শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

নববর্ষ ১৪২২ এর ভাবনাঃ কি করি

নববর্ষ১৪২২ এর ভাবনাঃ কি করি

·        বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘চেতনার বিপ্লব-আমরা বাঙালি।’
·        একজন খাঁটি বাঙালি কখনো মিথ্যা বলে না।
·        একজন খাঁটি বাঙালি একজন কুরআনিক মুসলিম।
·        স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদের পড়-য়ারা অনেকেই টাকা-পয়সার মোহে সমাজের সর্বস্তরে ষড়যন্ত্র ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিপনার কাজে লিপ্ত রয়েছে - এইসব বিভ্রান্তদের তালিকা তৈরি ও ভালমানুষ করার জন্য সমাজের সবাই এগিয়ে আসি।
·        বর্তমানে শিক্ষার নামে ইংরেজি, ধর্মের নামে আরবী আর সংস্কৃতির নামে হিন্দী ভাষার আগ্রাসনের কবলে পড়ে পাঁচ হাজার বছরের বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধ্বংসের মুখে। তাই প্রতিটি বাঙালির জীবনে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে মনে প্রাণে ধারণ, লালন ও পালন করি।
·        অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শিক্ষার নামে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এই কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে একে দেশের আপামর জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করতে রাষ্ট্র ও সরকারকে সহযোগিতা করি।
·        সকল শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্ম গ্রামে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে জন্মস্থান গ্রামের সাথে শহর-নগরের ব্যবধান  কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি।
·        ব্রিটিশ আমলের পন্ডিতদের করা ‘পলিটিক্স’ এর বাংলা অনুবাদ ‘রাজনীতি’ শব্দটির পরিবর্তে দিন বদলের পালায়  ‘জননীতি’ শব্দটি চালু করি। জননীতি-অর্থাৎ শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্যাগী, সৎ ও মুক্তচিন্তার যোগ্য ব্যক্তিত্বদেরকে কাজের সুযোগ করে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করি।
·        ‘সত্য বলি, সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হই, নিজে বাঁচি-দেশ ও জাতিকে বাঁচাই।’
·        ধৈর্যশীল হয়ে, অন্যের দোষ ক্ষমা করে আল্লাহ্‌র দরবারে ক্ষমা পাওয়ার প্রার্থী হই।
·        কর্ম ও চিন্তায় সমন্বয় ঘটিয়ে নিজের পরিচয় দিই। প্রতিটি কর্মের বিশ্লেষণ করি এবং আত্মিক উন্নতি করি।
·        ভোগের আনন্দ সাময়িক, ত্যাগের আনন্দ চিরন্তন। তাই কর্ম করি সৃষ্টির সেবাতেই।

·        সেই ফুল হই - যে ফুল প্রস্ফুটিত হয় কিন্তু ঝরে যায় না। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন