‘বর্তমান সংলাপ’ : ফিরে দেখা এক বছর
ফরিদা ॥ সত্য ও সুন্দরের আবাহনে মানবসেবার ব্রত নিয়ে ১৯৯৩ সালের অগ্রহায়ণ মাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ’ এর। প্রকাশনার শুরুতে এটি মাসিক অত:পর ১৯৯৭ সালের জুন মাসে উত্তরণ ঘটে সাপ্তাহিক হিসেবে। সুদীর্ঘ ২০ বছরের নিরবচ্ছিন্ন পথ চলায় বর্তমান সংলাপ প্রকাশনা জগতে রাখছে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। প্রকাশনার শুরুতেই সূফী সাধক আনোয়ারুল হক ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন - ‘বর্তমান সংলাপ মাসিক আছিল, সাপ্তাহিক হইছে, একদিন দৈনিক হইব’। মহান সাধকের আশীর্বাদপুষ্ট ‘বর্তমান সংলাপ’ ফুলে ফলে প্রস্ফুটিত হয়ে এগিয়ে চলেছে সেদিকেই।
যুগে যুগে মানবজাতির কাছে সত্য ও শান্তির বারতা নিয়ে সূফী সাধকগণের আবির্ভাব হয়েছে। তিনজন মহান সূফী সাধকের আশীর্বাদধন্য সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ সত্য প্রতিষ্ঠার দায়বদ্ধতা থেকে সৃষ্টি। “আমরা নিরপেক্ষ নই-সত্যের পক্ষে” - এই ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিকতার জগতে বর্তমান সংলাপ বলিষ্ঠ ভূমিকায় সমুজ্জল। সত্যানুসন্ধানীগণ বর্তমান সংলাপের মধ্যে খুঁজে পান সমাজ,
রাষ্ট্র ও জীবন চলার পথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা, সমস্যাবলী থেকে উত্তরণের পথ ও পদ্ধতি। বর্তমানে যুগোপযোগী কর্ম সাধনায় নিজেকে উজ্জীবিত করতে কর্ম-মানবতা-শান্তি ও সত্যের আলোয় চলা ব্যতীত মানবজাতির সম্মুখে আর কোন বিকল্প পথ নেই। বর্তমান সংলাপ সমাজে শান্তি স্থাপনে, মানবতার সেবায় ও জীবন চলার পথের দিক নির্দেশনা প্রদানে রেখে চলেছে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, অনুসন্ধানী ও চিন্তাশীলদের জন্য রেখে যাচ্ছে অনবদ্য লেখনী ও গবেষণাধর্মী নিবন্ধসমূহ।
কাল পরিক্রমায় বর্ষপূর্তির দ্বারপ্রান্তে এসে বর্তমান সংলাপের ফিরে দেখা এক বছরের চমকপ্রদ লেখনীগুলোর দিকে তাকালে পাঠককূল আবেগে আপ্লুত, সত্যের অমোঘ স্পর্শে মোহিত না হয়ে পারেন না। বাংলা ও বাঙালির জীবনে বিগত এক বছরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চমকপ্রদ ফিচারসমূহ এর অলংকার, নিম্নে সেই অলংকারেরই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো----
বিশ্লেষণধর্মী ফিচার ও নিবন্ধঃ
বাংলার রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক অঙ্গনের নানাবিধ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা বছর জুড়েই দেশ ও জাতির কল্যাণে বর্তমান সংলাপে প্রকাশিত হয় জরুরী বার্তা, বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ ও প্রতিবেদন, সেগুলোর শিরোনাম ছিল- ২০১৩ সালের শুরুতে ১৭ বর্ষ ১ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল-
‘রাজনীতিকদের আত্মবিশ্লেষণ জরুরী’, আরও নছিল ধন্য অগ্রহায়ণ মাস, বিফল জনম তার নাহি যার চাষ, ‘রাজনীতি নয়, এখন চাই জননীতি, ‘আদর্শিক জননীতি হোক রাজনীতি, ‘রাজনীতিকদের জনগণের ভাষা বুঝতে হবে, ‘জাতিকে আর ভূতের ভয় দেখাবেন না, ‘গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ নেই, ‘মূল্যবোধ বাড়াতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের সংজ্ঞা চাই, ‘সংবিধানে মৌলিক অধিকার পরিপন্থী অনুচ্ছেদ, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নৈতিকতার পরাজয়, ‘জাতি সত্যের পথ ধরে শান্তি চায়, ‘প্রয়োজন সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ‘জাতির কাছে আজ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকল্প নেই, ‘জাতি চায় - আবেগে বেগবান হোক রাজনীতিকরা, ‘বাঙালি চেতনার জাগরণ চাই চরম সংকটে, ‘কর্মই হোক আগামী ইতিহাস, ‘প্রয়োজন সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ‘পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে সমাজে শান্তি রক্ষা করতে হবে।
ধর্ম অপব্যাখ্যাকারী ও ধর্মজীবীদের বিরুদ্ধে বর্তমান সংলাপঃ
ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করছেন, বর্তমান সংলাপে বছর জুড়েই সেইসব ধর্মজীবীদের উদ্দেশ্যে ছিল সতর্কবার্তা, প্রতিবাদ, সোচ্চার কণ্ঠ,
তেমনি বাতলে দেয়া হয়েছে সরকার ও জনগণের জন্য এ থেকে পরিত্রাণ লাভের বিভিন্ন উপায়। তারই কিছু শিরোনাম - ‘ধর্মীয় আধিপত্যবাদের কবলে বাংলাদেশ। ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতেই হবে। ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কুরআন বিরোধী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে হবে, ‘আমরা কুরআনিক ইসলাম চাই, জামাতে ইসলাম চাইনা। ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে হাতিয়ার করে যুদ্ধাপরাধীদের ইসলামপন্থী বলা হচ্ছে, ‘রাজাকার তারপরও মাওলানা ! জনগণ তাকিয়ে আদালতের দিকে, ‘যুদ্ধাপরাধীদের নামের আগে ‘মাওলানা’ লেখা বন্ধ করুন,
‘মাওলানা বলা-ডাকা-লেখা শিরিক, ‘অর্থনীতিতে ধর্মজীবীদের দাপট,
‘উন্নয়নের বড় প্রতিবন্ধক ধর্মান্ধতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি, ‘ধর্মান্ধতার প্রতিরোধ সময়ের দাবি, ‘ধর্মের নামে সন্ত্রাস উন্মাদনায় আক্রান্ত স্বদেশ, কি করছে সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়, ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হারাম, ‘সংবিধানে ‘ আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের দাবি কি কুরআন সম্মত?’ ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘুমাচ্ছে, যুগোপযোগী খোতবা কবে হবে?’ ‘দেশের হেফাজত করতে না পারলে ধর্মের হেফাজত করা যায়না, ‘ধর্মান্ধতার প্রতিরোধ সময়ের দাবি, ‘ইসলামী নয়, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের নিদর্শনগুলো রক্ষা করছে ওয়াহাবিরা, ‘বিশ্বজুড়ে ওহাবী সন্ত্রাস ও উগ্র চিন্তাধারা ছড়াচ্ছে সৌদি আরব।
গণ-জাগরণের সাথে একাত্মতায় বর্তমান সংলাপঃ
বাঙালির অসীম বীরত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। এর সূচনা ১৯৫২ এর পূর্বেই। ইতিহাসে দেখা যায় ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও গণবিস্ফোরণের মুখে পাকি.
নেতা আউয়ুব খানকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় জানায় জনতা। অথচ বর্তমান স্বাধীন দেশের ধর্মজীবীদের অপপ্রচারে ও অপব্যাখ্যার কবলে পড়ে অনেকে শাহবাগের গণআন্দোলনকে অনৈসলামিক আখ্যা দিয়েছে, এদেরই একাংশ ৭১’র মুক্তিযুদ্ধকেও ইসলাম বিরুদ্ধ বলেছিল। এমনকি এরা বাঙলার মুসলমান ঘরের তরুণদের নাস্তিক আখ্যা দিতেও পিছপা হয়নি, সাথে সুর মিলাচ্ছে দেশের একশ্রেণীর ধর্মান্ধ ও ধর্মভীরু মুসলমান। প্রকাশনা জগতে ও সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রত্যয়ী ‘সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ’ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা শাহবাগের এই গণআন্দোলন এর সাথে শুরু হতেই একাত্মতা প্রকাশ করে আসছে এবং তুলে ধরেছে বিভিন্ন সাহসী প্রতিবেদন-
‘গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় গড়ে উঠুক বাংলাদেশ, ‘নবযাত্রার শুরু হলো,
‘নব নেতৃত্ব অভ্যুদয়ের পথে, তোরা সব জয়ধ্বনি কর, ‘শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর যুবশক্তির একাত্বের মেলা, ‘জাতীয় কলংকের দাগ মোছাতে নতুন প্রজন্মের অঙ্গীকার, ‘নব্য রাজাকারদেরও চিনে নেয়ার সময় এখনই,
‘কুরআনের আলোকে নাস্তিক কারা?, ‘কুরআনে নাস্তিক বলে কিছু নেই,
বাংলাদেশে কেউ নাস্তিক নয়, ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা না দেয়া পর্যন্ত নাস্তিক মুরতাদ ফতোয়া নিষিদ্ধ করুন,
‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, ‘সত্যের জয় আর মিথ্যার পরাজয়- কথা ও কাজে এক হলেই দেশের মঙ্গল, ‘যুব সমাজের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই, ‘নারী জাগরণী সমাবেশে হাক্কানী মহিলা পরিষদ, ‘কোন্ ইসলামের হেফাজত চায় ওরা?, ‘ধর্মান্ধদের নারী বিদ্বেষী কার্যক্রম ইসলাম পরিপন্থী।
ধর্মীয় গবেষণায় বর্তমান সংলাপঃ
ধর্মীয় অঙ্গনে ইসলামের মূল বার্তাগুলো তুলে ধরে বিগত বছরে বর্তমান সংলাপ সত্যের কান্ডারীরূপে
আবির্ভূত হয়। একই সাথে কুরআনের শিক্ষা তুলে ধরে বিভিন্ন গবেষণাধর্মী নিবন্ধ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ধর্মীয় লেখনীর উপর গবেষণাধর্মী ধারাবাহিকগুলো ছিল বরাবরই পাঠকসমাজে সমাদ্রিত। তারই কিছু চুম্বক অংশ নিম্নরূপ- ‘ধারণ পদ্ধতির সংস্কার ব্যতীত ধার্মিক হওয়া যায় না,
‘আন্তর্জাতিক ত্যাগ দিবস চাই, ‘দারিদ্র বিমোচনে ১১১ টি ছাগল বিতরণ, ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ভাটেরচর কাজলডাঙ্গা আস্তানা শরীফ,
‘যে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করল সে যেন গোটা মানব জাতিকেই হত্যা করল, ‘আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন কেন?, ‘আল্লাহ কেন এক উম্মত বানান নি?, ‘আল্লাহর আরশ কোথায়? ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাই ধর্মদ্রোহীতা, ‘ইমামতি পেশা হতে পারেনা, ‘হজ শর্ত সাপেক্ষে একবারই করণীয়, ‘আল্লাহ ও আগুন আজও আছে নেই শুধু ইব্রাহিম, ‘কুরআনের আলোকেঃ প্রকাশ্যে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ, ‘দুনিয়াতে কাফেরের শাস্তির বিধান নেই,
‘মাদ্রাসা শিক্ষা কি ধর্ম শিক্ষা?, ‘মুহাম্মদী ইসলাম কোথায়?, ‘পরিত্রাণ কি কোন ধর্মের একচেটিয়া অধিকার?, ‘ফতোয়া ধর্মভীরু মানুষের উন্নতির পথে অন্তরায়, ‘কুরআনের আলোকে বাক স্বাধীনতা, ‘ধর্ম মানবতার জন্য- তুমি কি দেখেছ তাকে যে ধর্মকে অস্বীকার করে?, ‘মাগফেরাত কামনা করা কতটুকু ধর্মসম্মত? ‘আসল মৌলবাদ কি?
সত্য অনুসন্ধানে বর্তমান সংলাপ এর ধারাবাহিক নিবন্ধঃ
বছরের শুরু হতেই সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণাধর্মী ধারাবাহিক প্রবন্ধসমূহ প্রকাশ করে পাঠক সমাজে বিপুল সমাদ্রিত হয়। ইসলামের স্বরূপ সন্ধানে, কিংবা মানবজাতির আত্মজাগরণে প্রকাশিত ২০ টিরও অধিক গবেষণাধর্মী ধারাবাহিক অনুসন্ধিৎসুগণকে সত্য অনুসন্ধানে শক্তি ও প্রেরণা দিয়েছে এবং দিচ্ছে, বর্তমান সংলাপের সেই অলংকারের কিছু চিত্র -
‘ধর্ম মানবতার জন্য - তাহলে পুণ্য আছে কোথায়? ১৭ বর্ষ ১ সংখ্যা হতে ১০ সংখ্যা পর্যন্ত ৮ পর্বে ধারাবাহিকটি সমাপ্ত হয়।
‘গুরু’- এই ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৬ সংখ্যা হতে শুরু হয়ে অদ্যাবধি নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। জীবন চলার পথে মানুষ কোন্
আদর্শকে ধারণ করে কিভাবে জীবন যাপন করলে জীবনের মূল লক্ষ্যে পৌছুতে সক্ষম হতে পারেন, সেখানে গুরুর কি ভূমিকা, মানব জীবনে গুরুর আবশ্যকতাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে পাঠককূল চমকপ্রদ তথ্য জানতে পারছেন।
‘ধর্ম মানবতার জন্য’ - আমরা কি স্বাধীন? ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ১১ সংখ্যা হতে শুরু হয়ে ১৫ সংখ্যা পর্যন্ত ৫ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘ধর্ম মানবতার জন্য - ‘পুঁজিবাদ উৎখাতে কুরআন’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ১৬ সংখ্যা হতে ২৯ সংখ্যা পর্যন্ত প্রকাশিত হয়।
‘জাহানারা ইমামের গণআদালত থেকে গণজাগরণ মঞ্চ - একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’- ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ১৭ সংখ্যা হতে ১৯ সংখ্যা পর্যন্ত ৩ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘হেফাজতে ইসলাম’ বিষয়ে গবেষণাধর্মী ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ১৮ সংখ্যা হতে ২৩ সংখ্যা পর্যন্ত ৬ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘রাজাকার শক্তির পুনরুত্থান’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ২৪ সংখ্যা হতে ২৯ সংখ্যা পর্যন্ত ৬ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘মানুষের ধর্ম
- মানবতার জন্য হোক’
ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ২৪ সংখ্যা হতে ২৫ সংখ্যা পর্যন্ত ২ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘কি করে বাঙালি মুসলমান হয়ে গেল’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ২৭ সংখ্যা হতে ৩১ সংখ্যা পর্যন্ত ৪ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘বিভ্রান্তির বেড়াজালে তারাবী নামাজ’ ১৭ বর্ষ ২৮ সংখা হতে ২৯ সংখ্যা পর্যন্ত ২ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘আমি’ - ভাবনা ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৩১ সংখ্যা হতে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলছে।
‘জয়- পরাজয়’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৩১ সংখ্যা হতে ৪১ সংখ্যা পর্যন্ত ১০ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘পাকিস্তানঃ কাপুরুষোচিত নেতৃত্বের পরিবর্তন হচ্ছেনা’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা হতে ৩৮ সংখ্যা পর্যন্ত ৫ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘হাকীকতে সিরিয়া’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৩০ সংখ্যা হতে ৩৫ সংখ্যা পর্যন্ত ৫ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘কুরআনে নিজকে খুঁজো’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৩৪ সংখ্যা হতে ৩৫ সংখ্যা পর্যন্ত ২ পর্বে সমাপ্ত হয়।
‘বর্গী এলো দেশে’ ধারাবাহিকটি ১৭ বর্ষ ৪২ সংখ্যা হতে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলছে।
সময়ের সাফ কথাঃ
বিগত এক বছরে বর্তমান সংলাপে ‘সময়ের সাফ কথা’
শিরোনামে শুরু হয়ে যে সকল নিবন্ধ প্রকাশিত হয় সেগুলো হলো -
‘কুরআনের আলোকে সময়ের সাফ কথা
- নারী পুরুষ সম্পর্কিত কটুক্তি, ‘সময়ের সাফ কথা
- রাজনীতিকদের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের রাজনীতি, ‘সময়ের সাফ কথা
- একজন কুরআনিক মুসলিম ব্যক্তিত্ব।
‘সময়ের সাফ কথা মর্ম্মে - বেহেশত্-দোযখ, ‘সময়ের সাফ কথা
- আত্মশুদ্ধির পথে জীবন উৎসর্গ, ‘সময়ের সাফ কথা - আমি যে তোমার, ‘সময়ের সাফ কথা - সংবিধানকে তেজপাতা বলা রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ‘সময়ের সাফ কথা - এখন বিভেদের সময় নয়, ‘সময়ের সাফ কথা - গণতন্ত্র কেবল নির্বাচনী খেলা নয়,
‘সময়ের সাফ কথা - বাঙালি চেতনার জাগরণ চাই চরম সংকটে।
এছাড়াও সূফী সাধক আবু আলী আক্তারউদ্দিন ও সূফী সাধক আনোয়ারুল হক স্মরণে মিরপুর আস্তানা শরীফসহ দেশ ও বিদেশে অবস্থিত সকল হাক্কানী দরবার, আস্তানা ও খান্কা শরীফে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সচিত্র প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপে। বিশেষ করে গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে উদ্যাপিত মিরপুর আস্তানা শরীফের রজত জয়ন্তী’র সচিত্র প্রতিবেদন পাঠকের কাছে ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক।
তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের এই অঞ্চলে আবির্ভূত হাক্কানী ধারার সাধকগণ তাদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও আধ্যাত্মিক সাধনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে রেখে গেছেন জ্যোতির্ময় দ্যুতি। সেই জ্যোতি আজ দিক্ হতে দিগন্তে প্রসারিত। পুরনোকে সিঞ্চন করে নিত্য নতুন আলোয় উদ্ভাসিত ‘বর্তমান সংলাপ’ সেই শ্বাশত সত্যকে ধারণ করে মানব কল্যাণে নিবেদিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন