বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫

জাতি জানতে চায় - ৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস নয় কেন?



জাতি জানতে চায়
৭ মার্চস্বাধীনতা দিবস নয় কেন?

সংলাপ ॥ ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। বাঙালি জাতির মহাক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দিনে গোটা জাতিকে দেখিয়েছিলেন মুক্তির পথ, স্বাধীনতার দিশা  আর  গেরিলা যুদ্ধের দিকনির্দেশনা। গেয়েছিলেন শিকল ভাঙার গান। ১৯ মিনিটের ভাষণে ১১০৮টি  শব্দে  মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু বাঙালির চেতনায়  স্বাধীনতার যে বীজ বপন করেছিলেন, ৯ মাসে  রক্তস্নাত হয়ে সে বীজই ফলবান হয়েছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব  পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন লাভ করে। ’৭১-এর ৩ জানুয়ারি জনপ্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন। ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের বৈঠক আহ্বান করা হয়। এ প্রেক্ষিতে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৭ ফেব্রুয়ারি  ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে পার্লামেন্টারি পার্টির সভা  ডাকলেন। আলোচ্য বিষয় - পাকিস্তানের খসড়া সংবিধান।  সভা চলে ১ মার্চ পর্যন্ত। বুঝা যায়, নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বাধিকার অর্জনের আশা তখনও  ছিল।  কন' ১ মার্চ, ৩ মার্চে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন স'গিত করা হলো। ফলে  বাঙালিদের রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দাবি যে শাসকরা মানবেন না, তা স্পষ্ট হলো। মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ করতে থাকে - এবার আর ছয় দফা নয়, ‘এক দফা’ অর্থাৎ বাংলার স্বাধীনতা আদায় করতে হবে।  জনতা স্রোতের মতো ছুটে যায় পূর্বাণী হোটেলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সেদিনই ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা বাংলাদেশে হরতাল আহ্বান করেন ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে জনসভা ডাকেন। ১ মার্চ  বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সরকার কারফিউ জারি করে। কিন্তু জনগণ কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভ করে।
২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ডাকা গণজমায়েতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন সেই সময়কার ডাকসুর ভিপি আসম আবদুর রব। পরদিন ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে জনসভায়  বঙ্গবন্ধুর  উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ।  জনসভায় উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল চলতে থাকে।  ৬ মার্চ ইয়াহিয়া ঢাকায় ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন প্রস্তাব করেন। আওয়ামী লীগ থেকে ঘোষণা করা হয়, পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের ওপর সেনাবাহিনী যে গুলি চালিয়েছে তার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন আলোচনা নয়। এদিকে ৬ মার্চ, ১৯৭১ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে কিছু রাজবন্দিসহ ৩২৫ জন কয়েদি পালিয়ে যান। সে সময় গুলিতে নিহত হন ৭ কয়েদি। সারাদেশে চলতে থাকে বিক্ষোভ মিছিল, লাঠিমিছিল।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী ৭ মার্চ বেলা ২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রেসকোর্স ময়দানে সকাল থেকেই বাঁধভাঙা স্রোতের মতো বিক্ষুব্ধ বাংলার সংগ্রামী জনতার উত্তাল তরঙ্গ আসতে থাকে। লাখ লাখ মানুষের সমাগমে জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আকারের বিশালত্ব আর সংগ্রামী চেতনার বৈভবে এই জনসমুদ্র ছিল এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ! জনতার চেতনায় হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন - ‘স্বাধীনতা’, আর কন্ঠে সেস্নাগান -  ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, সোনার বাংলা মুক্ত করো’; ‘স্বাধীন করো স্বাধীন করো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।
রেসকোর্স ময়দানে যাতে বঙ্গবন্ধু আসতে না পারেন সেজন্য সর্বত্র নজরদারি ছিল। তাই সবার চোখে মুখে প্রশ্ন ছিল কখন আসবেন শেখ মুজিব? প্রিয় মাতৃভূমির এ ক্রান্তিলগ্নে কী  তিনি? বিকেল  ৩টা ১৫ মিনিটে  সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, কালো কোট পরিহিত বঙ্গবন্ধু দাঁড়ালেন মঞ্চে, বাংলার মানুষ করতালি ও স্লোগানের মাধ্যমে অভিনন্দন জানালেন তাদের প্রিয় নেতাকে। নেতার চোখে-মুখে সংগ্রামী শপথের দীপ্তি। জনতার চেতনায় যেন আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ। ভেতরে বিপ্লব ও দ্রোহের আগুন কিন্তু বাহিরে প্রশান্ত গাম্ভীর্য নিয়ে পিনপতন নিস্তব্ধতার মধ্যে ডুবে জনতা শোনছে সমূদ্রের গর্জন। ঐশী বাণীর মতো এক দিকনির্দেশনা নিয়ে এলেন তিনি। খুব কম কথায়, সহজ ভাষায় তুলে ধরলেন বঞ্চনার ইতিহাস - ‘১৯৫২ সালে আমরা রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও গদিতে বসতে পারিনি। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বছর আমাদের গোলাম করে রেখেছে।’ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেয়ার অনুরোধ যে ইয়াহিয়া খান রাখলেন না, তা-ও মনে করিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি মানুষের ভাষা বুঝতেন। তাই বললেন - ‘বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।’ বঙ্গবন্ধু সেদিন উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, দেশের মানুষের অধিকার চাই’। অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচারের বর্ণনা দিতে দিতে অসহযোগ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়ে বললেন - ‘আজ থেকে বাংলাদেশে কোর্টকাছারি, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’ তিনি বললেন, ‘আটাইশ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন’। ‘এরপর যদি বেতন দেয়া না হয়, এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় - তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ এটাই  স্বাধীনতার ডাক, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ অভুদ্যয়ের ঘোষণা। তিনি  জানতেন এ ঘোষণার ফলে পাকিস্তান সরকার তাকে গ্রেফতার করবে, তাই তার অবর্তমানে কী করতে হবে তার নির্দেশনা দিয়ে  তিনি বলে দিয়েছিলেন-‘রাস্তা-ঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব।’
সবশেষে এলো চূড়ান্ত ঘোষণা, বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন ধ্বনিত হলো শ্রেষ্ঠ বাঙালির মুখে - ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের  সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ বজ্র নিনাদ ঘোষণায়  বিদ্রোহের আগুন লেগে যায় মুক্তি পাগল বাঙালির রক্তে। বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে লাখো  কণ্ঠে ধ্বনিত হয় - ‘জয় বাংলা’, ফুঁসে উঠে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা,  মুক্তির  সংগ্রামে জীবন দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে  উঠে  বাংলার মানুষ।
মুক্তিসংগ্রামের অগ্নিশপথে ভাস্বর, ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত নিরস্ত্র মানুষ সেদিন থেকে সশস্ত্র হয়ে ওঠে; তাদের চোখ-মুখে ফোটে উঠে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দৃঢ় শপথ। ৮ মার্চ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় যুদ্ধের ডাক। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলার জন্য প্রস'ত হতে থাকে বাঙালি। কোথাও কোথাও শুরু হয় প্রতিরোধ ও সরাসরি আক্রমণ। মুক্তিপাগল তরুণ-যুবকরা থানা আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তরুণ ও যুবকরা সাবেক সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শুরু করে এ সময় থেকেই। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন বেগম মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে ৮মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করে। ছাত্রছাত্রীরা ডামি রাইফেল কাঁধে নিয়ে মার্চপাস্ট করে নগরীর রাজপথে।
এদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ১০ দফা ঘোষণায় বলা হয়, চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত খাজনা-ট্যাক্স, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাইকোর্ট, সচিবালয়, বেতার, টেলিভিশন কেন্দ্রসহ সব স্থানেই হরতাল পালিত হবে এবং ঘরে ঘরে উড়বে কালো পতাকা। বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ও নির্দেশ যথাযথভাবে প্রচার ও প্রকাশিত হবে। বিমান, রেল ও সমুদ্রবন্দর খোলা থাকবে। টেলিফোন যোগাযোগ চালু থাকবে। স্টেট ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংক থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে কোন অর্থ পাচার করা যাবে না।
৭ মার্চের ভাষণ বেতারে সরাসরি প্রচারিত না হওয়ায় বেতারের বাঙালি কর্মী, কলাকুশলী ও শিল্পীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রচন্ড  বিক্ষোভে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয় ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পরদিন বেতারে প্রচারের অনুমতি দিতে। বেতারে ভাষণটি প্রচার হওয়ার পর স্বাধীনতার ঢেউ উঠে সারা দেশে। প্রতিটি জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও গ্রামে গঠিত হতে থাকে সংগ্রাম পরিষদ। ৮ মার্চ পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ ‘কোন অরাজকতা বরদাশত করা হবে না’ বলে এক দীর্ঘ প্রেসনোট জারি করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর প্রেসনোটের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘অভূতপূর্ব ঐক্যে বলীয়ান বীর বাঙালিকে কোন হুমকি-ধামকি দিয়ে স্বাধিকার আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে দেশব্যাপী যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে, চূড়ান্ত বিজয়ের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’
মোদ্দা কথা, ৭ মার্চের ভাষণে ছিল অসহযোগ আন্দোলন ও গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা। এ ঘোষণা থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তাই ৭ মার্চের ভাষণ শুধু একটি ঐতিহাসিক ভাষণই নয়, এ ভাষণই স্বাধীনতার ঘোষণা।  ভাষণের প্রতিটি শব্দ স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত। প্রতিটি শব্দ তেজস্বী ও যুক্তিপূর্ণ, তীক্ষ্ণ ও বলিষ্ঠ। এ ঘোষণার পরই পাকিস্তান সরকারের প্রশাসন অচল হয়ে যায়, পূর্ববাংলা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে। গোটা জাতি যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং স্বাধীনতা অবিচ্ছেদ্য। তবু, কেন স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অর্থহীন এবং অনাবশ্যক বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো! স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলোকে তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে সংকীর্ণতা ও মিথ্যাচারের উর্ধ্বে উঠে দূরদর্শিতার পথ ধরে।
রেসকোর্স ময়দানেই এ দেশের মানুষ সত্তরের ৭ জুনে ৬ দফার জয় নিনাদ শুনেছে, একাত্তরের  ৩ জানুয়ারি শুনেছে ৬ দফা ও ১১  দফা বাসৱবায়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অগ্নিশপথ, আর একাত্তরেরের ৭ মার্চে দশ লক্ষ বাঙালি প্রতক্ষ্যভাবে শুনেছে স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ধ্রুব সত্যকে আর বেশিদিন দাবায়ে রাখা যাবে না।
‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’, ‘আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব’, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের  সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এসব আহ্বানেও যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না থাকে তাহলে আর কোন্‌ বার্তায় এর চেয়ে স্পষ্ট স্বাধীনতার ঘোষণা আছে তা জাতির সামনে তুলে ধরা হোক। তা না হলে জনগণকে জানিয়ে দেয়া হোক - ৭ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় না কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন