বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫

দুঃখিত বলার অভ্যাস শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়ক

দুঃখিত বলার অভ্যাস শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়ক

সংলাপ ॥ ‘মানুষেরই ভুল হয়’-বাংলা ভাষার এই সহজ, সরল কথাটি সহজভাবে মেনে নিতে জানলে সমাজ জীবনের অনেক সমস্যার সমাধানই সহজে হয়ে যেতো। কিন্তু আমাদের সমাজে এ সহজ সরল কথাটির চর্চা হয় না বললেই চলে। অথচ সমাজ জীবনের যাবতীয় অশান্তির জন্য এটি একটি বড় কারণ তা বলাই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর একটি উপদেশমূলক বাণী হচ্ছে-‘ভুল করলে এমনকি অন্যায় করলেও দুঃখিত বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন’।
বস্তুত একজন নাগরিকের প্রতি সরকারের বা কোন রাজনীতিকের দুঃখপ্রকাশের ঘটনা এদেশে বিরল। কারণ, সমাজের উঁচু স্তরে প্রতিদিন কতই না ভুল হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে, কিন্তু এর জন্য দুঃখপ্রকাশের ঘটনা খুব একটা দেখা যায়না। সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের মধ্যে ভুল ও অন্যায় হয় বলেই দেশের এত বৈষম্য, শোষণ-বঞ্চনা, দুর্নীতি, মিথ্যাচার, অনাচার, অবিচার, হিংসা-বিদ্বেষ ও সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে। নিচু স্তরের মানুষদের মধ্যে ভুল ও অন্যায় হয়ে থাকলেও সমাজে তেমন প্রভাব পড়ে না বলে তাদের দায়-দায়িত্বও স্বভাবতই কম। 

সমাজের প্রতিটি স্তরে সচরাচরই দেখা যায়, যে মানুষটি ভুল করছে, অন্যায় করছে সে তার সেই ভুল ও অন্যায়কে স্বীকার না করে তা ঢেকে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে সেখানে সমস্যা আরও বাড়ছে। অথচ সে তার ভুল ও অন্যায় স্বীকার করে নিলে এবং এজন্য দুঃখ ও ক্ষমা চাইলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেতো। এমনকি যে ভুল ও অন্যায় করেছে সে নিজেকে শুধরিয়ে নিয়ে আরও উত্তোরণ ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারতো। সুতরাং সকল প্রকার ভুল ও অন্যায়ের জন্য দুঃখ প্রকাশের অভ্যাস গড়ে সমাজ জীবনের সর্বস্তরে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব গড়ে উঠবে - এই প্রত্যাশাই আজ বিবেকবান মহলের। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন