বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

ধর্ম অবমাননাকারী ব্লগারদের


ধর্ম অবমাননাকারী ব্লগারদের

মৃত্যুদণ্ডের দাবি কি কুরআন সম্মত?

 

কাজল ॥

 

কুরআনে অনৈতিক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও নীতিমালা রয়েছে। এসব নীতিমালা বৃহৎ অর্থে কুরআনের যুদ্ধনীতি। অনৈতিক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব। কিন্ত এ দায়িত্ব পালনে কুরআনের বাইরে যাবার কোন সুযোগ মুসলমানের নেই। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে কুরআনের যুদ্ধনীতি সম্যক অনুধাবন করা         বিশেষ জরুরি।

প্রথম নীতি - কুরআন আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের অনুমতি দেয় কিন্তু আগ্রাসন বা আক্রমনাত্মক যুদ্ধের অনুমোদন দেয় না। কুরআনের সুস্পষ্ট নিদেশ - যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে তোমরাও আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, তবে সীমালঙ্ঘন করো না। অবশ্যই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন না।” (২ সুরা বাকারা:১৯০)। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল। (২২ সুরা হজ:৩৯)।

দ্বিতীয় নীতি - যে তোমাদেরকে আক্রমণ করবে তোমরাও তাকে অনুরূপ আক্রমণ করবে।” (২ সুরা বাকারা:১৯৪)। অর্থাৎ - শত্রু যে ধরনের অস্ত্র বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্মকে অবমাননা করার চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সে ধরনের অস্ত্র এবং প্রক্রিয়ার ব্যবহার করতে  হবে। শত্রুরা যদি কলমের সাহায্যে ইসলামের উপর হামলা চালায় তবে কলমের সাহায্যেই তা প্রতিহত করতে হবে। এটাকে বলা হবে কলমের যুদ্ধ, শত্রুরা যদি আন্তঃজালে (Internet) আক্রমণ করে তবে তাদেরকে আন্তঃজালেই আক্রমণ করতে হবে। এটাকে বলা হবে আন্তঃজাল যুদ্ধ বা সাইবার ওয়ার। কলমের বিরুদ্ধে চাপাতি কিংবা ককটেল, হাতবোমা, পেট্রোলবোমার ব্যবহার কুরআনের দৃষ্টিতে অবৈধ, নিন্দনীয়, ঘৃণিত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন নীতিহীন যুদ্ধে আক্রমণকারীদের হীনতা, দৈন্যতা, মূর্খতা, অজ্ঞতা, বর্বরতা প্রকাশিত হয়।

কুরআনের নির্দেশ - তোমরা আল্লাহ্‌র জন্য সংগ্রাম কর যেভাবে (আন্তরিকতা ও শৃঙ্খলার সাথে) সংগ্রাম করা উচিত।’ (২২ সুরা হজ:৭৮)। এখানে উচিতশব্দটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচিতশব্দটি উদ্দেশ্য লাভের উপায়কে সৎ হবার প্রতিই নির্দেশনা দেয়। কুরআনের মূলনীতি হলো - শুধু উদ্দেশ্যকে সৎ হলে চলবে না উদ্দেশ্য লাভের উপায়কেও সৎ হতে হবে। উচিতহলো - যুদ্ধের মূলনীতি কিছুতেই লঙ্ঘন করা যাবে না। তাই কলমের বিরুদ্ধে চাপাতি ও বোমা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসবাদ ও ফেৎনা-ফ্যাসাদ; কুরআনিক জেহাদনয় কিছুতেই। স্মর্তব্য, সন্ত্রাসবাদের উদ্দেশ্যও সৎ থাকতে পারে কিন্তু উদ্দেশ্য লাভের উপায় সৎ নয়।

রাসুল (সা.) বলেছেন : তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো অপকর্ম দেখে তা হলে সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে, তা যদি না পারে তা হলে মুখ দিয়ে প্রতিহত করবে, আর তাও যদি না পারে তা হলে অন্তত মনে মনে ঘৃণা করবে। এটা হলো ঈমানের দুর্বলতম স্তর। রাসুল (সা.) -এঁর প্রসিদ্ধ এই বাণীতেও যুদ্ধ নীতিবর্ণিত হয়েছে। প্রতিবাদের তিনটি স্তর হলো - হাতে প্রতিবাদ, মুখে প্রতিবাদ এবং মনে মনে প্রতিবাদ। এই স্তরগুলো কৃত অপকর্মের প্রকার-প্রকৃতি অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কর্মে উভয়পক্ষের শক্তি, সামর্থ্য ও ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।

মুসলিমদের যুদ্ধ হচ্ছে সমাজে শান্তি, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার চরম প্রচেষ্টা। এই চরম প্রচেষ্টা ইবাদতের সর্বোচ্চ স্তর। তাই এই প্রচেষ্টা এমন উদার মন-মানসিকতা ও দরদ নিয়ে করতে হবে যে ইবাদত করছি। রাসুলুল্লাহ (সা.) এঁর নির্দেশ করেছেন - শিশুদের হত্যা করবে না। গির্জায় যারা (খ্রিষ্টান ধর্মযাজক) ধর্মীয় উপাসনায় জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের ক্ষতি করবে না, কখনো নারী ও বৃদ্ধদের হত্যা করবে না; গাছপালায় আগুন লাগাবে না বা গাছ কেটে ফেলবে না, ঘরবাড়ি কখনো ধ্বংস করবে না।সুতরাং, ইসলাম রক্ষার নামে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সামপ্রতিক কালে গাড়িতে-বাড়িতে যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। প্রকৃত পক্ষে ইসলাম রক্ষার নামে এরাই ইসলামকে ধবংস করছেন। ইসলামকে রক্ষা করতে হবে এসব উগ্র রক্ষাকারীদের কবল থেকে।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তার সঙ্গে তুমি ভালো ব্যবহার কর। -মূলত এটাই হচ্ছে রাসুল (সা.) এঁর প্রতিবাদ নীতি। তাই দেখা যায়, একজন ইহুদি অতিথির নষ্ট করে দেয়া বিছানা রাসুল (সা.) নিজের হাতে পরিষ্কার করছেন। প্রতিবাদের মহানুভবে মুগ্ধ হয়ে নবী (সা.) এঁর কাছে আনুগত্য স্বীকার করে উক্ত ইহুদি ইসলাম গ্রহণ করেন। কুরআনের আদেশ - তুমি মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান কর প্রজ্ঞাপূর্ণ আলোচনা দিয়ে, উত্তম উপদেশ শুনিয়ে এবং তাদের সঙ্গে তর্ক কর সুন্দরতম পন্থায়। (১৬ সুরা-নাহাল:১২৫)। তিনি (সা.) এ আদেশ পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। রাসুল (সা.) সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর কোমল ভাষা ও প্রজ্ঞাপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বাসের পথে অবিশ্বাসীদের আহ্বান জানাতেন। যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার দীপ্তিতে তিনি (সা.) আলোকিত করেছেন অবিশ্বাসী হৃদয়ের ঘুটঘুটে অন্ধকার। একদিন মসজিদে নববীতে মহানবী (সা.) কতিপয় সাহাবীকে নিয়ে কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় এক বেদুঈন এসে মসজিদের ভিতরে এক কোনে পেশাব করল। সাহাবীগণ তাকে প্রহার করতে উদ্যত হলে রাসুল (সা.) তাদেরকে নিরস্ত্র করলেন এবং শান্ত হতে বললেন। পেশাব করা শেষ হলে রাসুল (সা.) ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাকে বুঝিয়ে বললেন যে, এটা আমাদের প্রার্থনা ঘর, সেজদা দেয়ার পবিত্র জায়গা, এটা পেশাবের স্থান নয়। তাকে বিদায় করে রাসুল (সা.) সাহাবীদের নিয়ে পেশাব ধুয়ে দিলেন। বিশ্বনবী (সা.) এমন উদারতা ও মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বলেই ইসলামের মাধুর্য ও মহানুভবতা দ্রুত বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল। রাসুল (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন, হত্যা করে নয় - অমুসলিমদের অন্তরে বিশ্বাসের জ্যোতি জ্বালাতে হবে অতি সন্তর্পনে, প্রেমের পথে।

পোষ্যপুত্র জায়েদ বিন হারেসাকে সঙ্গে নিয়ে মক্কা থেকে ১২০ মাইল দূরে তায়েফে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে গেলেন রাসুল (সা.)। তায়েফের মানুষ তাঁকে (সা.) বিশ্বাস করলো না। তিনি দশদিন ইসলামের দাওয়াত দিলেন। শেষ পর্যন্ত তায়েফের লোকজন দুষ্ট বালকদের লেলিয়ে দিলো। দুষ্ট বালকেরা নবীজীকে এতো প্রহার করলো যে, সমস্ত শরীর রক্তাক্ত হয়ে রাসুল (সা.) মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, বেহুশ হয়ে গেলেন। শরীরের রক্তে পাদুকা জমাট বেঁধে গেলো। তারা জায়েদকেও মারপিট করলো। জায়েদও রক্তাক্ত হলেন। দীর্ঘ সময় পর যখন রাসুল (সা.) জ্ঞান ফিরে পেলেন তখন সম্মুখে জিব্রাইল (আ.) কে দেখলেন। জিব্রাইল (আ.) বললেন, হে মুহাম্মদ (সা.), হুকুম করুন, সমগ্র তায়েফবাসীকে জমিন উল্টিয়ে ধ্বংস করে দিই। রাসুল (সা.) বললেন, হে জিব্রাইল!, কারো ধ্বংস করার জন্য আমি এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হইনি, বরং সবার মাঝে তাওহীদের বীজ বপন করার জন্য আমি এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছি। হয়তো তারা না বুঝে আমার ওপর অত্যাচার করেছে। কিন্তু তাদের পরবর্তী বংশধর হয়তো আমাকে চিনবে এবং আমার দাওয়াত কবুল করে মুসলিম হবে।

ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় রাসুল (সা.) নানা রকমের বাধা-বিপত্তি ও অবমাননার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর এমনিভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্য বহু শয়তানকে শত্রুরূপে সৃষ্টি করেছি, তাদের কতক শয়তান মানুষের মধ্যে এবং কতক শয়তান জিনদের মধ্য থেকে হয়ে থাকে, এরা একে অপরকে কতগুলো মনোমুগ্ধকর, ধোঁকাপূর্ণ ও প্রতারণাময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে, আর আপনার রবের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না, সুতরাং আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাগুলোকে বর্জন করে চলুন।’ (৬ সুরা আনআম:১১২)।

যে সব মুনাফিকরা রাসুল (সা.)-কে অবমাননা করত তাদের শাস্তি সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে - মুনাফিকরা ভয় করে যে, তাদের বিষয়ে এমন একটি সুরা অবতীর্ণ হবে, যা তাদের অন্তরের বিষয়গুলো জানিয়ে দেবে। বলো, তোমরা উপহাস করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ বের করবেন, তোমরা যা ভয় করছ। আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন করো, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বলো, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসুলের সাথে তোমরা বিদ্রুপ করছিলে, তোমরা ওজর পেশ করো না। তোমরা বিশ্বাস করার পর অবিশ্বাস করেছ। তোমাদের মধ্যে কাউকে আমি ক্ষমা করলেও অন্যদেরকে শাস্তি দেব, কারণ তারা হচ্ছে অপরাধী।” (৯ সুরা তওবা: ৬৫-৬৬)। যারা আল্লাহ এবং রাসুল (সা.) এঁর অবমাননা করে তাদের শাস্তি দিবেন আল্লাহ তায়ালাই। কুরআনের ঘোষণা - যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মন্দ বলে ও রাসুলকে কষ্ট দেয় আল্লাহ তো তাদেরকে ইহকাল ও পরকালে অভিশপ্ত করেন, আর তিনি তাদের জন্য অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।” (৩৩ সুরা আহজাব:৫৭)। 

কুরআনের ঘোষণা - কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করল, আর কেউ কারও প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।” (৫ সুরা মায়িদা:৩২)। কুরআন আদেশ করছে - আপনি সদ্ব্যবহার দ্বারা (অসদ্ব্যবহারের) মোকাবেলা করুন, (তারপরে হঠাৎ দেখবেন) আপনার ও যার মধ্যে শত্রুতা ছিল সে ব্যক্তি আপনার আন্তরিক বন্ধু রূপে গণ্য হয়েছে।” (৪১ হা-মিম-আস সাজদাহ:৩৪)। প্রতিবাদের তথাকথিত বর্বরতার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছিল যে ধর্ম, তার নাম ইসলাম। শান্তি, সৌন্দর্য, মানবতাবোধ ও মানবকল্যাণ নিশ্চিত করার জন্যই ইসলামে নির্ধারিত হয়েছে প্রতিবাদের পরিভাষা। সে পরিভাষার প্রাজ্ঞতায় ও পেলবতায় পরাভূত হয়েছে জাহেলিয়াত। মানবজাতিকে আত্মগরিমা ও বংশমর্যাদার পরিবর্তে ধর্মগরিমা ও জাতিমর্যাদার জ্যোতির দিকে মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসলাম। অথচ এখন ইসলামের নামে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে উন্মত্ত কিছু দল আধিপত্য বিস্তারকে আখ্যায়িত করছে জেহাদ নামে, ভিন্ন মত পোষণ করার অপরাধে রগ কেটে হত্যা করছে নিরীহ ছাত্র কিংবা যুবককে, গাড়ীর ভিতর নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে পেট্রোলবোমা ফেলে আর তৃপ্তি পাচ্ছে ইসলামকে হেফাজত করছে বলে! ইসলাম আজ বন্দী হয়েছে এক দুশ্চেদ্য-দুর্ভেদ্য কারাগারে। তাই ফ্যাসাদকে আজ বলা হচ্ছে - জেহাদ, নিরস্ত্র মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করেছে যে কাপরুষ - তাকেই গাজীআখ্যা দেয়া হচ্ছে, বোমা বানাতে গিয়ে যার দেহ ক্ষত-বিক্ষত হলো - তাকে বলা হচ্ছে শহীদ। এইভাবে নব্য-জাহেলিয়াতে সবচেয়ে বেশি অবমাননা, অপব্যাখ্যা এবং অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে কুরআনের অতি মর্যাদাবান শব্দ - জেহাদএর।

সমপ্রতি ধর্ম অবমাননকারী ব্লগারদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি যারা তুলছেন তাদেরকে ধর্ম অবমাননার সংজ্ঞা দিতে হবে এবং কুরআনের কোন্‌ সুরার কত নাম্বার আয়াতে তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ধর্ম অবমাননারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে তা উল্লেখ করতে হবে। কোন মানুষের অধিকার নেই অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার। ধর্মের অবমাননাকারীদের প্রতিরোধ করতেই হবে। কিন্তু অবশ্যই তা হতে হবে কুরআন নির্দেশিত পথে এবং রাসুল (সা.) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে। এর অন্যথা হলে তা হবে কুরআন ও রাসুল (সা.) এঁর চরম অবমাননা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন