বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

'মর্মান্তিক দুর্ভোগ মুসল্লিদের জন্য যারা সালাতের প্রতি উদাসীন'


'মর্মান্তিক দুর্ভোগ মুসল্লিদের জন্য

যারা সালাতের প্রতি উদাসীন'


আরিফিন হক ॥ শিরোনামটি কুরআনের ১০৭ নং সুরার ৪ ও ৫ নং আয়াত। যে সালাত করে তাকে মুসল্লি বলা হয়। ধ্বংস বা দুর্ভোগ বলতে জাহান্নাম বুঝানো হয়।   যারা সালাতের সময় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ করে না তাদের সালাত আল্লাহর সাথে প্রতারণা বৈ আর কিছু নয় তাই এদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক দুর্ভোগ। মর্মান্তিক দুর্ভোগ রয়েছে সেসব মুসল্ল্লিদের জন্য যারা নামাজ পড়ে কিন্তু সালাতে প্রতিষ্ঠিত হয় না, যারা দ্বীন ইসলামের নীতিমালা মুখে স্বীকার করে কিন্তু কর্মের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করে না। যারা নামাজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে রুকু, সেজদা করে, সুরা, দোয়া যথাযথভাবে পাঠ করে কিন্তু মুখে উচ্চারিত বাক্যগুলোর সাথে যাদের জীবন যাপনের কর্মপদ্ধতির কোন সামঞ্জস্য নেই তাদের জন্য দুর্ভোগ নির্ধারিত  হয়েই আছে। সংশোধিত না হলে এ দুর্ভোগ থেকে কোন পরিত্রাণ নেই।  সালাতে প্রতিষ্ঠিত মুসল্লিমের জীবনের প্রতিটি কর্মে মানব কল্যাণের সকল বৈশিষ্ট্য বিকশিত হয়। যার মুখের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই তার মুখের কথার কোন দাম নেই আল্লাহ তায়ালার কাছে। তাই সালাতের মাধ্যমে মানবকল্যাণের বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে যারা ব্যর্থ হয় তাদেরকে মর্মান্তিক শাস্তি দেয়া হবে বলে সাবধান করে দেয়া হয়েছে। সালাতে বড়-ছোট, ধনী-গরিব, মনিব-ভৃত্য, সাদা-কালো সকলকেই এক সারিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হয়। একইভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে সব মানুষকে এক সারিতে দাঁড়াতে হবে। ধীরে ধীরে মানুষে মানুষে সকল ভেদাভেদ, বৈষম্য ও পার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াই সালাতের উদ্দেশ্য। সালাতে সে-ই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার চিন্তাজগত থেকে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ এমনভাবে দূরীভূত হয়েছে যে, সে কোন মানুষকেই আর হেয় মনে করছে না। সকল মানুষকেই মানুষ হিসেবে মর্যাদা দান করতে যে সদা সচেষ্ট, সে-ই সালাতের উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। তাই প্রতিদিন সালাত চর্চার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা এবং সমঝোতার মনোভাব জেগে উঠছে কি-না সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্যই জামাতে সালাত আদায় করার কথা বলা হয়েছে। দিনে পাঁচবার জামাতে সালাত আদায় করলে একে অন্যের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে অবগত হতে পারবে এবং পারস্পরিক সহানুভূতির মাধ্যমে সমাজ সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল হয়ে উঠবে - এই ছিল কুরআনের প্রত্যাশা।
জামাতে সালাত আদায় করার গুরুত্বটাও কুরআনের এই মূলনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যে, কুরআন চায় না মানুষ জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহ্‌ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থাকুক। কুরআনের উদ্দেশ্য - মানুষকে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত করা। তাই জামাতে সালাত কায়েম করার উদ্দেশে গৃহ থেকে মসজিদের দিকে ধাবিত করে মানুষকে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সালাতের মূল দাবী হচ্ছে - মানুষ কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবে না, কেবল আপন স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তার কার্যাবলী নিয়ন্ত্রিত হবে না। প্রতিটি মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সমাজ ও জাতির মঙ্গলের জন্য অবদান রাখবে।
হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সময় কোন বিশেষ প্রয়োজন বা কারণ ব্যতিরেকে কেউ জামাতে অনুপস্থিত থাকতেন না। হঠাৎ কেউ অনুপস্থিত হলে তার খোঁজ-খবর নেয়া হতো এবং তার পাশের বাড়ীর লোকের নিকট খোঁজ নিয়ে যদি জানা যেতো যে, ঝগড়ার জন্য আসতে পারেনি, তাহলে নামাজ এর পর কাউকে গিয়ে ঝগড়া মেটাবার নির্দেশ দেয়া হতো। যদি জানা যেতো কারো বাসায় খাবার নেই, তাহলে বায়তুল মাল হতে খাবার পাঠাবার ব্যবস্থা করা হতো। কারো কাপড় নেই জানা গেলে তাকে বায়তুল মাল হতে কাপড় দেয়ার এন্তেজাম করা হতো। কারো অসুখের খবর পাওয়া গেলে - হেকিম ডেকে এবং ঔষধ-পথ্য দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হতো। জামাত আজ আর সেই ভূমিকা পালন করে না। জামাতে সালাত আদায় করার অর্থ একসঙ্গে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া আর বসা নয়। কারখানায় সব মেশিন একসঙ্গে একই ছন্দে চলে তাই বলে মেশিনগুলোর জামাত কায়েম হয় না। সালাতের মাধ্যমে যাদের মধ্যে মানবতা বোধ জাগ্রত হয় না তারা তো মেশিনেরই মতো। বিশেষ করে আমাদের দেশে এখন নামাজীদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই বেশি যারা অর্থ না বুঝে, উদ্দেশ্য না বুঝে মেশিনের মতো নামাজ পড়ে, দিনে পাঁচবার মুখ ধোয়, কিন্তু পঞ্চাশ বছরেও একবার অন্তর ধোয়ার কথা চিন্তা করে না। তাই নামাজ আজ এক প্রাণহীন আচার-অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ্‌ বলেন, 'নিশ্চয়ই আমি সেই ব্যক্তির সালাত গ্রহণ করি, যে আমার মহত্ত্বের নিকট বিনয়ে নত হয়, আর আমার সৃষ্টির নিকট গর্ব করে বেড়ায় না, আর আমার স্মরণে কালযাপন করে এবং স্বীয় গুনাহে অবিরত বাড়াবাড়ি করে রাত্রি যাপন করে না। সে ক্ষুধার্তকে আহার্য দান করে, অতিথিকে আশ্রয় দান করে, ছোটকে স্নেহ করে এবং বড়কে সম্মান করে। অতঃপর এই সেই ব্যক্তি, যে আমার নিকট কিছু চাইলে আমি তাকে দান করি, আর আমার নিকট প্রার্থনা করলে আমি তার প্রার্থনা কবুল করি। আর সে আমার নিকট কাকুতি-মিনতি করলে আমি তার প্রতি কৃপা বর্ষণ করি। তার উপমা আমার নিকট জান্নাত সমূহের মধ্যে ফিরদাউসের অনুরূপ, যার ফল সমূহ পচে নষ্ট হয় না এবং যার অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে'।
হারিসা ইবনে ওহাব (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, 'প্রত্যেক সালাত আদায়কারীর সালাতই আমি কবুল করি না। আমি শুধু সেই ব্যক্তির সালাত কবুল করি, যে আমার মহত্ত্ব্বের নিকট নম্রতা প্রকাশ করে, আমার নিষিদ্ধ কাজ হতে নিজের প্রবৃত্তিকে সংযত রাখে, আমার অবাধ্যতার কাজ হতে বিরত থাকে, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে, উলঙ্গকে বস্ত্র পরিধান করায়, বিপদগ্রস্থের প্রতি দয়াপরবশ হয় এবং আগন্তুক অতিথিকে আশ্রয় দান করে এবং এইসব করে আমারই উদ্দেশ্যে'। (দায়লামী, হাদীসে কুদসী )।
আবু মূসা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন - একদা নবী করীম (সা.) তাঁর সাহাবিদের নিয়ে সালাত আদায় করে মসজিদে বসেছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ পড়তে দাঁড়ালো এবং ঠোকর মেরে মেরে রুকু-সিজদা করতে লাগল। তখন রসুল (সা.) বললেন - এ লোকটা কিভাবে (তাড়াহুড়া করে) নামাজ পড়ছে তা তোমরা দেখতে পাচ্ছো? যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে মোহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারী  বা উম্মতের বহির্ভূত বলে গণ্য হবে। কাক যেভাবে ঠোকর মেরে রক্তপাত করে সেও অনুরূপ ভাবে ঠুকরিয়ে নামাজ পড়ছে।’ (আবু বকর ইবনে খুযায়মা এ হাদীসটি তাঁর সহীহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন)।
আবু দাউদ (র.)-এর বর্ণনায় রয়েছে, হজরত হুযায়ফা (রা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন - 'তুমি এভাবে কতবছর ধরে নামাজ পড়ছো?' সে বলল - 'চল্লিশ বছর।' হজরত হুযায়ফা (রা.) বললেন, 'চল্লিশ বছর ধরে তুমি নামাজই পড়নি। যদি তুমি এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ  কর তবে তুমি মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রদর্শিত স্বভাব ধর্মের উপর মরবে না।' হজরত হাসান বসরী (র.) বলতেন, 'হে আদম সন্তান! তোমার নামাজ যদি তোমাকে অপমানিত করে তাহলে দীনের এমন কোন্‌ আমল আছে যা তোমাকে সম্মানিত করতে পারে?'
অতএব, আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি, আল্লাহ্‌ তায়ালা সবার সালাতই কবুল করেন না। একটু চিন্তা করলেই আমরা অনুধাবন করতে পারি যে, কোন্‌ ব্যক্তির সালাত কবুল করা হবে আল্লাহ্‌ তায়ালা এবং রসুল (সা.) তা সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে দিয়েছেন। সালাত কবুল হবার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, মানুষের প্রতি দয়া, অনুগ্রহ ও ভালবাসা। কারণ, যে ব্যক্তি নিজে অন্যদের প্রতি দয়া করে না, সে আল্লাহ্‌র দয়া পেতে পারে না। আমরা আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে এমন কোন আচরণের প্রত্যাশা করতে পারি না যে আচরণ আমরা তার সৃষ্ট জীবের প্রতি করি না।
রসুল (সা.) সাহাবিদের লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন, “তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত দয়া অনুকম্পা বিতরণ না করবে, ততক্ষণ সত্যিকার ঈমানদার হওয়ার দাবী করতে পার না। এ কথা শুনে সাহাবিগণ বললেন, 'ইয়া রসুল (সা.) আমাদের প্রত্যেকেই দয়াশীল।' তখন নবী করীম (সা.) বললেন, 'না, একজন আর একজনের প্রতি দয়া করবে, এটাই যথেষ্ট নয়। আসলে দয়া হতে হবে সাধারণ ও নির্বিশেষে - সমগ্র মানবতার প্রতি'।
উদাসীন মুসুল্লীরা নিয়মিত জামাতে যোগদান করে বটে কিন্তু দ্বীনী দায়িত্ব সম্পর্কে এববারও চিন্তা-ভাবনা করে না বা কোন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে না। এসব সালাতীদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সংবাদ দিচ্ছে কুরআন। সালাতের প্রতি উদাসীন বলতে সালাতে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যাওয়া বুঝানো হয়নি। ভুল-ভ্রান্তির জন্য শাস্তি জাহান্নাম হয় না। সালাতের প্রতি উদাসীনতা হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনযাপনের কর্মের ধারায় মানুষের সাথে কল্যাণধর্মী সহযোগীতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ না করা।
সালাতে উদাসীন না হলে বাংলাদেশের মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুঃখ কষ্ট দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারতো। রসুল (সা.)-এর সময়ে সালাত যে ভূমিকা পালন করতো আজ আর নামাজের সে ভূমিকা নেই। একই জামাতে নামাজ পড়লেও কেউ যেন কারো দিকে ফিরেও তাকায় না। কেউ কারো দুখে দুঃখিত হয় না, কেউ কারো দিকে সাহায্য-সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে না। মুসলমান, মুসলমান ভাই-ভাই, বিশ্বের সকল মুসলমানই যেন একটি শরীরতুল্য - এই সব মানবতার দিশারী মহান বাণী আজ কেবল মুদ্রিত, পুনঃমুদ্রিত হয় কিন্তু বাস্তব জীবনে এর কোন প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় না। উদাসীনভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে তাহাজ্জুদ, এশরাক, চাশত প্রভৃতি নামাজও যদি পড়া হয়, রমজান শরীফ ছাড়াও বছরে অবশিষ্ট এগার মাসের সাড়ে পাঁচ মাসও যদি রোজা রাখা হয় তবুও পরিণামে মর্মান্তিক দুর্ভোগ ভোগ করতে হবে।
যে সালাতের উদ্দেশ্য লোকদের দেখানো তা যেমন লোক দেখানো সালাত তেমনি যে সালাত করলে লোকে দেখে তাও লোক দেখানো সালাত। আনুষ্ঠানিক নামাজে যেসব অঙ্গভঙ্গি করা হয় তা সকলের কাছে দৃশ্যমান। পক্ষান্তরে আত্মদর্শনমূলক সালাত দৃশ্যমান নয়। যদি কেউ এমন ভাব দেখায় যে, সে আত্মদর্শন মূলক সালাত করছে কিংবা যাকে দেখলে বুঝা যায় যে সে আত্মদর্শনমূলক সালাতে ব্যস্ত তার সালাত লোকদেখানো হয়। এসব সালাত আল্লাহর উদ্দেশে হয় না। 'আস সালাতু মেরাজুল মোমেনিন' - সালাতের মাধ্যমেই মোমিনের মেরাজ হয়। মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বারোহন বা আত্মিক ঊর্ধ্বগতি। যারা নামাজ পড়ে কিন্তু মানবতার জন্য কর্ম করে না তারা আসলে লোক দেখানোর জন্যই নামাজ পড়ে। এসব নামাজীদের জ্যোতিহীন আচার-অনুষ্ঠান, দৈহিক নড়াচড়া, উঠা-বসায় শরীর চর্চার বেশি কিছু না। এই প্রকারের প্রাণহীন নামাজ কালো ধোঁয়ার মতো উড়ে যাবে। বরং এ প্রাণহীন আনুষ্ঠানিকতার কারণে তাদেরকে কঠিন শাস্তির জন্য প্রতীক্ষায় থাকতে হবে।
কুরআনে লোকদেখানো সালাত চরমভাবে নিন্দনীয় হলেও এখন সেসব নামাজীর সংখ্যাই বেশি যারা লোকদেখানো নামাজ পড়ে। তারা লোকদের দেখাতে চায় যে নামাজ পড়ছে। এ ধরনের লোক সম্পর্কে আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে হজরত ওমর (রা.)  বলেন, 'কারো নামাজ রোজা দেখেই তার বিচার করো না, তার জ্ঞান ও সাধুতার দিকে লক্ষ্য রেখো'। তাই আমাদের স্মরণ রাখা উচিত যে, সালাত হচ্ছে বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছার পথ। শুধু মাত্র উঠা, বসা, রুকু, সেজদার আনুষ্ঠানিকতাকেই সালাতের স্মারক বলে ধরে নেয়া ঠিক নয়। অবহেলিত মানুষের প্রতি দায়িত্বকে অস্বীকার, অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে কেউ যদি আনুষ্ঠানিক নামাজকে ধর্মের স্মারক বলে ধারণা করে, তবে সে ঈমানদার-মুসলমান বলে সাব্যস্ত হতে পারে না। তাই দ্বীনের নবী রসুল (সা.) নিজেও প্রার্থনা করতেন -  “আয় আল্লাহ্‌ আমি এমন নামাজ থেকে পানাহ চাই, যার দ্বারা কোন উপকার হয় না। (আবু দাউদ, আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন