বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

লালন দর্শন প্রচারে বাধা আর কতকাল!!!

লালন দর্শন প্রচারে

বাধা আর কতকাল!!!

শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমিতে লালন উপেক্ষিত ॥ জাতীয়ভাবে লালন উৎসব  হয় না ॥ লালন একাডেমিতে সরকারের যুগোপযোগী কোন কর্মসূচি নেই ॥ নতুন প্রজন্মকে সত্যমানুষ সম্বন্ধে জানানোর কোন উদ্যোগ নেই ॥
নজরুল ইশতিয়াক ॥ বাঙালি রেনেসাঁর প্রাণ পুঁরুষ মহান সাধক লালন সাঁইজীর সৃষ্টিকর্মের উপর আঘাত নতুন নয়। সাঁইজীর জীবদ্দশায় ও পরবর্তী নানা সময়ে তাঁর অনুসারীদের উপর স্থানীয় উগ্রপন্থিদের হামলা, চুল কেটে ন্যাড়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা, একঘরে করে রাখার ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য বার। তৎকালীন মুসলিম লীগের মন্ত্রী শামসুদ্দীন আহমেদের নির্দেশে লালন আখড়ায় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন অবস্থায় শোধনসেবা ফেলে দেয়া ও লালন অনুসারীদের মারপিট করা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। অনুসন্ধানে দেখা যায় তথাকথিত ধর্মান্ধ মোল্লারা ফতোয়া দিয়ে বাউল নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে অনেক লালন ভক্তকে। ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়ার তৎকালীন ডিসির নির্দেশে বাউলদেরকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়া হয় আখড়া থেকে। রাজবাড়ীতে আহত করা হয় বহু বাউলকে, পন্ড করে দেয়া হয় বাউল অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন। সাম্প্রতিক কালে একাধিক বাউলকে হত্যা করা হয়েছে। মাঝে মধ্যেই সে সবের দৃশ্যায়ন হয় মাত্র।
সম্প্রতি নেত্রকোনায় ধর্মান্ধদের বাধার মুখে লালন উৎসব করতে দেয়া হয়নি। লিফলেট ছাপিয়ে ধর্মান্ধরা লালনের বাণীকে ধর্মীয় পরিপন্থি হিসেবে প্রচার করে। উগ্রপন্থি ধর্মান্ধদের অভিযোগের লিখিত উত্তর দেবার পরও প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। ইতোপূর্বে ধর্মীয় পবিত্রতা ক্ষুন্নের অজুহাতে ছেউড়িয়াস্থ সাঁইজী ধামে নির্ধারিত অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। টেলিভিশনে ধর্মীয় খোদবায় লালন বিরোধী ফতোয়া দেয়া হয় প্রকাশ্যে। তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যম ইউটিউবে তথাকথিত ভন্ড ধর্মজীবীরা সাঁইজীকে নিয়ে মনগড়া কত ফতোয়া দিয়ে রেখেছেন তা কানে না শুনলে অনুধাবন করা যাবে না। আজ পর্যন্ত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জাতীয়ভাবে লালন উৎসব করার প্রয়োজনীয়তা দেখায়নি। শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি , শিশু একাডেমিসহ সব সরকারী অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে লালনকে সচেতনভাবেই উপেক্ষা করা হয়েছে। এতকিছুর মধ্যেও ইতালি, জাপান, জার্মান, ফ্রান্স, কাতার, আমেরিকায় লালন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইতালিতে লালন শাহ্ সড়ক, ফ্রান্সে বাউল শিল্পীদের বিশেষ সরকারী সহায়তা, জাপানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা চোখে পড়ার মতো। জানা মতে বিশ্বের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন দর্শন পড়ানো হয়। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লালন পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। অথচ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে লালন দর্শনকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ভারতের কলকাতা আসাম বীরভূম অঞ্চলে লালন আরাধ্য নিত্য চর্চার বিষয়। আমাদের দেশে ও ভারতের বাউল ফকিরদের মধ্যে গভীর আন্ত:যোগাযোগ রয়েছে। ধর্ম পরিচয়ের উর্দ্ধে এ সম্পর্ক দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। সত্যি বলতে কলকাতা থেকেই লালন বিষয়ক বই সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে। ইউনেস্কোর তালিকায় রয়েছে লালন। জানা গেছে বছরে শতাধিক বিদেশী গবেষক আসেন  লালনকে জানতে, চিনতে বুঝতে। উপমহাদেশে সূফী সঙ্গিতে ফোক উৎসবে লালন চর্চা হয়। দেশে বিদেশের সাধনার পীঠগুলোতে ধর্ম বর্ণ সব পরিচয়ের উর্দ্ধে লালনবাণী গীত হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ব্যক্তিগত আগ্রহে লালন শিল্পীদের আমন্ত্রন করে গান শুনেছেন। বিভিন্ন দুতাবাসের কর্তাব্যক্তিরা সাঁইজীর আখড়া পরিদর্শন করে থাকেন। এত এত প্রাপ্তির ভীড়ে কেবলমাত্র নিজ দেশে রাষ্ট্র ও প্রগতিশীল নামধারী রাজনৈতিক শক্তির কাছে লালন উপেক্ষিত। রাজনৈতিক শক্তি লালনকে করুণা করে দয়া দাক্ষিণ্য করে এটিই এখন পর্যন্ত তাদের আচরনগত সত্য। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নামে মাত্র লালনস্মরনোৎসব করে থাকে। খুব নিম্ন মানের প্রকাশনা, এলোমেলো আয়োজন তাদের দৈন্যদশাকেই তুলে ধরে। জাতীয় পর্যায়ে লালন উৎসব করা হয় না। পরিচিত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কোন উদ্যোগ আগ্রহ নেই সাঁইজীকে ঘিরে। কর্পোরেটরা বাণিজ্যিক কারণে কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। বামপন্থিরা লালনকে অপ্রয়োজনীয় তুচ্ছ মনে করে আর আওয়ামীলীগ ব্যবহার করে লোক লজ্জার ভয়ে।
লালনপন্থিদের উপর হামলার লম্বা পরিসংখ্যান রয়েছে। এমনকি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কিভাবে লালনকে অবজ্ঞা করা হয়েছে, আজও করা হচ্ছে তা নিয়ে বিস্তর দলিল দেয়া যেতে পারে। সাঁইজীর চৌহদ্দী দখল করে মূল পরিসরকে ছোটো করে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতার পর একদিকে নিয়ন্ত্রন ব্যবসা, অন্যদিকে পান্ডিত্যের ব্যবসাকেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে যা আজো অব্যাহত। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজবাড়ি, যশোর, ঝিনাইদহে লালনপন্থিদের উপর হামলা নির্যাতন খুব স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা লালন একাডেমি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের একজনও লালন অনুসারী নন। এমনকি ন্যূনতম শ্রদ্ধা-ভক্তিও তারা দেখাতে পারেননি। স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের আচরণে এটাই প্রমানিত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা লালন সাঁইজীকে উদ্ধার করতে এসেছেন। একাধিক জেলা প্রশাসক ও তাদের অধীনস্তরা মৎস শিকারী হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রমোদ বিহার অথবা আনন্দ আয়োজন চালিয়েছেন সাঁইজীর মাজারের সম্পদে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা মিলে মিশে লালন সেবার নামে, লালন বন্দনার নামে যথেচ্ছাচার অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও এটা সত্য যে প্রশাসনের বহু কর্তাব্যক্তি দায়িত্ব পালনের সুবাদে লালন সাঁইজীকে কিঞ্চিত জানার সুযোগ পান। আর এতে করেই সাঁইজীর ভক্ত হয়ে উঠেন তারা।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, স্বাধীন দেশে বিমান বন্দরের সামনে স্থাপিত লালন মূরল অপসারণ করতে হয়েছে তথাকথিত ধর্মান্ধ শক্তির চাপে। বাউল সাধু ফকিরদের চরম বিরোধিতার পরও মাজারের সাথে অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কিচ্ছা কাহিনী প্রচারের জন্য মাজারের আশপাশ জুড়ে যত্রতত্র আখড়া, আস্তানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পুরো মাজার এলাকাকে পর্যটনের আদলে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে যা সত্যধামের ভাব-গাম্ভির্যতাকে ক্ষুন্ন করছে নিঃসন্দেহে।
যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ পুরো মাজারের ভাব-গাম্ভির্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এবং দেশের তথাকথিত বিপ্লবী সাংস্কৃতিক বিজ্ঞজনেরা রাজধানীতে বসে যেভাবে দেশ ও জাতি নিয়ে কথা বলেন তাতে তাদের ভিতরের অন্ধকার বের হয়ে আসে। হাল আমলে তাদের লালনপ্রীতি সন্দেহের উদ্রেক করে। সুনামধারী এসব সংগঠকদের লুটপাট করা অর্থসম্পদের পরিমান জাতির সামনে উন্মোচিত হলে ভয়াবহ ক্ষত সামনে চলে আসবে। উপরন্তু এরা দেশে বসে দেশীয় সংস্কৃতির জাগরণ বন্দনায় মাতলেও নিজ সন্তানদের কর্পোরেট শিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অনেকের রয়েছে বিদেশে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী পন্ডিত নাট্যজন, শিল্পজন, আরাধ্যজনদের রুগ্নতার ক্ষত পুরো সংস্কৃতি অঙ্গনকেই শেষ করে দিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রকৃতপক্ষে কি হয়? খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানে অর্থের অপচয় ও লুটপাট চলে মহাধুমধামের সাথে। বাস্তব কোন পরিকল্পনা নেই, লক্ষ্য নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা একাডেমি থেকে লালন বিষয়ক বেশ কিছু প্রকাশনা বের করা হলেও অধিকাংশের পূর্ণ সংস্করণ করা হয়নি। অথচ তারা কত অনুৎপাদনশীলখাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে তা অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। নতুন প্রজন্মের কাছে লালনসহ সব পর্যায়ের সত্য মানুষকে দূরে রাখা হয়েছে। চলতি পথে যে সব ধান্দাবাজী আর তোষন বন্দনার ব্যানার চোখে পড়ে তাতেই তো এদের রুগ্নতার চিত্র চোখে পড়ে। আর অনুসন্ধান চিত্র তো আরও ভয়াবহ। বর্তমান সংলাপ পত্রিকায় সেসব কর্তাব্যক্তিদের কিংবা কারো ব্যক্তিগত সংবাদ প্রচারে উৎসাহ না থাকায় এ নিয়ে কোন কিছু লেখা থেকে বিরত থাকা গেল। তবে সময় এদের আত্মপ্রতারণার সঠিক জবাব লিপিবদ্ধ করে রাখবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
পাকিস্তান আমলে লালন পন্থীদের সমাজচ্যুত করে রাখার জন্য ওহাবী মোল্লারা একজোট ছিল। ৫০ এর দশকে মাওলানা শামসুদ্দীন মিনিষ্টার খ্যাত মুসলিমলীগের তৎকালীন মন্ত্রীর নির্দেশে লালনপন্থীদের নিজস্ব অনুষ্ঠানকে বাধা দেয়া হয়েছে। ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে মুসলিম লীগের নেতাকর্মীদের বহুমুখী অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী আজও প্রবীন বাউল অনুসারীদের মুখে মুখে ফেরে। ফলে গোপনে দূর দূরান্তে চলতো সাঁইজী স্মরনে নানা কর্মযজ্ঞ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, তৎকালীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে থেকে ভক্তগন লালন চর্চা চালিয়েছেন দীর্ঘ দিন। স্বাধীনতার পর এটি জনপ্রিয়তা পায়। বাউলরাই বাংলার গান হয়ে, প্রাণ হয়ে বাংলার জয়রথ তুলে ধরে। বাংলা ও বাঙালি একে অপরের সমর্থক। আর তাই মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের ধর্ম হিসেবে বাউলরাই উগ্রপন্থী কট্টরপন্থীদের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুখে বাঙালি, উদার, অসাম্প্রদায়িক দেশ নির্মাণ যেন রাজনীতির প্রবঞ্চক বচন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথায় কথায় প্রগতিশীলতার দাবিদাররা এটি বলতেই থাকেন। বিজয়ের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালির জাগরণ এসব যে কেবলই কথার কথা তা বুঝতে পারার জন্য কোন বিশেষ জ্ঞানের দরকার হয় না। আওয়াজ এবং আওয়াজসস্বর্বস্ব এসব কথা গভীর দৈন্যতা থেকে উৎসারিত তা বুঝা যায়। প্রথমত তারা বোঝেন না তারা কি বলছেন, কি বোঝাতে চান, দ্বিতীয়ত এটি একটি মারাত্মক অসুস্থতা। প্রশাসন ও রাজনীতির পরতে পরতে ওহাবী ও বর্ণচোরা ঘাতকেরা সক্রিয় রয়েছে। পুরো জাতিকেই এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে একদিন। দেশে সুষ্পষ্ট একটি বিভাজন থাকলেও প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির তথাকথিত ধারক বাহকরা তা অনুধাবনে অক্ষম। মাঠ পর্যায়ে লোকায়িত সহজ সত্য পথের কাজগুলোকে তারা আমলে নেন না। মাজার জিয়ারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ তাদের সাধক ওলি প্রেম। অন্যদিকে উগ্রপন্থি রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকরা এক্ষেত্রে চরম আন্তরিক। তারা মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র তাদের আন্ত:জালে বেধে রেখেছে। শিক্ষা সংস্কৃতির অভ্যন্তরে তাদের কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে কারিগরি ও চিকিৎসা শিক্ষা। এতিমদের যেহেতু তেমন কোন পিছুটান থাকেনা তাদেরকে এরা মাঠ পর্যায়ে একটি মানবিক কৌশল দিয়ে আটকে রেখেছে। বহুমুখী কর্মতৎপরতা অর্থাৎ বৃহৎ পরিকল্পনার বাস্তবায়নের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে উগ্রপন্থিরা।

লালন ফকিরকে না জানলে না বুঝলে পুরো জাতিকেই এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে। রাজনীতিজীবীদের বুঝতে হবে দেশ জাতি টিকে আছে সত্য মানুষের কর্মে আশীর্বাদে। বাঙালির হৃদয় জমিনের সত্য লালন। বাঙালির জাতিসত্ত্বার উৎসারিত সত্য লালন। লালনই আমাদের জাতীয় চেতনার ঠিকানা। লালনকে লালন না করে আমরা যা করছি তা চরম দৈন্যতাকেই প্রকাশ করছে বারবার। সচেতন সবাইকে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে কেন লালন সৃষ্টিকর্মের উপর এত হামলা এত বাধা। মূল কারণতো একটিই নিরবে নিভৃতে বাঙালির চেতনায় লালন সত্য হয়ে অন্য সব ধর্মজীবী ধর্মান্ধদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন