মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

রমজান



রমজান

সংলাপ ॥ রমযান মাসে আল্লাহর রহমতের দ্বার অবারিত করা হয়। রহমত মানে আল্লাহর অনুগ্রহ। অনুগ্রহ ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর তা?পর্য ব্যাপক। আল্লাহ আমাদের যতো কাজের যোগ্যতা দিয়েছেন, শারীরিক সুস্থতা দিয়েছেন, ভাববার মতো চেতনা দিয়েছেন, উদ্ভাবন করার শক্তি দিয়েছেন, কথা বলা, কাজ করা, চিন্তা-ভাবনা করার সামর্থ দিয়েছেন, মেধা দিয়েছেন, মনন দিয়েছেন, সেগুলোকে ব্যবহার করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদায় উন্নীত করার সুযোগ দিয়েছেন-এ সবই আল্লাহর অনুগ্রহ। আবার অনুগ্রহ মানে ক্ষমা।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে,  রমযান মাস আসলেই কেবল কুরআনের মাহাত্ম্য বা মর্যাদা নিয়ে আমরা কথা বলি,  কুরআন পাঠ করি, ইফতার পার্টি করি বা যোগ দিই কিন্তু কুরআনিক মূল্যবোধগুলো চর্যা করি না আবার মিথ্যাও বলি বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বাকি মাসগুলোতে কুরআনকে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে ভুলে যাই। আর রমযান আসলে আমরা নিজেদেরকে লোক দেখানো সংযত রাখার চেষ্টা করি, রমযান চলে গেলেই আমরা পুনরায় উদ্ধত হয়ে পড়ি। ফলে এগারো মাস কাউকে ভুলে থেকে একটি মাত্র মাসে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার চেষ্টা করলে যে কতোটা তুষ্ট হবেন - তা কিন্তু ভেবে দেখার বিষয়। তবুও চেষ্টা করতে হবে রমযানের মাসটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সর্বাধিক অর্জন করার এবং রমযানের সময়কার ইবাদত চর্চাকে অন্যান্য মাসেও অব্যাহত রাখার। তবে রমযান মাসকে যেহেতু আল্লাহ নিজের বলে ঘোষণা দিয়েছেন, সেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এ মাসকে যথার্থভাবে কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহ যেহেতু রহমান এবং রাহীম, সেহেতু তিনি সন্তুষ্ট হলে তাঁর রহমতের বারি দিয়ে মানুষ জাহান্নামের আগুনকে নিজের জন্যে নিভিয়ে দিলেও দিতে পারেন। এই সুযোগটাও  আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট একটা রহমত।
হিজরী পঞ্জিকার বারোটি মাসের মধ্যে একটি মাসের নাম হলো রমযান। পবিত্র কুরআনে কেবলমাত্র এই রমযান মাসেরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকেই বিশ্লেষকমহল বলছেন যে, আল্লাহর কাছে এ মাসটির অসামান্য মর্যাদা রয়েছে। যেমনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই বলেছেন, ‘আস সাওমু লি, অ-আনা আজযি বিহী' অর্থা? ‘রোযা আমার জন্যে রাখা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন