মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জাগো জাগো -আরিফকে আঘাত নতুন প্রজন্মকে আঘাত




জাগো জাগো -
আরিফকে আঘাত নতুন প্রজন্মকে আঘাত

সংলাপ ॥ রাজধানীর পরীবাগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আরিফ নূরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত আরিফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত আরিফের ঘনিষ্ঠ স্বজনরা জানান, আরিফ নূর ছিলেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। হামলার আগে শাহবাগের বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে ব্যঙ্গ করছিল হামলাকারীরা। তাই এটি জামাত-শিবিরের কর্মকান্ড হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীরা আরিফের কাছ থেকে কিছুই নেয়নি। মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ তার কাছেই ছিল। তার মাথায় ধারাল অস্ত্রের তিনটি জখম পাওয়া গেছে।
এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে - হত্যার উদ্দেশ্যেই আরিফের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে তার চিৎকারে পাশের পেট্রোল পাম্পের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এদিকে আরিফ নূরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিল করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, আগের ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ায় আরিফের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বলেছেন, হামলাকারীরা প্রথমে শাহবাগের আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে আরিফকে ব্যঙ্গ করে। আরিফ তখন দৌড় দিলে পিছন থেকে তাকে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত আরিফকে প্রথমে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের আহবায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের নিয়মিত সাহসী কর্মী আরিফ। প্রতিক্রিয়াশীল জামাত-শিবির চক্র এ ঘটনার সাথে জড়িত। জামাত-শিবিরের রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর হামলা শুরু থেকেই হয়ে আসছে। জামাত-শিবিরসহ যুদ্ধাপরাধীদের দোসররাই এ হামলার জন্য দায়ী
শাহবাগে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর  মঈন, ব্লগার মারুফ রসুল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন