বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয়ী সরকার



লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয়ী সরকার

* প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাস রুখতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে।
* শিক্ষার অগ্রমূখে প্রযুক্তির আলোর মশাল জ্বেলে দিতে হবে।
* তারুন্য নির্ভর সুদুরপ্রসারী কর্মসূচী গ্রহণ জরুরি।
* ধর্মের নামে সন্ত্রাস মোকাবেলায় যেন নব্য দানব ঢুকে না পড়ে সেজন্য সার্বিক সতর্কতা জরুরি।
* বাংলার সব সত্যমানুষের (সাধককুল) মহীমা কীর্তনের মাধ্যমে জাতীয় চরিত্র ও সামাজিক কাঠামো বিনির্মাণ করতে হবে।
নজরুল ইশতিয়াক ॥ ধর্মের নামে পরিকল্পিত সন্ত্রাস মোকাবেলায় সরকার যে সব ঢাল ব্যবহারের  চেষ্টা চালাচ্ছেন তা দূরদর্শী ও লক্ষ্যকেন্দ্রিক করার সময় এসেছে যাতে সঙ্ককটকে ধর্মীয় মোড়কে বাজারজাত করার অপরিনামদর্শীতার দোষে দুষ্ট না হয়। ধ্বংস, মিথ্যাচার বিভ্রান্তির বিপরীতে সত্য-সুন্দর সৃষ্টি-কল্যাণের জয়ধারাকে সামনে এনে গতানুগতিক কথন বচনে কখনো বা অন্য ধর্মকে ছোট করার আত্মঘাতি প্রবণতা রুখবার সময় বর্তমান। ধর্মের নামে সরকারী দলের নেতা মন্ত্রীরা যে সব বিশ্লেষণ জাতিকে শোনাচ্ছেন তা মানসম্পন্ন নয়। উপরন্তু ধর্মের সাথে ধর্মের, ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির তুলনা কোন সমাধান হতে পারে না। আমদানি নির্ভরতা দেশ- জাতিকে কখনোই স্বয়ংসম্পূর্ণ করে না।
একটি বর্বর নষ্টভ্রষ্ট গোষ্ঠীকে মোকাবেলায় ইসলামের নামে যত্রতত্র অযাচিত বাক্যবান সামাজিক পরিবেশকে সন্ত্রস্ত করে তুলছে। এ পরিস্থিতিতে ভয়ানক কোন দানব ঢুকে পড়ছে কি না তা দেখার প্রয়োজন জরুরিভাবে এসেছে। রাষ্ট্র পরিচালনায়-রাজনৈতিক মূল্যবোধের দরজায় ধর্ম ধর্ম খেলা কোন সমাধান হতে পারে না তাতে চরিত্র হারিয়ে চরিত্রহীন হবার প্রতিযোগিতা হবে। কোন সন্দেহ নেই সতর্কতার সাথে পথ না চললে সরকারের সব প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন হবে না বরং অধিকতর ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সুবিধার জন্য কথায় কথায় কুরআন হাদিসের যোগসূত্রহীন প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার বাঙালি জাতিসত্ত্বার মৌলচরিত্রকে আঘাত করছে যা প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলাম অর্থ শান্তি স্মরণ রাখতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় কোন কর্মকাণ্ডে জাতীয় জীবন, সামাজিক জীবন শান্ত-স্থিত হবে সেটিই কেবল করণীয় হতে পারে। শান্তি স্থাপনে যা যা করণীয় তা না করে কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হলে তা জাতির জন্য সহায়ক হবে না।
প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাস মোকাবেলায় দরকার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। মুখের কথায় চিঁড়ে ভিজে না। শুধুমাত্র কথার কথা বলতে বলতে সংকট ঘনিভুত হয়েছে। সন্ত্রাসী-ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে, প্রকাশ্যে দূর্বার গতিতে কাজ করছে, করে যাচ্ছে। জাতীয় চরিত্র বিনির্মাণ তথা জাতীয় চরিত্র সৃষ্টিতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কাজ এখন সময়ের দাবি।  
কোন একটি ধ্বংসকে সৃষ্টি দিয়েই রুখে দিতে হয়। ধ্বংস সৃষ্টির এই চিরাচরিত বিধানের অন্তর্নিহিত রূপ দেখতে হয়, জানতে হয়। কোন কিছুর মৃত্যু ঘটে নবসৃষ্টির উল্লাসে। দিনে দিনে যে বিষবৃক্ষ ফুলে ফেঁপে বড় হয়েছে তার অসারতা প্রমাণে যে সৌন্দর্যময় বৃক্ষের চাষ দরকার সেটিই অনিবার্য। বিষবৃক্ষের শেকড় উপড়ে ফেলাটা যেমন জরুরি কাজ তেমনি সুশোভিত বাগানের জন্য যারা কাজ করছেন তাদের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানানোও জরুরি।
বাংলায় বসে, বাঙালির জল জমিনে পরিশুদ্ধ শান্তি সমৃদ্ধির চাষই নবী মুহাম্মদের শান্তির চাষ। এখানে যারা শত শত বছর ধরে শান্তির চাষ করেছেন, আজও করছেন সেসব মহান সূফী সাধক, গউস কুতুব, বাউল ফকির সৃষ্টিশীল সত্যমানুষদের কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। মহৎ মহাজনেরাই দেশপ্রেম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, শান্তি-আনন্দ, শক্তি সবল দেহ গঠন, সৃষ্টিশীলতা, সমাজগঠন, রাষ্ট্রপরিচালনার নীতি-কাঠামো, সম্পর্কের নির্দেশনা, আদেশ-উপদেশ দিয়ে গেছেন।
প্রত্যেক ব্যক্তি যেমন তার স্বীয় কর্মবৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে তেমনি প্রত্যেক জাতিও তার স্বীয়বৃত্তের মধ্যে সব প্রাপ্তির যোগান পাবে এটিই স্রষ্টার বিধান, সৃষ্টির সূত্র। ফলে বাঙালি জাতির কল্যাণ, মঙ্গল, অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন সব কিছু করতে হবে স্বীয় বলয়বৃত্তের উৎস শক্তির আলোকে। গ্রহণ-বর্জনের শক্তি জাতিকে এগিয়ে নেয়। গতিকে উৎকৃষ্ট, শান্তিকে সরল স্বাভাবিক, প্রাত্যহিক চিন্তনকে সৃষ্টিশীল-মননশীল-সহমর্মী করতে হয়। প্রেম হবে দায়িত্ব কর্তব্যের সহযোগী শক্তি। তবেই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে প্রতিহতের ক্ষমতা জাগ্রত হয়। সৃষ্টিশীল মানুষের অবদানকে সামনে আনার মাধ্যমেই জাতি বিনাশী ধ্বংসাত্মক তৎপরতা মুখ থুবড়ে পড়ে।
সাময়িক প্রয়োজনে যে কোন ঝড় তান্ডব মোকাবেলায় আশু পদক্ষেপ নেয়া যেতেই পারে কিন্তু টেকসই নিরাপত্তার জন্য সুদূর প্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। সময়ের কাছে আমরা হেরে না গেলেও মার খেয়েছি এটা সত্য। সত্য মিথ্যা সরল-গরল মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। বাঙালির চিন্তন প্রক্রিয়ায় ইসলামের নামে কাল্পনিক, কখনো কখনো মিথ্যাচার বিভ্রান্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে। রেডিও টেলিভিশন পত্র-পত্রিকায় ধর্মের নামে আমদানীকৃত নানান নির্দেশনা প্রচার হচ্ছে যা কোনই কাজে আসছে না। বরং বাংলায় শান্তির পথ যারা দেখিয়েছেন, যারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন এখানে তাদের শান্তির বাণীগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার মধ্যেই পারদর্শীতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। সত্য অনুসন্ধানীদের হাজারো কর্ম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই বাংলায়। তাদের বৃহৎ কর্মকে কিভাবে রাষ্ট্র মূল্যায়ন করবে, যথাযথভাবে তুলে ধরবে নতুন উদ্যমী প্রজন্মের সামনে সেটিই হবে শান্তি স্থাপনের সঠিক পথ। ইসলামের নির্দেশনা তো ব্যক্তি ও সমাজের অভ্যন্তরীন মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। সমাজে তার প্রতিফলন ঘটানোর পরিবেশ সৃষ্টি করা। সত্য কি, সত্যকে চেনা-জানা, অনুশীলন করা এবং সব কাজে তার বাস্তবায়নই শান্তি বয়ে আনে। শান্তি কোন কাগজে লেখা বাণী নয়। শান্তি নিত্য, সদা সতত প্রবাহমান ধারা। কৃত্বিমান মহৎপ্রাণ সেসব মনীষীদের দূরে রেখে সুদূর আরব থেকে ইসলামের নামে ওহাবী ইয়াজিদী বিকৃত দূষিত ধারার সংযোগ কোন সমাধান নয়। বরং ইসলামের নামে হাজারো মনগড়া বিভ্রান্ত কল্পকাহিনীর নতুন অনুপ্রবেশ দূষিত করবে প্রিয় দেশের জলধারাকে-বাতাসকে। এটাই সত্য যে কোন ধর্মের নামে, কোন কিতাব-পুস্তকের নামে যার যা ইচ্ছা তা বলার এবং করার প্রবণতা কোন শুভচিন্তার ফসল নয়। বিশ্ব ইতিহাসের হাজারো ক্ষত চিহ্ন হয়ে আছে ধর্মের নামে বর্বরতা ও নিকৃষ্টতা। মানবজাতিকে সঠিক সুন্দর পথ দেখানোর বিপরীতে এসব ঘটনা ক্ষত বিক্ষত করেছে।  বিপন্ন জীবন ও জগতের এ এক সন্ধিক্ষণ। এসব কোন কিছুই সঠিক পথ নয়। এগুলো স্রেফ ভাওতাবাজী ও লুটেরাদের পাতানো খেলা।
কি করছে ধর্মমন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর শিক্ষামন্ত্রণালয়? কি করছে বাংলা একাডেমি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জেলা ক্রিড়া সংস্থা? জেলা পর্যায়ে তাদের কর্মকা- কতটুকু বিস্তৃত? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের কোন জনভিত্তি নেই। মাঠ পর্যায়ে, প্রান্তিক পর্যায়ে কোনই যোগাযোগ নেই। নাটকের ক্লাসে, সঙ্গীতের ক্লাসে, ছবি আঁকা শিক্ষণে অংশগ্রহণকারীর হার উল্লেখযোগ্য তো নয়ই বরং সংখ্যা বললে ভয়াবহ চিত্র বের হয়ে আসবে। কোন সমন্বয় নেই স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। জাতীয় দিবস পালন এবং দায়সারা গোছের কিছু প্রতিযোগিতার নিয়ম মাফিক কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সারা দেশের অসংখ্য বাউল শিল্পী ও সংগঠন রয়েছে তাদেরকেও কখনোই কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান গুরুত্ব দেয় না। খাতা কলমে জেলা পর্যায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের শেষ নেই।
বিভিন্ন সেমিনার, প্রতিযোগিতা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের সাথে তরুণদের সম্পৃক্ত করা হয় না। ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরিতে পাঠক নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থা সারা বছর ফাইল ওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ত। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সমাজসেবা/ শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি কি তা স্থানীয়রা জানে না। স্থানীয়দের ভাগ্য উন্নয়ন তথা জীবনমানের উন্নয়ন, মাদকসেবী ও পঙ্গু অসহায়দের পুনর্বাসন কর্মসূচীর সুফল বাস্তবে কতজন পান তা জানা না গেলেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মাঠ পর্যায়ে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃজনশীল সাংস্কৃতিক চর্চা শূন্যের কোঠায়। ফলাফল রুগ্নতাকেই নির্দেশ করে।
জেলা প্রশাসনের কি কোন তদারকি রয়েছে স্থানীয় মাদ্রাসা-মসজিদগুলোতে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নামে হাজার হাজার টাকার লগ্নী করেছেন ঘাতকেরা, কোচিং সেন্টারের নামে কি হচ্ছে তার কি কোন তদারকি করেন স্থানীয় প্রশাসন? মসজিদ পরিচালনা কারা করেন? মাদ্রাসার মালিক কারা? শিক্ষক কারা? কেন আসছে নাবালক তরুণ অসহায় কিশোর? নিকট অতীতে মাঠ পর্যায়ের কোন মাদ্রাসা কি জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাও পরিদর্শন করেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? বেতন সর্বস্ব চাকুরীজীবিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এসব মন্ত্রণালয়। পুরো সরকারযন্ত্র বধির কানা যন্ত্রে পরিণত হয়েছে আর এর ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গবেষণা বলছে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে কেবলমাত্র খাদ্য প্রাপ্তি ও কিঞ্চিত ভর্তুকীর নিশ্চয়তা পেলে মাদ্রাসা অভিমুখী জনস্রোত এক বছরে ৬০ ভাগ কমে যাবে। এক্ষেত্রে রয়েছে উদাসীনতা।
সরকারী দলের বৃত্তশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে মসজিদ মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে ক’জন তাদের নির্বাচনী এলাকায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, খেলাধুলা সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন? মাঠ পর্যায়ে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর কোন পরিকল্পিত কর্মসূচী নেই।
শিক্ষা আছে কিন্তু প্রযুক্তি নেই। যারা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার নামে বড় বড় কথা বলেন তাদের কাছে কোন সদুত্তর নেই। এসব পান্ডিত্য কিংবা তার্কিকদের প্রতি নিদারুন করুনা হয়। তারা ভুলে যান মানুষ কেবল খেয়ে পরে বেঁচে থাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। ফেসবুক ইন্টারনেট ইউটিউবে বন্দি জীবন মানুষের নয়। মানুষকে মানুষ হয়ে উঠার শিক্ষা দিতে হয়, পরিবেশ দিতে হয়। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির অগ্রমুখে জ্বেলে দিতে হয় আলোর মশাল। যা তাদেরকে পথ দেখাবে, দায়িত্বশীল করবে। সরকার তথ্য প্রযুক্তির অভাবণীয় উন্নয়নের কথা বলছে কিন্তু সে উন্নয়ন তারুণ্যকে শেকড় বিচ্ছিন্ন-বিপথগামী করতে পারে, করেছেও। সেসব নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন দেখাননি। কার্যকর প্রযুক্তি সুবিধা গড়ে তোলা জরুরি,  প্রয়োজন নানা হিসেব নিকেশ। বেহেস্তের টিকেট পাবার ফাঁদে নবপ্রাণ কিশোররাই কেবল দৌঁড়াচ্ছেন তা নয় বয়োঃবৃদ্ধ মৃতপ্রায় নেতা লুটেরারাও থেমে নেই। মন্ত্রণালয়ে তারা এসবের বরাদ্দের জন্য পত্র নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করেন। টি.আর এবং কাবিখার একটা বৃহৎ অংশ চলে যায় ধর্মান্ধদের পাতানো বাক্সে। নিয়ন্ত্রণহীন এই যাত্রা থামবে কোথায়?
চরম বৈষম্য, লুটপাট, প্রতারণার রাজনীতি আর নষ্টভ্রষ্ট পরামর্শদাতাদের কারণে কোন শান্তির আহ্বান চোখে পড়ে না। বয়োজ্যেষ্ঠরা অন্ধ বধির ব্যক্তিস্বার্থের বাক্সে বন্দি। সিলগালা মারা এসব কর্ণ সত্য শোনে না, এসব চোখ সুন্দর দেখে না। আত্মভোলা আত্মবিস্তৃত এসব উঁচু তলার বিদ্বান শক্তিমানেরা ম্রিয়মান নিষ্প্রভ পলায়নপর। আত্মতুষ্টিতে ভরপুর মানুষ সদৃশ্য পরগাছা। মহাকালের কাছে এরা বড্ড বেমানান, খড়কুটো হয়ে উড়ে যাবে অচেনা বাতাসে। সামাজিক উদ্যোগের অভাবে ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছে দর্শক সারিতে থাকা কেউ কেউ। এ এক অদ্ভুত সংযোজন। ক্ষমতার মাঠে মহাযজ্ঞে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু জাতীয় কল্যাণে ও চরিত্র গঠনে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন