বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

কুরআনের আলোকে সময়ের সাফ কথা....নারী পুরুষ সম্পর্কিত কটুক্তি


কুরআনের আলোকে সময়ের সাফ কথা....

নারী পুরুষ সম্পর্কিত কটুক্তি

 
আল্লামা মোহাম্মদ সাদেক নূরী ॥ টিভি ফুটেজ থেকে যা পাওয়া যায় তাতে শফীর কটুক্তিগুলো জঘন্য ব্যাভিচারী চরিত্র ও মানসিকতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। এ মানসিকতায় শফী একা নন; এরা একটি গোষ্ঠী; এরা তথাকথিত কওমি মূলত খারেজি তথা দেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা ও নীতি বহির্ভুত তথাকথিত শিক্ষার নামে অশিক্ষার উৎপাদন। এদের কথিত শিক্ষা এবং জীবন যাপন সাধারণত হুর-গেলমানের নেশা দ্বারা তাড়িত। আলোচ্য উক্তিগুলোর মাধ্যমে তাদের নেতা শফীর বার্ধক্যজনিত সারল্যের সুযোগে তাদের ভেতরটাই বের হয়ে এসেছে।

উক্তিগুলোতে নারী-পুরুষের জন্মগত সম্পর্ক সম্বন্ধের প্রভেদ বোধহীনভাবে তাদের পারস্পারিক আকর্ষণকে তেতুল ও তেতুলসৃষ্ট প্রতিক্রিয়ার সাথে মিশিয়ে নিজেদের প্রবণতার আলোকে যৌনতাসর্বস্ব রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা নারী-পুরুষ উভয়কূলের জন্যই অমর্যাদা, অসম্মান, অপমানজনক ও চরম অধার্মিকতা এবং দেশের ‘টর্ট বিধিতে দন্ডনীয় অপরাধ।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মেয়েদের বেশি পড়ানো এবং বাইরে যাওয়ার বিরোধিতাসহ উক্তিগুলো কুরআনের নারী-পুরুষ সম্পর্ক, মর্যাদা ও শিক্ষা-দীক্ষা বিষয়ক নির্দেশনাদি  ও দিকদর্শনের অনুকূল তো নয়ই বরং সরাসরি পরিপন্থী। (২৪ঃ৩১, ৩৩ঃ৫৯)।

স্মরণীয় যে, যারা কুরআনকে সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গম করে না এবং কোন বিষয়ে কুরআন অনুযায়ী মীমাংসা প্রদান করে না, কুরআনের ভাষায় তারা পশুরও অধম এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাফের, ফাসেক ও জালেম এবং জাহান্নামী। (আল-কুরআন-৭ঃ১৭৯; ৫ঃ৪৪, ৪৫, ৪৭)।

ঈমানের তাগিদে বলতেই হয় যে, এদের সহযোগে বা মাধ্যমে সম্পাদিত কোন ‘ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় কি না, তা তিনিই ভাল জানেন; তবে কুরআনের দৃষ্টিতে নিঃসন্দেহ যে, তাদের এবং তাদের উক্তরূপ কাজে অর্থ, মেধা, অথবা শ্রম দ্বারা সমর্থন সহযোগিতা করা কুরআনের শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি অবজ্ঞা ও বিরোধিতার শামিল এবং ঈমানের জন্য দুধে চনা তুল্য। স্মরণীয় যে এদের সহায়ক-সমর্থকরা সুস্থ্য সমাজ গঠনে তদধিক বড় বাধা এবং কুরআনের শত্রু তো বটেই।

স্মর্তব্য যে, এহেন ব্যাভিচারী মানসিকতা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে চাইলে এদেরকে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে পূর্ণ মাত্রায় বয়কট করাসহ এদের উৎপাদন ব্যবস্থাটির বিলোপ সাধনের কোন বিকল্প নেই; তা না করে এদের সমালোচনা করা, অর্থ, সময় ও মেধার অপচয় বই নয়। আল্লাহ্‌ সকলকে এ বোধে সমৃদ্ধ করুন। (আমীন)

বিঃ দ্রঃ - এদেরকে কুরআনের দোহাইতেও কোন ফল হবে, মনে হয় না; কারণ বিগত ৫ মে বাইতুল মোকার্‌রমের সামনে কুরআন পোড়ানোর কোন নিন্দা এবং এর সাথে জড়িতদের শাস্তির কোন দাবি তাদের তরফ থেকে শোনা যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন