মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রুমীর অমৃত বাণী - ১

রুমীর অমৃত বাণী - ১

·        গতকাল আমি চতুর ছিলাম তাই পৃথিবীকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। আজ আমি বুদ্ধিমান হয়েছি, তাই নিজেকেই বদলে দিচ্ছি।
·        তুমি তো সমুদ্রের মাঝে কোন জলবিন্দু নও, তুমি এক ফোঁটা জলবিন্দুর মাঝে সম্পূর্ণ এক সমুদ্র।
·        শুধুমাত্র এই হৃদয় দিয়েই তুমি আকাশ ছুঁতে পারো।
·        তুমি শাখা-প্রশাখায় যা কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছ, তা শুধু শেকড়েই পাওয়া যায়।
·        আঁকড়ে ধরে রাখা আর চলে যেতে দেয়ার এক ভারসাম্য হলো জীবন।
·        গলে যাওয়া বরফের মতন হও। নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে দাও।
·        দুঃখ করো না। তুমি যা হারাও তা অন্য কোন রূপে তোমার কাছেই ফিরে আসবে।
·        তোমার চালাকি বিক্রি করে মুগ্ধতা কিনে নিয়ে এসো।
·        বসো, স্থির হও, আর খেয়াল করে শোনো, কারণ তুমি কিন্তু এখন মাতাল, আর আমরা আছি ছাদের একদম কিনারায়।
·        তুমি যখন পথ ধরে হাঁটতে শুরু করবে, সামনের পথ তখন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে।
·        তুমি জন্মেছিলে দু'টি ডানা নিয়ে। কেন তবে জীবন ভর হামাগুড়ি দিতেই তোমার এত পছন্দ?
·        তুমি যে কষ্টদের সহ্য করছ তারা তোমার কাছে বার্তাবাহক হয়ে এসেছে, তাদের কথা শোনো।
·        তোমার নিজের হৃদয়ের মাধুর্য খুঁজে বের করো, তখন সম্ভবত সবার হৃদয়ের মাধুর্য তুমি খুঁজে পাবে।
·        প্রার্থনা কুয়াশাকে দূর করে প্রাণের শান্তিকে ফিরিয়ে দেয়।
·        যাও, তোমার নিজ হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়ো।
·        তুমি যদি তোমার মাঝে আমাকে খুঁজে না পাও তাহলে আর কোথাও পাবে না কোনদিন। আমি তো তোমার মাঝেই ছিলাম, আমার সূচনা থেকে।
·        হতাশ হয়ো না! কেননা সবচেয়ে তীব্র হতাশার মূহুর্তগুলোতে আল্লাহ আশার আলো পাঠিয়ে দেন। ভুলে যেয়ো না, চারপাশ আঁধার করে আসা ঘনকালো মেঘ থেকেই তুমুল বৃষ্টি হয়ে থাকে।
·        তোমার ভেতর এক সকাল অপেক্ষায় আছে উজ্জ্বল আলো হয়ে বিস্ফোরিত হবে বলে।
·        যদি কবিতার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে বসন্তও ফিরে ফিরে আসবে।
·        যখন তোমাকে দিতে কেউ হাতে স্বর্ণ তুলেছে, তখন তুমি তার হাতের দিকে তাকিয়ো না, কিংবা স্বর্ণের দিকেও না। তুমি যে দিচ্ছে তার দিকে তাকাও।
·        কষ্টের উপশম কষ্টের মাঝেই আছে।
·        তোমার কিছু চিন্তাকে ঘুম পাড়াও! ওদের ছায়া হতে দিও না, তোমার অন্তরের চাঁদটাকে ঢেকে ফেলে যে ছায়া। ছায়ারূপী ভাবনায় নিমগ্ন থেকো না।
·        আমি সমস্ত কাঁটা তুলে ফেলতাম! কিন্তু তুমি আবার ফিরে এলে, আমার কন্টকময়তাকেই করে তুললে পাঁপড়ি শোভিত সুগন্ধময়।

·        এমন কি যখন পৃথিবী দগ্ধ হয়, সুপ্ত বীণার তান তখনও বেজে যায়। গ্রন্থি পড়ুক সহস্র, রজ্জু কিন্তু একটাই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন