বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫

ভাবের ঘরে চুরি না থাকলে.......

সময়ের সাফকথা ....
ভাবের ঘরে চুরি না থাকলে.......

·        আমরা বেঁচে আছি। পতিত জাতির উন্নতি হচ্ছে - আরো হবে, বিষ যন্ত্রণা কমছে - আরো কমবে।
·        জাতীয় ধমনীর ভিতর নতুন বিদ্যুদাগ্নি সঞ্চারিত করতে দৃঢ়চিত্ত হয়ে মনেপ্রাণে জাতি অকপট হচ্ছে।
·        দু’টি যুগের কঠোর চেষ্টার ফলে একটি চরিত্র গঠিত হয়। যার পূর্ণতা আজো হয়নি তবে গঠিত হচ্ছে।
·        সত্য আত্মপ্রকাশ করছে। সত্য অবিনশ্বর - ধর্ম অবিনশ্বর - পবিত্রতা অবিনশ্বর। তাই জাতি একটা আদর্শিক খাঁটি  নেতৃত্ব চাচ্ছে।

সংলাপ ॥ বিভিন্ন মহলে শুনা যায়, সরকারপ্রধান মুসলমান হওয়ার কারণেই নাকি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ যুক্ত হয়েছে এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার অধিকার দেয়া হয়েছে! রাষ্ট্র সব মানুষের। সরকারপ্রধানদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য কি রাষ্ট্রের চরিত্র পাল্টে যাবে? বীর বাঙালির আক্ষেপ এখানেই। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুনসুর আলী, কামরুজ্জামানের মতো ব্যক্তিত্ব যখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন তখন কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি ‘সংবিধানে’ ধর্মনিরপেক্ষতার পাশাপাশি ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ যুক্ত হবে! এরপর যখন বলা হয় মহাজোট সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে; তখন তাকে বাঙালি জাতি আর কি বলবে? বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা তাদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা থেকে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত ‘সংবিধানে’ ধর্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ দেশ, জাতি ও জনগণের আকাঙক্ষাকে সর্বোচ্চ বলে বিবেচনা করত। ’৭২ সালটা এরকমই ছিল, যে জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার ওপরে কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া ছিল অসম্ভব। শেখ হাসিনাকে শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি মানুষসমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের ‘চেতনা’ ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন' তিনি কোন ‘ইচ্ছাকে’ প্রাধান্য দিলেন!
জানা গেছে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’কে ‘ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল’ হিসাবে বিবেচনা করে। দুনিয়াজুড়ে ইসলামপন্থী রাজনীতি বিষয়ে আমেরিকার কোনো একক অবস্থান না থাকলেও একানব্বইয়ের নির্বাচনের পর থেকে দেশের তথাকথিত ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াত প্রশ্নে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান ছিল ‘অনুমোদন’মূলক।
বিশেষ করে আমেরিকার ‘রিপাবলিকান’ দলীয় বিগত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশের ওই দলটিকে (মডারেট) ‘মধ্যপন্থি'’ বলে প্রায়শই উল্লেখ করতেন যা বাংলাদেশে অনেক রাজনীতিক এখনও বলতে পুলক অনুভব করেন! ১৯৯৩ সাল থেকেই বাংলাদেশ সফররত সব আমেরিকার কর্মকর্তাই জনগণ প্রত্যাখাত ওই দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাত করতেন।
জামাতের নাম ও দলীয় লক্ষ্য পরিবর্তনেরও পরও আগের অবস্থান থেকে আমেরিকার সরে আসা বাংলাদেশে তথাকথিত ইসলামপন্থি রাজনীতির প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য পরবর্তন হচ্ছে বলে চিন্তাবিদরা ধারণা করছেন।
কিন্তু বর্তমান সরকার কি করছেন তা উপলব্ধি করে চিন্তাবিদগণ মুখে কলুপ আঁটছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক দূর্নীতিবাজ বুদ্ধিজীবীরা সুযোগ নিয়ে মাঠে লাফালাফি করা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে সুযোগ বুঝে সংবিধানের বর্তমান সরকারের আনা পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোকে প্রণীত নতুন নির্বাচনী আইনের সঙ্গে মিল রেখেসম্প্রতি তথাকথিত ইসলামী ওই দলটি নিজেদের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ রাখে। একইসঙ্গে দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ‘আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠা’র অংশটি নাকি বাদ দিয়েছে।

তাই দেশবাসীর চিন্তা জগতে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে - ধর্ম কি? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন