ব্যয় করেন। হাক্কানী সাধক-এঁর বাণী হচ্ছে, ‘বিদ্যা, বুদ্ধি, বল-বিক্রম গর্ব দোষে খর্ব হয়’। আজকের দিনেও এ সমাজ ও দেশের কোনো কোনো নেতা এমনভাবে কথা বলেন, আচরণ করেন, বক্তৃতা দেন যেন তাদের কথা কেউই কিছু বুঝে না। আসলে এভাবে তারা নিজেরা নিজেদেরই সাথে প্রতারণা করে থাকেন। বর্তমানে সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী কোনো কোনো আমলা ও নেতার মধ্যে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে তারা অজ্ঞান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাদের বাস্তব জীবন ও কর্মে একেবারেই অনুপস্থিত। এদের ব্যক্তিগত জীবনাচরণ ও দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র যারা অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারেন, তারাই তাদের আসল রূপটি জানেন।
তারাই আসলে দেশের শত্রু, নিজেদের শত্রু, প্রতারক।  তাদের বেলায়, ‘তাহারা চতুরতা করিল, ঈশ্বর চতুরতা করিলেন, ঈশ্বর চতুর শ্রেষ্ঠ’-এই মহাবাণীই সত্য হয়ে দেখা দেয়। ক্ষণিকের  মোহ, ভোগ-বিলাস, নেতৃত্ব ও ক্ষমতার আসনচ্যুত হওয়ার পর সমাজে তাদের আর কোনো মূল্য থাকে না। অন্যসব প্রাণীর মতোই জীবন-যাপন ওদের, মৃত্যুর পর কেউই তাদের স্মরণ করে না। ইংরেজ আমলের ঔপনিবেশিক মানসিকতার এই সব ধূর্ত নেতা-পাতি নেতাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু অনেক সতর্কবাণী আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আগামী ২১-২২শে অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে সেখানে এ রকমের নীতিহীন কেউ যাতে স্থান না পায় সে ব্যাপারে যত সতর্ক হওয়া যাবে, এক্ষেত্রে যতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির সফলতাও হবে ততটুকু। কারণ, এই দলটি স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব, দেশের সকল সামাজিক শক্তিগুলোর সাথে এ দলেরই যোগসূত্র সবচেয়ে বেশি। এ দলের নেতৃত্ব থেকে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খাও বেশি।

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের আজ ভাগ্য ভাল যে, বহু ঘাত-প্রতিঘাত ও জীবনের ওপর হুমকি মোকাবেলা করে অপরিসীম সাহসিকতা নিয়ে দেশ পরিচালনার নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পাকিস্তানী আমলেও বঙ্গবন্ধু নিজেও এমন সাহসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে গেছেন। দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে-এটাই ছিল বঙ্গবন্ধু জীবনের একমাত্র কামনা। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর এই কামনা-বাসনা পূরণ করতে যারা নিবেদিত নন, তাদেরকে এদলের নেতৃত্বের কোথাও স্থান দেয়া হবে-না-এটাই আজ দেখতে চায় দেশবাসী। দেশ আজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশি-বিদেশি সকল শুভ শক্তির সমর্থন ও আশীর্বাদ রয়েছে এই দল ও তার সরকারের ওপর। দলের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সচেতন মানুষদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিপুল ঔৎসুক্য। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো দিন বসে ছিল না, এখনো নিশ্চয়ই বসে নেই-এটাই স্বাভাবিক। সেই প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যোগ্য, মেধাবী, জনমুখী, দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এবং তারা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ বিনির্মাণে সফলভাবে এগিয়ে যাবে-এটাই আজ দেশের সচেতন ও বিবেকবান মানুষদের প্রত্যাশা। তবেই হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শের বাস্তবায়ন এবং তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন