বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

সংলাপ-সংবর্ধনা উত্তরণের পথে নতুন যাত্রা!




সংলাপ ॥ হাক্কানী সূফীতত্ত্বে বলা হয়, দেশে রাজনীতির আর দরকার নেই, এখন প্রয়োজন হচ্ছে জননীতি প্রণয়ন। সাম্প্রতিককালে দেশের দু’টি বিরাট ঘটনা-এক, ক্ষমতাসীন সরকার ও তাদের জোটের সাথে প্রধান বিরোধী শক্তি ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ এবং দুই, ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী মাদ্রাসাপন্থী আলেম-ওলামা কর্র্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা প্রদান ও প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’- উপাধি প্রদান। অভূতপূর্ব এই দুটি ঘটনার প্রতি এদেশের সর্বস্তরের মানুষের, এক কথায় সমগ্র দেশবাসীর দৃষ্টি এমনভাবে নিবদ্ধ হয়েছে যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। সরকারবিরোধী বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির নেতা-কর্মী ও সমর্থকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এই সফলতায় বলতে গেলে নির্বাক হয়ে পড়েছে। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে তারা এই কওমি মাদ্রাসা ও মক্তবের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে যেভাবে ব্যবহার করে আসছিল তার অবসান ঘটার এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সরকারি অনুমোদন বাতিল করে তাদেরকে যে এক অন্ধকার জগতে নিক্ষেপ করেছিল তাও আজ জাতির কাছে নতুনভাবে উদ্ভাসিত হয়েছে। এই সংবর্ধনা তথা শোকরানা মাহফিল কওমি শিক্ষা-ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে এসব মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যোগ্য করে তুলে তাদেরকে দেশ ও সমাজে শান্তি ধর্ম ইসলামের সেবা করার একটি মোক্ষম সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। কারণ, জনগণের এই বিরাট অংশকে অন্ধকারে রেখে তাদেরকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বৈষম্যহীন সমাজ তথা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন সূদুর পরাহত। 
ঐতিহ্যগতভাবে ‘রাজনীতি’ শব্দটির সাথে এদেশের মানুষের নিবিড় একটি সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ‘রাজনীতি’ নিয়ে সৃষ্ট জনগণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সাম্প্রতিক কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে এই সংলাপ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সারা দেশের মানুষকে যেভাবে নাড়া দিয়েছে তা আগামী দিনগুলোতে এই দেশে নতুন একটি উত্তরণের পথে যাত্রার একটি আশার আলো দেখা দিয়েছে বিবেকবান মানুষদের চিন্তাজগতে।
জনগণের কল্যাণে, তাদের ভালোমন্দ বিবেচনায় কর্মসম্পাদন করার উপায় এবং সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিদ্যা, বিজ্ঞানই জননীতি। আর ইংরেজি ‘পলিটিক’ শব্দের আভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে সুকৌশলী, সুবিচেনাপূর্ণ, কূটকৌশলপূর্ণ, ‘পলিটিক্স’ অর্থ রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি; রাজনৈতিক মতাদি বা কার্যাদি ইত্যাদি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজ দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য যে, ‘পলিটিক্স’ ও ‘রাজনীতি’-এই দুটো শব্দই এখন নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার বেশি হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, ‘রাজনীতি’র মধ্যে এখন ‘পলিটিক্স’ ঢুকে গেছে। ফলে একদিন যে রাজনীতির মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা  অর্জিত হয়েছিল, যে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এদেশে স্বৈরাচার ও অবৈধ শাসকদের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রামে নিয়োজিত হয়েছিল, সে রাজনীতিতে এখন দেশদরদী, জনকল্যাণকামী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবী কয়জন আছেন তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এর কারণ হিসেবে বলা চলে, রাজনীতিক বা রাজনীতিজীবীদের প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস মানুষ যে হারিয়ে যেতে বসেছে সে-কথা কেউ অস্বীকার করবে না। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে  যে, ভালো কাজের মধ্যেও মানুষ এখন ‘রাজনীতি’র গন্ধ পায়। 
সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া সংলাপ ও সংবর্ধনা-এই দুটি ঘটনার মধ্যে কতটুকু রাজনীতি? আর কতটুকুই বা জননীতি?-এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে দেশেরই উত্তরণের স্বার্থে। গত ২০ কার্তিক, ১৪২৫, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ রোববার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শুকরানা মাহফিল’ থেকে কওমি আলেমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তাঁকে ‘কওমি শিক্ষার্থীদের জননী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা ও জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, গোপালগঞ্জ-এর অধ্যক্ষ, হাফেজ মুফতি রুহুল আমীন বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন অবদানের কথা উপস্থাপন করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা। তিনি কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন। সমস্ত কওমি শিক্ষার্থীদের মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীকে কওমি শিক্ষার্থীদের জননী উপাধি দিলাম। তিনি কওমি শিক্ষার্থীদের জননী। মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, ’আপনি ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা পালন করেছেন। আপনার এই মাতৃত্বের ভূমিকা না থাকলে এই দেশে সাহাবাদের শত্রু, ওলামায়ে কেরামের শত্রু, বাংলাদেশের শত্রু জামায়াত-মওদুদীরা তা হতে দিত না’। 
এ সময় উপস্থিত লাখো মানুষের মধ্য থেকে এ প্রস্তাবনার পক্ষে সম্মতির আওয়াজ ভেসে আসে। পরবর্তী বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ পূর্বের বক্তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের শ্রদ্ধেয় হুজুর প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছেন। তাহলে আত্মীয়তার দিক দিয়ে আপনারা কি হন? যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা জননী হন, আপনারা সন্তান। সন্তানের প্রতি মায়ের যেমন, পিতার যেমন দায়িত্ব আছে, মায়ের প্রয়োজনে সন্তানদের দায়িত্ব আছে কি-না? এ দায়িত্ব সম্পর্কে আপনারা কি সজাগ আছেন? সেই দায়িত্ব পালন করতে আপনারা কি রাজি আছেন?’- এ সময় উপস্থিত অনেকেই হাত তুলে সম্মতি দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’যারা সত্যিকার অর্থে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, তারা কখনো সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদী হতে পারে না। দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক, তা আমরা চাই না। দেশে শান্তি থাকলেই উন্নতি হবে, উন্নতি থাকলে সবাই লাভবান হবে’।
এ সংবর্ধনা ও শোকরানা অনুষ্ঠানের আগে ও পরে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসেছেন প্রথম বারের মত। দেশের প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের বিভিন্ন এলাকা তারা ঘুরে দেখেছেন, সোপার্জিত স্বাধীনতা আর রাজু ভাস্বর্যের সামনে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে অনেককে। যারা বাংলাদেশের গ্রাম-মফস্বলের সমাজকে চেনেন জানেন, যারা এদের সাথে মেশেন, মিশতে পারেন, এ মেশার সুযোগ ও অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে তাদের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এক ধরনের, তাদের কাছে উপলব্ধি হেফাজতপন্থীদের এ পরিবর্তন ও বিবর্তন মূলধারায় ফেরা। আর যারা লেখাপড়া শিখে তথাকথিত আধুনিক হয়ে গিয়ে চাকুরি-ব্যবসা-বাণিজ্য-রাজনীতি করতে গিয়ে গ্রাম-মফস্বলের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তাদের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা আরেক রকম হবে- তারা এ নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করতে পারেন, নাক সিঁটকাতে পারেন, এখানে ডানপন্থার উত্থান-বামপন্থার সংকট ইত্যাদি বিষয় খুঁজতে পারেন-যা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতার নিরীখে দেখলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, দেশে হাজার হাজার কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-উদ্যোক্তা-শিক্ষক-শিক্ষার্থী- মাদ্রাসার জায়গা-জমি সবই এদেশের মাটিতে। পরাধীনতার সেই দুঃসময়ে এদেশে ব্রিটিশ বণিক ও রাজশক্তি ইসলাম ধর্মকে তাদের সুবিধা অনুযায়ী প্রচারের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তারাই বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসা স্থাপন করেছিল। তবে সত্য হচ্ছে, ব্রিটিশরা এদেশকে ব্রিটেন বানাতে পারেনি এবং তার সবচেয়ে প্রমাণ হচ্ছে এদেশের মানুষ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে যারা এদেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র তারা ৯০ ভাগেরও বেশি এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত-বিদেশে কর্মরত শ্রমিক-ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের সন্তান। ৭১’এ যেসব পরিবার ও তাদের সন্তানেরা দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য অস্ত্রহাতে নিয়েছিল পরবর্তীকালে এই স্বাধীন দেশে তাদেরকে যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হয়নি, বরং নানা ক্ষেত্রে তাদের বঞ্চনার পরিমাণটা ছিল বেশি। তা সত্ত্বেও এদেশের মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা-সংগ্রামীদের প্রতি তাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে তারা কখনও কার্পণ্য করে না। এক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করেছে শুধুমাত্র ৭১এর রাজাকার-আলবদর-মুসলিম লীগ-শান্তি-কমিটি-জামায়াত পরিবারের লোকজন যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের বিএনপি এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি।  এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোনো বিরোধ নেই, কখনো ছিলোও না। এক কথায় বলা চলে, এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই তাদের জঘন্য রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য কওমি মাদ্রাসাসহ ধর্মভিত্তিক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-আয়োজকদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ-বঙ্গবন্ধু-জয় বাংলার বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছিল। এবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক সংবর্ধনা ও শোকরানা মাহফিল এই ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করছে দেশের বিবেকবান মহল।
অপরদিকে, সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের বিরোধী রাজনৈতিক জোটের সাথে দুই-দফা সংলাপ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় এবং রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার এক নতুন পথের সন্ধান দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  দশম নির্বাচনের আগে একইভাবে সংলাপে বসার জন্য তাঁর প্রস্তাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সম্মত হলে বিগত পাঁচ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ আরও মজবুত কাঠামোয় প্রতিষ্ঠিত হতো। অবশ্য ২০১৩ সালে সালের চাইতে বর্তমান পরিবেশ ভিন্ন। বর্তমান পরিবেশে ড. কামাল হোসেন সংলাপে বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া এখনও কারাগারের বাইরে থাকলে এমন একটি সংলাপ আদৌ অনুষ্ঠিত হতো কিনা তাতে সন্দেহ ছিল। অথচ অপার সম্ভাবনাময় এই দেশের সর্বস্তরে শান্তি ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপ-সমঝোতাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ, আলাপ-আলোচনা-সংলাপের মধ্য দিয়েই অনেক সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসে এবং জননীতি গ্রহণ-প্রণয়ণ সম্ভব হয়। কিন্তু জনগণের কল্যাণে যারা নিবেদিত নয়, ব্যক্তি-গোষ্ঠী এবং স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তির স্বার্থে যাদের রাজনীতি, তাদের পক্ষে জননীতি প্রণয়নও সম্ভব হয় না। এই কঠিন বাস্তবতা থেকে উত্তরণের পথে এই সংলাপ থেকে কল্যাণকর সবকিছু উঠে আসবে, দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য যথাসময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হবে-এই আশায় আজ দিন গুণছে জাতি। পবিত্র কুরআনের ভাষায় বলতে হচ্ছে, ‘সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসারিত’।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন