শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৩

তাওহীদ সুরক্ষায় মসজিদ


তাওহীদ সুরক্ষায় মসজিদ

 

পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই এবং যেদিকেই মুখ ফিরাও না কেন, সেদিকই আল্লাহর দিক। আল্লাহ সর্বব্যপী ও সর্বজ্ঞ। (বাকারাঃ ১৪৮)

সৎ কর্মে প্রতিযোগিতা করে সৎ স্বভাবী এবং সৎ কর্মী হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক ভাষায় এবং প্রত্যেক জনপদে রাসুল; রয়েছেন যাঁরা একটি ঘর নির্মাণ করে সর্বাত্মক চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে তাঁদের অনুসারীদের পবিত্র করে থাকেন। নূহ (আঃ) -এর আদর্শ ঘর ছিল। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এরও সেরূপ ঘর ছিল। মুসা ও হারুন (আঃ) দেরও সেই আদর্শের ঘর ছিল। (প্রমাণ স্বরূপ দেখুন সুরা নুহ-২৮, সুরা বাকারা-১২৭, সুরা ইউনুস - ৭৮)।

এ সমস্ত গৃহের নির্মাতা বা মালিকদের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্যের নামই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন। যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহরই আনুগত্য করে'  নিসা-৮০)। অর্থাৎ রাসুল এবং তাঁর নির্মিত ঘরকে কেন্দ্র করেই অনুগতদের (মুসলিম) যাবতীয় কর্মকান্ড আবর্তিত হতে থাকে। পবিত্র আল কুরআন তাই ঘোষণা দিচ্ছে এবং তুমি যেখান থেকেই বের হও না কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুফ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন উহার দিকে মুখ ফিরাইবে, যাতে তাদের মধ্যে জালিমরা ব্যতীত অপর লেঅকের তোমাদের বিরুদ্ধে বিতর্ক করার কিছু না থাকে। সুতরাং তাদেরকে ভয় করো না শুধু আমাকেই ভয় কর যাতে আমি আমার নিয়মত তোমাদেরকে পূর্ণরূপে দান করতে পারি ও যাতে তোমরা সৎপথে পরিচালিত হতে পার(বাকারা-১৫০)।

নবী ও রাসুলরা সবাই ইমাম; এঁদের মধ্যে মানুষকে সঠিক পথের প্রশিক্ষণ দেয়াই আল্লাহর সুন্নত (আম্বিয়া-৭৩)।

ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা, বড়-ছোট,  সাদা-কাল সব ভেধাভেধ সমূলে উৎপাটন করে এক মেবা দ্বিতীয়ম’, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুঅথবা (There is no Allah but one) ভিত্তির উপর সমাজ গড়ার স্বপ্নই এখনে মূখ্য। প্রচলিত ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল প্রভৃতি বিষয়গুলোর উৎপত্তি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংজ্ঞা সম্বন্ধে সঠিক ইতিহাস না থাকলৌ মসজিদুল হামামের তত্ত্বাবধঅন মুত্তাকিদের হাতে ন্যস্ত করা আল্লাহর সুন্নত এবং এ সুন্নত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) -এঁর মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল তার সাক্ষী তো ইতিহাসই । (কুরআনের প্রমান দেখুন, সুরা আনফাল-ঃ ৩৪-৩৫)। অতএব, আজ যে দেশে দেশে অলিতে -গলিতে হাজার হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ ও কোটি কোটি মসজিদ রয়েছে, রয়েছে?তাতে গোত্রীয়?ইমাম নামক সমাজপতিদের চাকর ও ভৃত্যরা। এরা কেউই ইমাম নয়, এদের ঘরগুলো মসজিদ নয় এবং এতে জড়ো হয়ে যা করা হয়, তা সালাতনয় আদৌ। তা আল্লাহর ভাষায়, ‘মুকাআঁওয়াতাস দিয়াহআড্ডা ও তামাশা।

মসজিদ শুধুমাত্র আল্লাহর ঘর, তাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো আনুগত্যে ইবাদত  করা চলবে না (জ্বিন-১৮)। ইমাম মাত্র একজন হন। তাঁর পরিচয়ে সকল ঈমানদারকে সত্যায়িত করা হয়। প্রত্যেক জনগোষ্ঠিদের তাদের একক ইমামের পরিচয়ে ডাকা হয় (বনি ইসরাইল - ৭১)।

শিয়া মসজিদ, সুন্নী মসজিদ, কোরেশী মসজিদ, উমাইয়া মসজিদ, আব্বাসী মসজিদ, আহলে হাদীস মসজিদ, অথবা বিভিন্ন ব্যক্তি, গোত্র ও বর্ণ বিশেষের নামে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ আল্লাহর ঘর মসজিদনয়। এগুলে মসজিদে দেরারবা ক্ষতিকর বিভক্তি, ফেরকাহ,  কুফর, শিরক ও মুনাফিকদের ইসলাম ও মুসলিমীনদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গন সৃষ্টি গুপ্তচর বৃত্তি ও ষড়যন্ত্রের আড্ডা। এ সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দান করে সদ্‌কায়ে জারিয়ার ব্যবস্থা আরব দস্যুদেরই সৃষ্টি, যারা হজ্ব গমনেচ্ছু যাত্রীদের হত্যা করার আগে ঘোষণা করতে, ‘হাদীসে আছে যে, রাসুল (সঃ) বলেছেন, যারা হজ্ব করতে এ সে মারা যায়, তারা শহীদ হয় এবং কেয়ামত পর্যন্ত যত হজ্ব হয়, তারা সকল হজ্বের সওয়াব পায় আবার হজ্ব ফেরত যাত্রীদের হত্যা করার সময় বলতো হাদীসে বর্নিত আছে যে, হজ্ব করলে মানুষের সব গুণাহ মাফ হয়ে সদ্য প্রসূত শিশুর মত নিষ্পাপ  হয়ে?যায়। কিন্তু হজ্ব করে দেশে ফিরে গুণাহ করলে সে গুণাহ আর মাফ হয় না।রোমান খৃষ্টানদের মিথ্যার The king is the shadow of Godআরবীতে অনুবাদ করে তাকে রাসুল (সঃ) এর বাণী আস্‌ সুলতানু যিলুল্লাহবলে জুমা, ঈদ ও হজ্বের খুৎবায় চালু করা একই দস্যুদের কারসাজি। হাজার বছর পূর্বের চালূ করা সেই পাপ আজো বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে খুৎবায় পড়া হয় এবং এ রকম আরো বহু পাপের  বোঝা নিয়েই মসজিদ নামের সুরম্য অট্টালিকাগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে বিনাশ সাধনের নির্দেশ জারী হয়েছিল স্বয়ং মুহাম্মদ (সঃ) -এর উপর। তিনি শেষ জীবনে এসে এ রকম একটি মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। (প্রমাণ স্বরূপ সূরা তওবার ১০৭ নং আয়াত দ্রষ্টব্য)। অতএবতওহীদসুরক্ষায় প্রয়োজনে মসজিদ ভাঙ্গাও সুন্নত নয় কি?

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন