সময়ের সাফ কথা....
আল্লাহ্ সাবধানীদের সাথে থাকেন!
সংলাপ
॥ ‘ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের অজগর গিলে খেতে চায় এই দেশকে, দেশের সম্পদকে, আর তার জন্য প্রয়োজন পটভূমি। প্রয়োজন অকার্যকর জাতীয়
সংসদ, প্রয়োজন রাজনীতি আর রাজনীতিকদের বিবস্ত্রকরণ, প্রয়োজন রাজনৈতিক সংঘাত, উত্তরোত্তর
দলীয় হানাহানির আতংক জাগানো বিস্তৃতি। সর্বোপরি প্রয়োজন রাজনীতিক এবং রাজনীতির গণধীকৃতকরণ
এবং সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্নকরণ।
বিএনপি
নেত্রী বেগম জিয়া ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন- ‘মেয়াদ পূরনের আগেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে’।
সবকিছু মিলিয়ে মানুষের মধ্যে আশংকার দানা বাঁধছে ক্রমশই। নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকের
সেই বিখ্যাত সংলাপের মতই যেন বলা যায় - ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ চক্রান্তের ঘনঘটা’! চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র
এদেশে নতুন নয়। বাঙালির ভাগ্যকে নিয়ে, বাংলার সম্পদকে নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের
বয়স শতক শতক। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের বিষবৃক্ষের জন্য এদেশের জমিন বড়ই উর্বর। স্বাধীনতা
তথা স্বাধীতার স্বপক্ষের শক্তি তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রধান নেতৃত্ব আওয়ামীলীগও
চক্রান্তের শিকার হয়েছে অতীতে বারবার, সে ক্ষমতায় থাকুক, আর ক্ষমতার বাইরেই থাকুক।
প্রশ্ন হচ্ছে সরকার তথা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব কি এ চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন?
সাবধানী? কেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যতিব্যস্ততা দেখা যায় সংশ্লিষ্টদের?
কেন ঘটনা ঘটার পূর্বেই প্রশাসন ষড়যন্ত্র চক্রান্তকে নিষ্ফল করে তোলায় সক্রিয় থাকে না?
কেন ষড়যন্ত্র চক্রান্তকারীদের নিস্ক্রিয় করা যায় না চক্রান্তের জাল গুটানোর আগেই?
এ
সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ইতিহাসে ভয়ংকরতম হত্যাযজ্ঞ। অকালে প্রাণ হারাতে
হয় কয়েক হাজার বাঙালিকে। জবাবদিহিতা ও বিভাগীয়
শাস্তির কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে কি’না গোয়েন্দা প্রধানসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তা জানা নেই দেশবাসীর। বিশেষ করে পঁচাত্তর পরবর্তী গত চৌত্রিশ
বছরে ক্ষমতায় থাকা স্বাধীনতা বিরোধী কিংবা স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থনপুষ্ট, তাদের
লালন পালন ও রক্ষাকারী সরকারসমূহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে যে লোকবলের সমাবেশ ঘটিয়েছে
সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীদের সংখ্যা কত তা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভাবনার
বিষয়। স্বাধীনতা বিরোধী দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তিসমূহ দেশের গোয়েন্দা
সংস্থা প্রশাসনযন্ত্রের স্পর্শকাতর বিভাগ এবং সরকারের সর্বস্তরের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে
কতটুকু, কতদূর পর্যন্ত শেকড় বিস্তৃত করে বসে আছে তাও নিশ্চয়ই খুঁজে দেখা জরুরি। প্রবাদে
আছে - ‘সাবধানের মার নেই’। কুরআনে আছে - ‘আল্লাহ্ সাবধানীদের সাথে আছেন’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন