বিজয়ের ৪৫ বছর
লক্ষ্য এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ
শাহ্ ফুয়াদ ॥ ১৬ই ডিসেম্বর’ ২০১৬, মহান
বিজয় দিবসের ৪৫ বছর পার করছে বাংলাদেশ। সোনার বাংলা গড়ার চেতনায় সময়ের প্রয়োজনে আজ
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে দেশ। ত্রিশ লাখ শহীদের তাজা রক্তের
বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানী
হানাদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল এই বিজয়।
’৭১-এর ৭ই মার্চে যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম
আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সে উদ্যানেই ওই বছরের ১৬ই ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ দলিলে বাধ্য
হলো পাকিস্তানী বাহিনী। বাংলা ও বাঙালি জাতির এ এক আশ্চর্য ইতিহাস, এক অমোঘ সত্য। অথচ
এই সত্যকে মুছে ফেলার জন্য এদেশে কী অপচেষ্টাটাই না করেছে ১৬ই ডিসেম্বরের শত্রুরা,
স্বাধীনতার শত্রুরা। বাংলাদেশের বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাস এর স্বাক্ষী। কিন্তু সত্য সত্যই।
শত-সহস্র প্রতিকূলতা, ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করেও বাংলাদেশ টিকে রয়েছে। দিনে দিনে এর
জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে, কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ
আজ পরম সত্য, গর্বের বিষয়। তাই সমসাময়িক প্রসঙ্গ টেনেও আজ কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘সাবাশ বাংলাদেশ, পৃথিবী অবাক
তাকিয়ে রয়, সব জ্বলে-পুড়ে ছাড়খাড় তবু মাথা নোয়াবার নয়’!
বাঙালি জাতি কোনো দিন কি ভুলতে পারবে ১৬ই
ডিসেম্বরের পূর্বাপর ঘটনাবলী? সেদিনের অবিস্মরণীয় ঘটনাবলীর দিকে চোখ ফেরালে আজও উদ্বেলিত
হয় যে-কোন সচেতন বাঙালি।
৭ ডিসেম্বর: যশোর মুক্ত। বাংলা ও ভারতের
মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় ইষ্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক লে.
জে. জগজিৎ সিং অরোরার কম্যান্ডে। অরোরা জে. মানেকশ’র মাধ্যমে উভয় সরকারকে রিপোর্ট করবেন।
৮ ডিসেম্বর: ভারতের সরকারি মুখপাত্রের
ঘোষণা, পাকিস্তান যদি পূর্ববাংলায় তাদের পরাজয় স্বীকার করে নেয়, তবে সকল অঞ্চলেই ভারত
যুদ্ধ বন্ধ করবে।
৯ ডিসেম্বর: মেঘনার সমগ্র পূর্বাঞ্চল মুক্ত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন কর্তৃক অপেক্ষমান নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা করার
নির্দেশ।
১০ ডিসেম্বর: খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে দায়িত্ব
পালনকালে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন শহীদ হন, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের মালাক্কা
প্রণালীর পূর্বে অবস্থান, সিকিম-ভুটান সীমান্তে চিনা সৈন্যবাহিনীর তৎপরতা, হেলিকপ্টারযোগে
ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণ, ঢাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর ক্রমাগত বিমান আক্রমণ।
১১ ডিসেম্বর: ভারতের ছত্রীবাহিনীর সাতশ’
সৈন্যের কাদের সিদ্দিকী বাহিনীনিয়ন্ত্রিত মধুপুর এলাকায় অবতরণ। পাকিস্তানী ব্রিগেডের
সঙ্গে সংঘর্ষ। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও উপকূলীয় অবকাঠামো, জাহাজ, নৌযান ইত্যাদি সম্পূর্ণ
নিষ্ক্রিয় করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান ও যুদ্ধজাহাজের তৎপরতা।
১২ ডিসেম্বর : সকাল আটটায় নরসিংদী মুক্ত।
গত তিন দিনে ভারতীয় বাহিনীর পাঁচটি ব্যাটালিয়ন, দু’টি গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও ৫৭ ডিভিশনের
ট্যাকটিক্যাল হেডকোয়ার্টার মেঘনা অতিক্রম করে। সূর্যাস্তের আগে জামালপুর ও ময়মনসিংহ
থেকে ভারতের জেনারেল নাগরার বাহিনী টাঙ্গাইলে প্যারাসুট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে মিলিত হয়।
বিকেলে চিনা প্রতিনিধি হুয়াং হুয়া নিউইয়র্কের আলেকজান্ডার হেগকে জানান, চিন কেবল আরেকবার
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আগ্রহী, উপমহাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে নয়, বঙ্গোপসাগর
থেকে ২৪ ঘন্টার পথের দূরত্বে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের নিশ্চল অবস্থান।
১৩ ডিসেম্বর : নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির
প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তৃতীয় সোভিয়েত ভেটো। পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন
যদি যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ না দেয় তবে যুক্তরাষ্ট্র রুশ-মার্কিন শান্তি বৈঠকে যোগ দেবে
না বলে নিক্সনের হুমকি।
১৪ ডিসেম্বর: ঢাকায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর
হামলায় গভর্নর ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। মন্ত্রিপরিষদসহ গভর্নরের পদত্যাগ। অধ্যাপক সন্তোষচন্দ্র
ভট্টাচার্য, ড. আবুল খায়ের, গিয়াসুদ্দিন আহমদ, ড. মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ
মুতর্জা, সেলিনা পারভিন, ড. আলীম চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বি ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ্ কায়সারও নিজামুদ্দিনকে
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। মহানন্দা নদীর চরে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
শহীদ।
১৫ ডিসেম্বর: সন্ধ্যায় দক্ষিণ, পূর্ব,
পূর্ব-উত্তর ও উত্তর দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মিলিত বাহিনী ঢাকার উপকণ্ঠে সমবেত।
নিয়াজির অনুরোধে ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫.৩০ থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান আক্রমণ
স্থগিত, কুড়িটি সোভিয়েত রণতরীর ভারত মহাসাগরে অবস্থান।
১৬ ডিসেম্বর : ১০-৪০ মিনিটে মিত্রবাহিনীর
ঢাকা প্রবেশ। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের প্রবেশ, ঢাকায় রেসকোর্স
ময়দানে বিকাল ৫টায় ভারত ও বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানী সৈন্যদের শর্তহীন
আত্মসমর্পণ। মেজর জেনারেল জ্যাকবের প্রস্তুতকৃত আত্মসমর্পণের দলিলে লে. জে. নিয়াজি
ও লে. জে. অরোরার স্বাক্ষর।
১৭ ডিসেম্বর: পাকিস্তান বাহিনীর বিপর্যয়ের
ওপর জেনারেল অরোরার মন্তব্য, ‘মেঘনা ও মধুমতী নদীদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাদের অবস্থান
কেন্দ্রীভূত করলে, আমার মনে হয় তারা আরও কয়েক মাস টিকে থাকতে পারতো।’
১৮ ডিসেম্বর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের
বহু লাশ রায়েরবাজারে কাটাসুর ইটখোলায় আবিষ্কার।
১৯ ডিসেম্বর: রোববার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ
সরকারের সকল কর্মচারির কাজে যোগদান, বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনী প্রধান লে. জে. জগজিৎ
সিং বলেন, ‘ভারতীয় বাহিনী প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশে অবস্থান করবে না’।
২০ ডিসেম্বর : পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের
দায়িত্ব গ্রহণ করে ভুট্টো বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। অখণ্ড
পাকিস্তানের কাঠামোর অধীনে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিলিত
হতে রাজি।’ ‘শেখ মুজিবকে প্রাণদন্ড দিলে পশ্চিম পাকিস্তানীরা আর দেশে ফিরতে পারবে না।’-ভুট্টো।
২১ ডিসেম্বর: ন্যাশনাল আওয়ামী প্রধান অধ্যাপক
মোজাফ্ফর আহমদ কর্র্তৃক সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান। শেষ মূহুর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি
ধ্বংস করার লক্ষ্যে দখলদার পাকিস্তানী বাহিনী ১০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ নোট জ্বালিয়ে
দেয়।
২২ ডিসেম্বর : মুজিবনগর থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের
পর অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ বাংলাদেশ
সরকারের নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা।
২৩ ডিসেম্বর : দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক
কে. এম. ওবায়দুর রহমান সর্বদলীয় সরকারের ধারণার বিরোধিতা করেন। ২৫ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রীর
ঘোষণা, যুদ্ধ চলাকালে সময়ে সাহায্যকারী ৫ দলীয় পরামর্শদাতা কমিটি বহাল থাকবে। মুক্তিবাহিনীকে
নিরস্ত্র করার প্রশ্ন আসে না। যুদ্ধপরাধীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতের ওপর ভারত
কোন ভূমিকা রাখবে না। (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের
তারিখ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত নতুন সংস্করণ, পৃষ্ঠা-৪৯-৫০)।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত
দৈনিক ইত্তেফাক-এর ৮-কলাম শিরোনামের খবর ‘দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ সোনার বাংলা মুক্ত।’
১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত অবজারভারের ৮-কলাম শিরোনামের খবর, ‘বাংলাদেশ কামস ইনটু বিয়িং’। (তথ্য সূত্র, পিআইবি আর্কাইভ)
এই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত
বিজয় এবং তার পরবর্তী মূহুর্তগুলো। কী ছিল তখন এদেশ বাসীর চাওয়া-পাওয়া? এর উত্তর ছিল,
এদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া সেদিন বেশি ছিল না, তবে ধর্ম নিয়ে এদেশের মানুষকে আর বিভ্রান্ত
করা হবে না, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সৃষ্টি করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হবে না,
সমাজ শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন হবে, সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হবে-এটাই চেয়েছিল
এদেশের মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছরে কত কিছুই না দেখতে হয়েছে এদেশের মানুষকে।
তবে আজকের দিনে আশার কথা হচ্ছে কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ক্ষমতার জন্য
ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, মানুষে মানুষে হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি করে যারা দেশটাকে
মিনি পাকিস্তান বানিয়ে তাদের সৌদি-ওহাবি-ঈঙ্গ-মার্কিনী বন্ধুদের কাছে দেশটাকে বিকিয়ে
দিতে চেয়েছিল তাদের সব অপচেষ্টা আবারো আপাতত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ২০০৮ সালের
১২ই ডিসেম্বর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী
হিসেবে দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সরকারি-বেসরকারি সকল খাতে
সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠাই ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রান্তিক মানুষের কাছে খুব সহজে
এবং দ্রুত তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে
‘জনগণের দোড়গড়ায় সেবা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৪৫৪৫টি ইউনিয়ন
তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি)। তথ্য প্রযুক্তি মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাওয়ার
কারণে যেকোন কাজে জনগণের ভোগান্তি অনেক কমে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রেই ডিজিটাল বাংলাদেশ
আজ এক বাস্তবতা। দেশের সকল ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সুষ্ঠু
ব্যবস্থাপনা ও তদারকির মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি
হয়েছে। সরকারের সুষ্ঠু তদারকীই এ ক্ষেত্রে বেশি জরুরি।
তবে যে কঠিন বাস্তবতা আবারো নতুন করে সচেতন
মানুষদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন
দলে ঢুকে পড়েছে জামায়াতের অনেক এজেন্ট, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা
কৌশলে ক্ষমতাসীন সরকার ও দল থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিতে মাঠে অত্যন্ত সক্রিয়।
সুযোগ পেলেই মুখোশ খুলে আসল পরিচয় প্রকাশ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বাস্তবতা
অনুভব করেই বিজয় দিবস’২০১৬ উপলক্ষে শনিবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রশ্ন
রেখেছেন, ‘নির্বাচন ও আন্দোলনে পরাজিতদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) জনগণ কেন ভোট দেবে?
এসব খুনী, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস্ যাদের আমরা বিচার করেছি, তারা ক্ষমতায় এলে দেশে
একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালাবে’। স্বাধীনতা
ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল মানুষ ও সরকারকে এ ব্যাপারে সদা সচেতন থাকতে হবে। বিজয়ের
৪৫ বছর পূর্তিতে এমনটাই আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেশপ্রেমিক জনগণের চাওয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন