নববর্ষ ১৪২২ এর ভাবনাঃ কি করি
·
বর্তমানে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘চেতনার বিপ্লব-আমরা বাঙালি।’
·
একজন
খাঁটি বাঙালি কখনো মিথ্যা বলে না।
·
একজন
খাঁটি বাঙালি একজন কুরআনিক মুসলিম।
·
স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদের পড়-য়ারা অনেকেই টাকা-পয়সার মোহে সমাজের
সর্বস্তরে ষড়যন্ত্র ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিপনার
কাজে লিপ্ত রয়েছে - এইসব বিভ্রান্তদের তালিকা তৈরি ও ভালমানুষ করার জন্য সমাজের সবাই
এগিয়ে আসি।
·
বর্তমানে
শিক্ষার নামে ইংরেজি, ধর্মের নামে আরবী আর সংস্কৃতির নামে হিন্দী ভাষার আগ্রাসনের কবলে
পড়ে পাঁচ হাজার বছরের বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধ্বংসের মুখে। তাই প্রতিটি বাঙালির জীবনে
বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে মনে প্রাণে ধারণ, লালন ও পালন করি।
·
অধিকাংশ
বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শিক্ষার নামে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এই
কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে একে দেশের আপামর জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করতে রাষ্ট্র ও
সরকারকে সহযোগিতা করি।
·
সকল
শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্ম গ্রামে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে জন্মস্থান গ্রামের সাথে
শহর-নগরের ব্যবধান কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন
করি।
·
ব্রিটিশ
আমলের পন্ডিতদের করা ‘পলিটিক্স’ এর বাংলা অনুবাদ ‘রাজনীতি’ শব্দটির পরিবর্তে দিন বদলের
পালায় ‘জননীতি’ শব্দটি চালু করি। জননীতি-অর্থাৎ
শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্যাগী, সৎ ও মুক্তচিন্তার
যোগ্য ব্যক্তিত্বদেরকে কাজের সুযোগ করে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করি।
·
‘সত্য
বলি, সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হই, নিজে বাঁচি-দেশ ও জাতিকে বাঁচাই।’
·
ধৈর্যশীল
হয়ে, অন্যের দোষ ক্ষমা করে আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা পাওয়ার প্রার্থী হই।
·
কর্ম
ও চিন্তায় সমন্বয় ঘটিয়ে নিজের পরিচয় দিই। প্রতিটি কর্মের বিশ্লেষণ করি এবং আত্মিক উন্নতি
করি।
·
ভোগের
আনন্দ সাময়িক, ত্যাগের আনন্দ চিরন্তন। তাই কর্ম করি সৃষ্টির সেবাতেই।
·
সেই
ফুল হই - যে ফুল প্রস্ফুটিত হয় কিন্তু ঝরে যায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন