সময়ের সাফ কথা ....
যোগ্যতমরাই টিকে
থাকে
সংলাপ ॥ নিঃসন্দেহে পৃথিবীতে যোগ্যতমরই জয় হয়। পৃথিবীতে
টিকে থাকে যোগ্যতমরা। কিন্তু ‘যোগ্যতা’ নির্ণয়ের মানদণ্ড ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন হয়।
যোগ্যতম প্রার্থীকেই চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হয়। কখনোই এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না, তবে
স্থান-কাল-পাত্র ভেদে যোগ্যতার সংজ্ঞা যায় পাল্টে। যোগ্যতা হতে পারে শিক্ষাগত, অভিজ্ঞতা,
বয়স, বুদ্ধি, দৈহিক শক্তি, দৈহিক আকার- এমনকি কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির ‘ভাগ্নে’ হওয়াও
যোগ্যতার মানদণ্ড হতে পারে। কর্পোরেট বিশ্বে যোগ্যতম ব্যক্তি হলেন: একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
উদ্যোক্তা, যিনি টাকার পেছনে লেগে থাকেন এবং টাকা উপার্জনের সংক্ষিপ্ত ও নিশ্চিত উপায়
বের করতে পারেন।
জীববিজ্ঞানীদের কাছে যোগ্যতা হলো প্রজননগত সাফল্য। একটি
প্রাণী যদি অন্য আরেকটি প্রাণীর অর্ধেক জীবনকাল বেঁচে থাকে কিন্তু দ্বিগুণ সংখ্যক সন্তান-সন্ততি
রেখে যায়, তবে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। টিকে থাকার যোগ্যতা- আকার, আকৃতি, শক্তি, শিক্ষা,
বয়স, বুদ্ধি কিংবা সৃজনশীলতার উপর নির্ভর করে না- নির্ভর করে প্রজননগত সাফল্য এবং পরিবেশের
সাথে অভিযোজনের উপর।
সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের যোগ্যতা কী তা তিনিই ভালো
জানেন। তবে তাঁর প্রেরিত শাস্ত্রের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তার সারমর্ম হলো:
সৃষ্টিকর্তা পূর্ণ, কারণ তিনি ধারণাকে ততক্ষণাৎ বাস্তবায়িত করতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা
যদি বলেন ‘হও’ তাহলে ততক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। সুতরাং মানুষ যদি সৃষ্টিকর্তার কাছে যোগ্যতম
ব্যক্তিত্ব হতে চায় তাহলে তাকে তাঁর গুণে গুনান্বিত হতে হবে। অর্থাৎ, তাকে অবশ্যই ধারণাকে
বাস্তবায়িত করার, কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করার কলা-কৌশল শিখতে হবে এবং তা প্রয়োগে দক্ষ
হতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন